সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

শিল্পোৎপাদনে সংকট

টেকসই সমাধানের পথ খুঁজুন

গ্যাস সংকটে দেশের শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বাংলাদেশ এখন জ্বালানি গ্যাসের ক্ষেত্রে অনেকাংশে আমদানিনির্ভর। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের পাশাপাশি এলএনজির দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এ প্রেক্ষাপটে এলএনজি আমদানি বিঘিœত হচ্ছে। বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সরবরাহও সীমিত হয়ে পড়ছে। কল-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ কমায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকারের প্রতি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের পরামর্শ- গ্যাসের অপচয় বন্ধে দুনিয়ার অন্য সব দেশের মতো রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করা হোক। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে গ্যাসের অভাবে। তৈরি পোশাক, ইস্পাত ও সিরামিক কারখানাগুলো বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। জ্বালানির বিকল্প উৎস ব্যবহার করে সংকট মোকাবিলার চেষ্টা করছেন শিল্প-মালিকরা। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন রপ্তানিকারকরা। এ অবস্থায় গতকাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারছেন না তারা। গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে কারখানা বন্ধ। কবে এলএনজি আসবে কেউ জানে না। ব্যবসায়ী নেতাদের অভিমত, সবার আগে এলএনজি আমদানি করতে হবে। এই মুহূর্তে যদি এলএনজি আমদানি করা সম্ভব না হয়, তাহলে সিএনজি স্টেশন ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে শিল্প ও কল-কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করতে হবে। বাসাবাড়ির গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিতে হবে। আশার কথা, জ্বালানি সমস্যার টেকসই সমাধানের পথ খুঁজছে সব পক্ষ। এ উদ্দেশ্যে বেসরকারিভাবে জ্বালানি তেল ও এলএনজি আমদানির বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। এটি সম্ভব হলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সংগতি রেখে তেল গ্যাসের দাম নির্ধারিত হবে। উৎপাদন বন্ধের ঝুঁকি থেকে রেহাইও পাবে দেশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর