বুধবার, ৯ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শত সেতু উদ্বোধন

জাতীয় জীবনের ইতিবাচক ঘটনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ১০০ সেতু উদ্বোধন করেছেন। দেশের ২৫ জেলায় ৮৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওই সেতুগুলোর কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার যাতায়াতব্যবস্থা সহজতর হবে। যে-কোনো দুর্যোগে মানুষকে সাহায্য করা সহজ হবে, পণ্য পরিবহন ও বিপণন দ্রুত করা যাবে। সেতুগুলো রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করেছে, কারণ এগুলো ৩৩টি রুট ফেরি পরিষেবা থেকে মুক্তি দিয়ে সড়ক যোগাযোগকে অবাধ, দ্রুত, সহজ ও নিরাপদ করবে। উদ্বোধনকালে গণভবনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি সুনামগঞ্জ, বরিশাল, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রান্ত যুক্ত ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকা এ ১৪ বছরে বিভিন্ন মহাসড়কে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩০৩ মিটার সেতু পুনর্নির্মাণ ও ২১ হাজার ২৬৭ মিটার কালভার্ট তৈরি করা হয়েছে। মহাসড়কগুলো আরও উন্নত করা হচ্ছে যাতে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হয়। আশ্চর্যের বিষয়, একই সঙ্গে ১০০ সেতু নির্মাণ ও সেগুলোর উদ্বোধন করা সম্ভব হয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে সমগ্র বাংলাদেশে সরকার শতভাগ সফল হয়েছে, এজন্য তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের সবাইকে ধন্যবাদ জানান। শত সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আজকের যুগ যোগাযোগের। অবকাঠামোগত উন্নয়ন একটা জাতিকে যেমন উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে পারে, তেমনি অবকাঠামোগত পশ্চাৎপদতা একটি জাতির সম্ভাবনা পিছিয়ে দেয়। দারিদ্র্য বিমোচনেও যোগাযোগব্যবস্থা বা অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল একসময় ছিল মঙ্গাক্রান্ত। যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের পর মঙ্গা নামের সাংবার্ষিক মিনি দুর্ভিক্ষের অবসান শুধু নয়, উত্তরাঞ্চল জাতীয় অগ্রগতির অংশীদারে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পশ্চাৎপদতার অবসানে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। উদ্বোধন করা শত সেতু সংশ্লিষ্ট এলাকার জনজীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটালে তা হবে এক বড় অর্জন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর