রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

‘মেরে আঙানেমে তোমহারা ক্যায়া কাম হ্যায়’

মহিউদ্দিন খান মোহন

‘মেরে আঙানেমে তোমহারা ক্যায়া কাম হ্যায়’

‘মেরে আঙানেমে তোমহারা ক্যায়া কাম হ্যায়...’ ১৯৮১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় মুম্বাই হিন্দি ফিল্ম ‘লাওয়ারিশ’-এর ততোধিক শ্রোতাপ্রিয় একটি গান। গানটিতে ঠোঁট মিলিয়েছেন বলিউড শাহেন শাহ অমিতাভ বচ্চন। গানটির বাংলা তরজমা দাঁড়ায়- আমার আঙিনায় তোমার কী কাজ? এমনিতে কেউ কারও আঙিনা বা বাড়িতে গেলে কেউ প্রশ্ন তোলে না। তবে যখন কেউ অনাহুতভাবে কারও বাড়ি বা আঙিনায়  প্রবেশ করে অনাকাক্সিক্ষত আচরণ বা কর্মে লিপ্ত হয়,  তখন ওই ব্যক্তিকে এমনতর প্রশ্ন করা অসংগত নয়।  কেননা, এ সমাজ-সংসারে কোথায় কী কাজ করা যাবে, কথা বলা যাবে, তার একটি নিয়ম-রীতি আছে। পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, আন্তর্জাতিক, সবখানেই কিছু বিধিবদ্ধ নিয়মকানুন সবাইকে মেনে চলতে হয়। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এক দেশ আরেক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন, সংরক্ষণ এবং আচরণের বিষয়ে কিছু অবশ্য পালনীয় বিধিবদ্ধ নিয়ম রয়েছে; যেগুলোকে জাতিসংঘের ‘ভিয়েনা কনভেনশন’ বলা হয়ে থাকে। ১৯৬১ সালে প্রণীত ওই কনভেনশনে সর্বমোট ৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। তাতে নির্দেশিত রয়েছে সদস্য দেশগুলো পরস্পরের সঙ্গে কী আচরণ করবে। ওই কনভেনশনে এও বলা হয়েছে, যদি কোনো সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধি স্বাগতিক দেশের আইন ভঙ্গ করে, তাহলে ওই দেশ ইচ্ছা করলে সে প্রতিনিধিকে বহিষ্কার করতে পারবে। ভিয়েনা কনভেনশনে ৪২ অনুচ্ছেদের (১) উপ-অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো দেশের প্রতিনিধিত্বকারী কূটনীতিক বা দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বাগতিক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। ভিয়েনা কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো এই বিধি মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে কর্মরত কয়েকটি বড় দেশের কূটনীতিক ভিয়েনা কনভেনশনকে থোড়াই কেয়ার করে থাকেন। তারা নানা উছিলায় আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে মুরব্বিপনা ফলাতে সদাব্যাগ্র। অযাচিতভাবেই তারা নাক গলানোর চেষ্টা করেন আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে। এটা অবশ্য নতুন কোনো ব্যাপার নয়। দীর্ঘকাল ধরেই এ অপচর্চাটি হয়ে আসছে। যখনই আমাদের দেশের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের অবস্থান উত্তর মেরু-দক্ষিণ মেরুসদৃশ হয়, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনের আগে, তখনই ঢাকায় কর্মরত কতিপয় রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং মিশন প্রধানগণ তৎপর হয়ে ওঠেন। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, ভোটাধিকার এবং মানবাধিকার ইত্যাদি প্রশ্ন তুলে নিজেদের শালিস হিসেবে প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন। কখনো আবার শুরু করেন দুই পক্ষের মধ্যে দূতিয়ালি। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, তাদের সেসব দূতিয়ালি কখনো শুভ ফল বয়ে আনেনি। বরং তাদের ওই অনধিকার চর্চা বেশির ভাগ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সৃষ্টি করে অনতিক্রম্য দূরত্ব; যার দরুন সমস্যার সমাধান না হয়ে উল্টো তা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। সম্প্রতি সে লক্ষণ আবারও দৃশ্যমান হচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কূটনীতিকরা ভিয়েনা কনভেনশনের দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে যে যার মতো কথা বলা শুরু করেছেন। কেউ সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, কেউ ‘মিট দ্য প্রেস’ নামের এক প্রশ্নবোধক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে দেশের রাজনীতি নিয়ে অনধিকার চর্চায় মত্ত হচ্ছেন। কেউ আবার মানবাধিকার ইস্যুর নামে ছুটে যাচ্ছেন কোনো বাসাবাড়িতে। কতিপয় কূটনীতিকের এহেন তৎপরতাকে অনেকেই অশনিসংকেত হিসেবে দেখছেন। বাংলাদেশের রাজনীতির বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকরা যত কথা বলেন, অন্য কোনো দেশে তেমনটি ঘটে বলে মনে হয় না। এর অবশ্য কারণ রয়েছে। এখানে যে দল সরকারের বাইরে থাকে, তারা সরকারকে চাপে ফেলতে বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে ধরনা দিতে কসুর করে না। জনগণের কাছে যাওয়ার চেয়ে প্রভাবশালী দেশগুলোর কৃপাদৃষ্টি লাভের চেষ্টায় তারা গলদঘর্ম হন। শুধু বিরোধী পক্ষ নয়, সরকারও কখনো প্রকাশ্যে, কখনো অপ্রকাশ্যে বিদেশি কূটনীতিকদের সুদৃষ্টি লাভের জন্য কসরত করে থাকে। অতিসম্প্রতি সরকার ঢাকাস্থ বিদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলোতে যে চিঠি দিয়েছে, তা নিয়ে সচেতন মহলে কথা উঠেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিটি দিয়েছে ১৩ ডিসেম্বর। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির নেতাদের গ্রেফতারের কারণ ব্যাখ্যা করে ঢাকাস্থ বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের একটি ‘কূটনৈতিকপত্র’ দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে সরকারের দুই মন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাভাবিক কূটনৈতিক চর্চার অংশ হিসেবেই পত্রটি দেওয়া হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘যেহেতু বিভিন্ন দূতাবাসে গিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে অতিরঞ্জিতভাবে নানা জিনিস উপস্থাপন করা হয় এবং তারা যাতে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় সেজন্য প্রভাবিত করা হয়, তাই মিশনগুলোকে সঠিক তথ্য সরবরাহ করার স্বার্থেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্যগুলো জানানো হয়েছে।’ (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২)। অপরদিকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বড় একটা কিছু ঘটলে বিদেশি কূটনীতিকদের জানিয়ে রাখা নতুন কিছু নয়। এটা স্বাভাবিক কূটনৈতিক চর্চার মধ্যেই পড়ে।

মন্ত্রীগণ যতই বলুন এই পত্র দেওয়া একটি স্বাভাবিক কূটনৈতিক চর্চা, সচেতন ব্যক্তিরা তাদের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। কেননা, বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়। এ ব্যাপারে এখানে কর্মরত কূটনীতিকদের অবহিত করার প্রয়োজন কেন পড়ল তা বোধগম্য হচ্ছে না। সংগত কারণেই প্রশ্ন উঠতে পারে, তাহলে কি বিদেশি রাষ্ট্রগুলো আমাদের গার্জেন? তথ্যমন্ত্রী অবশ্য সঠিকই বলেছেন, বিএনপি সময়ে সময়ে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়। তাদের এই নালিশ দেওয়াটাও রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী, সন্দেহ নেই। তাই বলে সরকারকেও একই পথ অবলম্বন করতে হবে? বিএনপি বিদেশিদের কাছে যেসব তথ্য দিয়ে থাকে, সরকার তার গৃহীত পদক্ষেপের দ্বারা সেগুলো মিথ্যা প্রমাণ করলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। সেজন্য ঘটা করে পত্র দিতে হবে কেন? ব্যাপারটা যেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অধস্তনের কৈফিয়ৎ দেওয়া।

বিদেশি কূটনীতিকদের অন্যতম কাজ হলো, তারা যে দেশে দায়িত্ব পালন করেন, সে দেশের রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখা এবং স্ব স্ব সরকারকে তা অবহিত করা। পরিস্থিতি খারাপ হলে সে দেশে অবস্থানরত নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সতর্ক করাও তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে কোনো ঘটনায় তারা প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারেন না, পক্ষপাতিত্ব তো নয়-ই। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মরত রাষ্ট্রদূতগণ রাজনৈতিক বিষয়ে যেভাবে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন, তা যে কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত তা ব্যাখ্যা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। যেমন ৭ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংঘটিত ঘটনার তদন্ত চেয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিবৃতি। কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করতে আসা একজন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে সংঘটিত কোনো রাজনৈতিক ঘটনার তদন্ত দাবি করলেন কোন এখতিয়ারে- এ প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। অপরদিকে ১৪ ডিসেম্বর তিনি আরেক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। সেদিন সকালে পিটার হাস গিয়েছিলেন ঢাকার শাহীনবাগে ২০১৩ সালে নিখোঁজ বিএনপি কর্মী সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায়। সেখানে ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে তার বৈঠক ছিল। ঠিক সে সময়ে ‘মায়ের কান্না’ নামে আরেকটি সংগঠনের কতিপয় সদস্য সেখানে উপস্থিত হয়ে ৪৫ বছর আগে সামরিক শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে সেখানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে বিব্রত হয়েছেন রাষ্ট্রদূত। পরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে দেখা করে বিষয়টি অবহিত করার পাশাপাশি তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত শাহীনবাগের ঘটনায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন, সে কথাই জানাতে এসেছিলেন। তিনি রাষ্ট্রদূতকে প্রয়োজনে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে একজন বিদেশি কূটনীতিক কোনো একটি সংগঠনের ডাকে কারও বাসায় চলে যেতে পারেন কি না। তিনি যে তার কূটনৈতিক অধিক্ষেত্রের বাইরেই কাজটি করেছেন, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত তৎপরতা দুটি দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

একটি কথা সচেতন ব্যক্তিরা বহু আগে থেকেই বলে আসছেন যে, আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যুতে বিদেশি কূটনীতিকরা নাক নয়, মাথা গলানোর মওকা পেয়ে থাকেন দলগুলোর অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের কারণেই। ১৯৯৫-৯৬, ২০০৬-০৭, ২০১৩-১৪ সালে একই ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গেছে। নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট মতপার্থক্য নিরসনে সমঝোতায় আসতে ব্যর্থ রাজনৈতিক পক্ষগুলো দ্বারস্থ হয় বিদেশি কূটনীতিকদের। আর সে সুযোগে ঢাকাস্থ বিদেশি কূটনীতিকরা তাদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন; যা ভিয়েনা কনভেনশনের সরাসরি খেলাপ। অনেকেরই মনে থাকার কথা, ২০০৬-০৭ সালের রাজনৈতিক অচলাবস্থার সময় ঢাকাস্থ বিদেশি কূটনীতিকদের একটি অঘোষিত সংগঠন তৈরি হয়েছিল ‘টুয়েসডে গ্রুপ’ নামে। তারা প্রতি মঙ্গলবার পূর্ব-নির্ধারিত স্থানে প্রাতরাশে মিলিত হতেন এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের সূত্র আবিষ্কারে গবেষণায় মনোনিবেশ করতেন। এবারও তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, সম্প্রতি গুলশানে মরক্কো রাষ্ট্রদূতের বাসায় ২৮ জন বিদেশি রাষ্ট্রদূত একসঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ওই বৈঠককে দূতাবাসগুলো নিয়মিত চা-চক্র বলে অভিহিত করলেও তা যে নিছক চা পান ছিল না, তা বলাই বাহুল্য। বস্তুত, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে সামনে রেখে কূটনীতিকদের এই ঘটা করে ‘চা পান’ অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দূতাবাসগুলোর পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে একাধিক সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, বাংলাদেশের উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলেছেন কূটনীতিকগণ। এ কথা প্রমাণিত যে, বিদেশি কূটনীতিকদের দূতিয়ালিতে কখনই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়নি। সমাধান হয়েছে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই; কখনো সমঝোতায়, কখনো আন্দোলন-সংগ্রামে।  আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কেউ হস্তক্ষেপ করুক, এটা দেশবাসী চায় না। তাছাড়া তা আমাদের সার্বভৌমত্বকেও প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়। কিন্তু দুঃখজনক হলো, সরকারে থাকতে যারা বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেন, বিরোধী দলে থাকলে তারাই আবার বিদেশিদের কৃপাপ্রার্থী হন। এই হীনমন্যতা জাতি হিসেবে আমাদের আত্মসম্মানে আঘাত করে।  আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেটা অনুধাবন করেন কি না সেটাই প্রশ্ন।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

সর্বশেষ খবর