শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বাস টার্মিনাল স্থানান্তর

একযুগেও না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র থেকে চারটি আন্তজেলা বাস টার্মিনাল শহরতলিতে সরানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল একযুগ আগে। কিন্তু সে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কবে ঘটবে তা নিয়ে সংশয়ের শেষ নেই। চারটি বাসস্ট্যান্ডের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হলেও সরকারের হাতে পর্যাপ্ত জমি না থাকায় স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটছে। প্রস্তাবিত বাসস্ট্যান্ডগুলোর জন্য জমি অধিগ্রহণের পরই কেবল শুরু করা যাবে স্থানান্তর প্রক্রিয়া। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলোতে আন্তজেলা রুটে চলাচলকারী বাসস্ট্যান্ডের কারণে যানজটের ধকল সইতে হচ্ছে নগরবাসীকে। ঢাকা শহরের গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে দূরপাল্লার বাসগুলোর জন্য বিরুলিয়া, সাভারের হেমায়েতপুর, কেরানীগঞ্জের বাঘাইর ও কাঁচপুরে চারটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের স্থান নির্বাচন করা হয়েছে বহু আগেই। নগর বিকাশের বাস্তবতায় রাজধানীর প্রায় মাঝখানে অপরিকল্পিত বাস টার্মিনালগুলোর কারণে যানজট তীব্র হয়ে উঠেছে। টার্মিনাল উপচে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে দূরপাল্লার বাস। প্রায় ২ কোটি মানুষের এই মহানগরীতে ব্যক্তিগত গাড়ির বিস্তার, অপর্যাপ্ত গণপরিবহন এবং পার্কিং নৈরাজ্যের অবসানে বাস টার্মিনালগুলো শহরতলিতে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে গাবতলী টার্মিনালে ২২ একর, মহাখালীতে ৯ একর এবং সায়েদাবাদে ১০ একর জমি রয়েছে। কেরানীগঞ্জের বাঘাইরে ৩৩.৬৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে নতুন টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। সাভারের হেমায়েতপুরে ৪৫ একর, বিরুলিয়ার ভাটুলিয়ায় ২৬.৭ একর, কাঁচপুরের দক্ষিণে ২৬.৭ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে টার্মিনাল নির্মাণে।  দূরপাল্লার বাস টার্মিনাল স্থানান্তর হলে সে জায়গাগুলোকে সিটি বাস টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এর ফলে রাজধানীর যানজট অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসবে। এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে হতে হবে তৎপর। জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা গেলে এক বছরের মধ্যেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

সর্বশেষ খবর