শিরোনাম
শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সফর বিলাসিতা

নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত অভিনন্দনযোগ্য

এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই তত্ত্বের অনুসরণে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে কারণে-অকারণে বিদেশ সফরের প্রবণতা ওপেন সিক্রেট। অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে জনগণের ট্যাক্সের টাকার শ্রাদ্ধ করতে বিদেশ সফরের যে কর্মসূচি সাজানো হয় তার বেশির ভাগই অপ্রয়োজনীয়। এমনকি যে কর্মকর্তা কয়েক মাস পরে অবসর নেবেন তাকেও পাঠানো হয় প্রশিক্ষণের জন্য। উপরি আয়ে অভ্যস্ত কর্মকর্তাদের বিদেশে সফরের বিলাসিতা নিশ্চিত করার জন্য সাজানো হয়। যে কারণে পুকুর কাটা শেখার জন্য বিদেশ সফরের ঘটনাও ঘটে এ দেশে। বৈশ্বিক মন্দা সারা দুনিয়ার মতো আমাদের দেশের জন্য অভিশাপ হয়ে এলেও বিদেশ সফরের বিলাসিতা বন্ধে তা শেষ পর্যন্ত ভূমিকা রাখতে সমর্থ হয়েছে, যা একটি ইতিবাচক দিক। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিদেশের সরকার, উন্নয়ন সহযোগী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে মাস্টার্স, পিএইচডি ও পেশাগত প্রশিক্ষণে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না। বুধবার অর্থ বিভাগের এক পরিপত্রে এ স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। পরিপত্রে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদফতর, পরিদফতর, দফতর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর নিজস্ব অর্থায়নে সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যদের বিদেশ সফরে লাগাম পরানোর এ সিদ্ধান্ত অভিনন্দিত হওয়ার যোগ্য। আমরা আশা করব মন্দাকালে শুধু নয়, আগামীতে যে কোনো বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে সত্যিকারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটেপুটে খাওয়ার ঐতিহ্য অনুসরণ করে কর্মকর্তারা অযথা বিদেশ ভ্রমণে গা ভাসাবেন তা গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর