বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পাতালরেল

নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন হোক

পাতালরেল যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করবে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর অর্থাৎ আর ছয় বছর পর। এ বছর বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই শুরু হবে এর মূল কাজ। পাতালরেল নির্মাণ হলে বিমানবন্দর থেকে ট্রেনে কমলাপুর রেলস্টেশনে যাওয়া যাবে মাত্র ২৪ মিনিটে। আজ ২৩ নভেম্বর মেট্রোরেল লাইন-১-এর ডিপো নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ মেট্রোরেল নির্মাণের তদারকির জন্য ২৩ অক্টোবর আট কোম্পানির কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। চুক্তি অনুসারে জাপানি নিপ্পন কোই কোম্পানি লিমিটেডের নেতৃত্বে কনসোর্টিয়ামটি রাজধানীতে ৩১.২৪ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ রেল প্রকল্প বা এমআরটি লাইন-১ নির্মাণের তত্ত্বাবধান করবে। এমআরটি লাইন-১-এর দুটি অংশ থাকবে। এর একটি হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। এ ১৯.৮৭ কিলোমিটার অংশটি মাটির নিচ দিয়ে হবে। নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত প্রায় ১১.৩৭ কিলোমিটার অংশটি হবে এলিভেটেড (উড়াল) লাইন। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এমআরটি লাইনে মোট ২১টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে ১২টি থাকবে আন্ডারগ্রাউন্ডে আর বাকি ৯টি এলিভেটেড। এ লাইনে প্রতিদিন ৮ কোচবিশিষ্ট ২৫টি ট্রেন চলাচল করবে। একটি ট্রেনের ধারণক্ষমতা হবে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৮৮ জন। পাতালরেল নির্মাণ হলে রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। আন্তর্জাতিক মানের যোগাযোগব্যবস্থার অধিকারী হবে বাংলাদেশের রাজধানী। পাতালরেল ও উড়ালপথের মেট্রোরেলের কল্যাণে মাত্র ২০ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডে কমলাপুর থেকে পূর্বাচলে যাওয়া যাবে। শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের সঙ্গে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ ও উড়ালপথ নির্মাণের মাধ্যমে মেট্রোরেল লাইন-১-এর সঙ্গে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ হবে। পাতালরেল বাংলাদেশের উন্নয়নের মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর