শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ পরিস্থিতি

গোলাম মোহাম্মদ কাদের

বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ পরিস্থিতি

বর্তমানে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট দেখা দিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা জমা প্রতিদিন কমছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। সাধারণত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমলে ডলার বা অন্য কোনো বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা বা টাকার মূল্যমান হ্রাস পায়। তা ছাড়া আমদানিনির্ভর নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য, ওষুধ, ওষুধের কাঁচামাল, শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রাংশ আমদানিকৃত জ্বালানির সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।

ফলশ্রুতিতে জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি হতে থাকে।  আমদানিকৃত কাঁচামাল যত্রাংশনির্ভর শিল্প-কারখানা, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ ইত্যাদির উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। রপ্তানি নিম্নগামী হয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয় দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের ঘাটতি সৃষ্টি হয়।

সে কারণে আরেক দফা মূল্যস্ফীতি হয়। একই সঙ্গে অনেক শিল্প-কারখানা আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় নতুন বেকার, বেকারত্বের হার বাড়তেই থাকে। ফলে, একদিকে জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতি অপরদিকে মানুষের আয়ের পথ সংকুচিত বা বন্ধ হয়ে দুঃসহ মানবিক বিপর্যয়ের দিকে দেশ ধাবিত হয়। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা সে ধরনের বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

বৈদেশিক মুদ্রার স্বল্পতার কারণে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা : বিভিন্ন ব্যাংকের নির্বাহীরা নিজেদের নাম উল্লেখ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিদ্যমান ডলার সংকট পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। দেশের ২০টি ব্যাংকের কাছে এলসির বিপরীতে দায় মেটানোর মতো ডলার নেই (অগ্রণী, এক্সিম, ঢাকা ব্যাংক, শাহজালাল ও ইউসিবি ব্যাংকের দেনার পরিমাণ-৫২৫ মিলিয়ন ডলার, এ ছাড়াও দ্য সিটি ব্যাংক, পূবালী, প্রাইম, সাউথইস্ট, ইস্টার্ন, মার্কেন্টাইল, ওয়ান ব্যাংক, স্টান্ডার্ড, ন্যাশনাল, ব্যাংক এশিয়া, স্টান্ডার্ড চাটার্ড, ট্রাস্ট, ব্র্যাক, এনসিসি এবং ব্যাংক অব সিলন এই মোট ২০টি ব্যাংকের দেনার পরিমাণ ৯০৫ মিলিয়ন ডলার)।

তারা আরও বলেছেন, “কিন্তু নীতিনির্ধারকরা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পারছেন না। প্রতিদিনই কোনো না কোনো ব্যাংক এলসির দায় পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছে। এ পরিস্থিতি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকলে বিদেশি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশের এলসি নেওয়াই বন্ধ করে দিতে পারে। এ অবস্থায় এলসির নিশ্চয়তা দেওয়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাদের অনেক ব্যাংকই এখন বাংলাদেশের জন্য নিজেদের ক্রেডিট লাইন কমিয়ে দিতে শুরু করেছে। বিষয়টি আমাদের দেশের অর্থনীতির জন্য অশনিসংকেত বলে মনে হয়” (সূত্র : বণিক বার্তা : ২ নভেম্বর, ২০২২)।

বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের সম্ভাব্য কারণ : সমস্যাগুলোর কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে কভিড-১৯ ও তৎপরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা বিশ্বের সর্বাত্মক বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই উপরোক্ত বিষয়গুলো বাংলাদেশের বর্তমান নাজুক অর্থনৈতিক অবস্থার জন্য দায়ী। তবে সম্পূর্ণ দায়ভার ওইসব বিষয়ের ওপর বর্তায় না। কভিড-১৯ মহামারির ফলশ্রুতিতে অর্থনৈতিক মন্দায় রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে এটা ঠিক। তবে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ ও পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা অর্থনৈতিক দুরবস্থায় খুব বড় ভূমিকা রাখেনি। কেননা বাংলাদেশে রিজার্ভের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের শুরুর প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই।

বিশ্লেষণে এটা প্রতীয়মান হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ ও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা না হলেও অর্থনৈতিক বিপর্যয় এদেশের জন্য অবশ্যম্ভাবী ছিল। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু না হলে হয়তো সমস্যা জটিল অবস্থায় পৌঁছাতে কিছুটা বেশি সময় লাগত। তবে সমস্যা হতোই। বিষয়টি সহজবোধ্য ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য নিচে পরিস্থিতি ও ব্যাখ্যা তুলে ধরছি। ডলারের অভাবের কারণে দেশে রিজার্ভ কমছে বেশ কিছু দিন থেকে। বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে আয়ের চেয়ে ব্যয় কম হলে রিজার্ভ বাড়ে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হলে বাণিজ্য ঘাটতি হয় ও রিজার্ভ কমে।

ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে আজ অবধি গড়ে প্রতি মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ১.১১৮ বিলিয়ন ডলার। ইউক্রেন যুদ্ধের আরও সাত মাস আগে অর্থাৎ জুলাই থেকেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কম ছিল। তবে কম ছিল কিছুটা ধীরগতিতে গড়ে প্রতি মাসে ০.৬২৩ বিলিয়ন ডলার হিসেবে। আর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার ৩ মাস আগে থেকে এ পর্যন্ত কমেছে ০.৭৫১ বিলিয়ন ডলার প্রতি মাসে। অর্থাৎ ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঘাটতি শুরু হয়েছে এবং তা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। এখন আসা যাক প্রকৃত সংকটের জায়গায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব পদ্ধতির হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ৩৫.৮৫ বিলিয়ন ডলার (২৬ অক্টোবর, ২০২২ পর্যন্ত)। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ২৭.৩৫ বিলিয়ন ডলার। (সূত্র : বণিক বার্তা, ২৬ অক্টোবর, ২০২২)।

আইএমএফের হিসাবে রিজার্ভ কম হওয়ার কারণ : রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) গঠন করা হয়েছে ৭ বিলিয়ন ডলার যার সম্পূর্ণ অংশ দেশের রপ্তানিকারকরা ঋণ হিসেবে নিয়েছেন। গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি ডলার। লং টার্ম ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ (৩৮.৫ মিলিয়ন ডলার)। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৬৪ কোটি ডলার। বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। শ্রীলঙ্কাকে লোন হিসেবে দেওয়া ২০ কোটি ডলার। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হওয়া অর্থ ফেরত না আসা ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার ইত্যাদি অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভের অংশ। আইএমএফের ব্যালান্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন (বিপিএম৬) ম্যানুয়াল আনুযায়ী এই অর্থ রিজার্ভের অংশ নয়। (সূত্র : ২৮/১০/২০২২ ইং বণিক বার্তা)। বেশ কয়েক বছর ধরে এবং সামনের বছরগুলোতেও দেখা যাচ্ছে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। সে কারণে ঋণের জন্য সুদ+আসল পরিশোধ ও ক্রমান্বয়ে সমান হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে যা ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে।

২০১৯ সালে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬১ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ৫.২ বিলিয়ন ডলার প্রায়।

২০২০ সালে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলারের সামান্য বেশি।

২০২১ সালে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯১ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ১১.৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২২ সালে শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০০ বিলিয়ন ডলার। বছর শেষে বাংলাদেশকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে ২৩.৪ বিলিয়ন ডলার (সরকারি খাতের জন্য ৫.৪ বিলিয়ন ডলার এবং বেসরকারি খাতের প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার)। ২০২৩ সালে বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১১৫ বিলিয়ন ডলার। সুদ আসলসহ ঋণ পরিশোধ করতে হবে ২০ বিলিয়ন ডলার।

২০২৪ সালে বিদেশি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৩০ বিলিয়ন ডলার এবং একই বছর পরিশোধ করতে হবে ২০ বিলিয়ন ডলার। (সূত্র : বণিক বার্তা : ১৮/১০/২২)। অর্থাৎ ২০২২ সালে বা বর্তমান বছর শেষে ২৩.৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হবে।

আগেই বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের নিজস্ব পদ্ধতির হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ৩৫.৮৫ বিলিয়ন ডলার। বছরের শেষে বৈদেশিক ঋণের সুদ আসল হতে ২৩.৪০ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করলে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২.৪৫ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা প্রায় ১-১/২ (দেড়) মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সক্ষম। সেটা যে কোনো মাপকাঠিতে বিপজ্জনক।

গড়ে প্রতি মাসে স্বাভাবিকভাবে বাণিজ্যিক লেনদেনে বৈদেশিক মুদ্রার যে ঘাটতি হচ্ছে সেটাকে হিসাবে আনলে বছরে দাঁড়ায় (মাসে ১.১১৮ী১২) =১৩.৪১৬ বিলিয়ন ডলার ঘাটতি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পদ্ধতিতে হিসাব করলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতি বাদ দিলে দাঁড়ায় ১২.৪৫০-১৩.৪১৬=(-) ০.৯৬৬ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বৈদেশিক মুদ্রা নিঃশেষ হওয়ার পরও দেনা থাকে, প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার।

এখন যদি আইএমএফের পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাব করি, যা অধিক বাস্তব সম্মত, সেখানে বর্তমানে রিজার্ভ ২৭.৩৫ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধের ২৩.৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে থাকে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও রাশিয়ার ওপর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে বাণিজ্যিক কারণে মুদ্রা ঘাটতি বিবেচনায় না আনলেও দেশ দেউলিয়াত্ব পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, বলা যায়।

সেখানে থেকে প্রতি মাসে বাণিজ্যিক কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি ১৩.৪১৬ বিলিয়ন ডলার বাদ দিলে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩.৯৫-১৩.৪১৬=(-) ৯.৪৬৬ বিলিয়ন ডলার। এখানকার চিত্র আরও ভয়াবহ। এখানে রিজার্ভ নিঃশেষ হওয়ার পরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ থেকে যাবে।

এ অবস্থায় আইএমএফের ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন হলেও এবং তা একবারে এখন দিলেও আমাদের রিজার্ভে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ৩.৫৩৪ (৪.৫-.৯৬৬= ৩.৫৩৪) বিলিয়ন ডলার জমা থাকবে। আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী তবুও (-)৪.৯৬৬ (৪.৫-৯.৪৬৬= ৪.৯৬৬) বিলিয়ন ডলার ঋণ থাকবে। উভয় পরিস্থিতিই আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। অর্থাৎ আইএমএফের ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ এ বছরই পাওয়া গেলেও ঝুঁকি থাকছে।

দেখা যাচ্ছে, বৈদেশিক ঋণের ‘সুদ ও আসল’ পরিশোধ বৈদেশিক মুদ্রা সংকট ও সার্বিক অর্থনীতির দুরবস্থার অন্যতম প্রধান কারণ। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করে বেশ কিছু উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তারা মনে করেন, প্রকল্পগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সমীক্ষা সঠিকভাবে করা হয়নি। কেননা, এখন পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি।

তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা বেশি চোখে পড়ছে। বারংবার ব্যয় বৃদ্ধি, শেষ হওয়ার সময় বৃদ্ধি, সমন্বিত পরিকল্পনার অভাব, অপচয়, দুর্নীতি ইত্যাদি ঘটে চলেছে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে। ফলে প্রকল্পগুলোর সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষায় যদি লাভজনকও হয় তথাপি এখন পর্যন্ত বৈদেশিক বাণিজ্যে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছে না। এটাই বাস্তবতা।

উপসংহারে বলা যায়, সার্বিকভাবে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা সংকট আছে যা সামনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।  বিষয়গুলো থেকে উত্তরণের জন্য কী করা যায়, সরকার কী ভাবছে জনগণ জানতে চায়।

লেখক : চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি।

সর্বশেষ খবর