রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউক্রেনে রুশ ধ্বংসযজ্ঞ

দোহাই আত্মঘাতী যুদ্ধ থামাও

বিদায়ী ২০২২ সাল কলঙ্কিত হয়ে থাকবে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের বছর হিসেবে। অভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর দুই দেশের কাণ্ডজ্ঞানহীন সংঘাত বিশ্বের প্রধান খাদ্য ভান্ডার ইউক্রেনকে ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূূপে পরিণত করেছে। প্রত্যক্ষ যুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে রাশিয়া ইউক্রেনবাসীর মনোবল ধ্বংস করতে বেছে নিয়েছে একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংসের পথ। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে অসামরিক সব স্থাপনার ওপর। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বিরতিহীনভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলেছে ইউক্রেনে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রুশ হামলায় ইউক্রেনের প্রায় সব বিদ্যুৎ কেন্দ্রই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গোটা দেশ এখন বিদ্যুৎহীন। রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় দেশটির অধিকাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিকল হয়ে গেছে। এতে রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির অধিকাংশ এলাকা পড়েছে ব্ল্যাকআউটের কবলে। বুধবার রাত থেকে শত শত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ বাহিনী। প্রবল শীত আর তুষারপাতের মধ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। কিয়েভ ও এর পাশের অঞ্চল ছাড়াও লভিভ, ওডেসা, খেরসন, ভিনিটসিয়া ও ট্রান্সকারপাথিয়ায় জীবন কঠিন হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, জনসাধারণ ও বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ করে বৃহস্পতিবার ১২০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি খারকিভ, ওডেসা, লভিভ ও ঝিটোমির শহর থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি চালানো হচ্ছে ড্রোন হামলা। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে কারা জিতবে, কারা হারবে তা এখন অনিশ্চিত। তবে এ যুদ্ধ বিশ্ববাসীকে সীমাহীন খাদ্যাভাব এবং অর্থনৈতিক মন্দার মুখে ঠেলে দিচ্ছে। রাশিয়ার বৃহৎ শক্তিসুলভ অহংকার পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে। এ বিপর্যয় রোধে এখনই যুদ্ধের ইতি টানা দরকার। এ বিষয়ে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হতে হবে। রাশিয়াকে বলতে হবে, দোহাই আত্মঘাতী যুদ্ধ থামাও।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর