বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

আপন আলোয় দেখা ভুবন

ইনাম আহমেদ চৌধুরী

আপন আলোয় দেখা ভুবন

আশার চেয়ে নিরাশার, আনন্দের চেয়ে বেদনার, প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তির অনুভূতি আমাদের জানা আজকের পৃথিবীকে প্রায় আছন্ন করে রেখেছে। মনসুর আহমেদ চৌধুরীর অতীব সুখপাঠ্য আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘আপন আলোয় দেখা ভুবন’ পাঠককে আরেকটি পৃথিবীতে নিয়ে যায়। সেখানে মানুষ হাজারো বাধাবিপত্তি, প্রতিবন্ধকতা, আপাত-ব্যর্থতা, নিরাশা, দুঃখ-বেদনা, বঞ্চনা, বিরহ-সংকট সত্ত্বেও সেসব ছাড়িয়ে আশা, সস্তুষ্টি ও অর্জনের আনন্দলোকে বিচরণ করে। সেখানে রয়েছে অন্ধকার টানেলের পরে সর্বদুঃখনাশিনী আলোর হাতছানি।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে একটি সুধী সমাবেশে ‘সময় প্রকাশন’ প্রকাশিত বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ও আলোচনা শুনে ভেবেছিলাম, এর একটি ‘রিভিউ’ লিখব-জনসমক্ষে বইটিকে আমার অতীব সীমিত সামর্থ্য দিয়েই যথাসাধ্য পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সামান্য প্রচেষ্টা হিসেবে। সন্দেহাতীতভাবে স্থান-কাল, সামাজিক অবস্থান, বয়স ও মতামত নির্বিশেষে এ বইয়ের সব পাঠকই উৎসাহিত, উদ্বুদ্ধ ও আনন্দিত হবেন।

আত্মীয়তার সম্পর্কে ভ্রাতুষ্পুত্র স্নেহভাজন মনসুরের সঙ্গে আমার আজন্ম পরিচয়। তা ছাড়া বর্তমানে দুই দশকাধিক কাল থেকে সেবাধর্মী এনজিও ‘ইম্প্যাক্ট’-এর ট্রাস্টি বোর্ডে একসঙ্গে কাজ করছি। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জ্ঞান আহরণে তাঁর অদম্য আগ্রহ ও সামর্থ্য, সব ক্ষেত্রে তাঁর আশাবাদ এবং কখনো পরাজয় না মেনে, হতোদ্যম না হয়ে সাফল্য অর্জনের জন্য তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টা আমাকে (এবং তাঁর পরিচিত সর্বজনকে) সব সময়ই চমৎকৃত ও অভিভূত করেছে। সুলিখিত এ বইটির প্রতিটি পাতায়ই মনসুরের ব্যক্তিত্ব ও সর্বজয়ী আশাবাদের উজ্জ্বল স্বাক্ষর।

দেশবরেণ্য অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বইটির একটি অত্যন্ত চমৎকার ও অর্থবহ ভূমিকা লিখেছেন- শীর্ষনাম ‘এক আলোকসন্ধানী মানুষের আত্মকথন’। সেখানে তিনি ‘গ্রন্থকার এবং গ্রন্থ’ এ দুইয়ের ওপর যথোচিত আলোকপাত করেছেন। গ্রন্থকারের পরিচিতি নিঃসন্দেহে বইটির সম্যক অনুধাবনকে সহজসাধ্য করে তুলবে। জনপ্রিয় ও পাঠকসমাদৃত লেখক অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের বইটির ওপর লিখিত একটি সাম্প্রতিক বিশ্লেষণাধর্মী সপ্রশংস ‘রিভিউ’ বইটি পঠনে আগ্রহ জন্মায়।

লেখকের দৃষ্টিহীনতাহেতু বইটি রচিত হয়েছে কষ্টসাধ্য শ্রুতিলিখনের মাধ্যমে। কিন্তু তাতে মানের বা বক্তব্য প্রকাশের স্বাভাবিকতার কোনো হানি হয়নি; বরং একটি সাবলীল ও স্বচ্ছন্দ বাচনভঙ্গিই বজায় রয়েছে। তবে গ্রন্থকার মনসুর কী করে তাঁর কর্মময় কীর্তি-মহান জীবনের উল্লেখযোগ্য সব ঘটনার স্থান-কাল, দিন-তারিখ-ক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট সবকিছু সঠিক ক্রমে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে স্মৃতিতে ধরে রাখতে এবং অনবদ্যভাবে বিবৃত করতে পেরেছেন, তা সত্যিই বিস্ময়কর।

মনসুর তাঁর বেঁচে থাকা, বেড়ে ওঠা ও জীবনধারণের বর্ণনায় পারিপাশির্^কতা উপেক্ষা করেননি। ইতিহাসমান্যতা বজায় রেখে অবিচ্ছেদ্যভাবেই পরিবর্তনশীল পটভূমি জীবন্ত হয়ে উঠেছে তাঁর সাবলীল প্রাণবন্ত ধারাবর্ণনায়। ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনান্তে স্বাধীনতা প্রাপ্তিকালে গণভোটে পাকিস্তানে যোগদানকারী সিলেটের তদানীন্তন এক মহকুমা শহরে তাঁর জন্ম। শৈশব আর কৈশোরে তাঁর ‘আলো থেকে অন্ধকারে’ এবং পরে অন্ধকার জয়ের প্রচেষ্টার সূচনা। আত্মবিকাশের সব বাধা অতিক্রম করে উচ্চশিক্ষা আহরণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মনসুরের শিক্ষা গ্রহণকালীন অবস্থায় হলো বাংলাদেশের অভুদ্যয়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ওখান থেকেই অর্জন করে প্রতিবন্ধী হিসেবেই দক্ষতা বৃদ্ধি, জ্ঞানার্জন, নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি উচ্চশিক্ষা ও ট্রেনিংয়ের জন্য সুইডেন, মালয়েশিয়া, জাপান, নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষা গ্রহণ করেন। জড়িত হয়ে পড়েন প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা প্রতিষ্ঠার নিবেদিতপ্রাণ সংগ্রামে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় উদ্যোগের সঙ্গে হন সম্পৃক্ত। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, ডিজঅ্যাবিলিটি কাউন্সিল ইন্টারন্যাশনাল, UN-ESCAP, বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসসহ বহুবিধ প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ডে তাঁর রয়েছে উল্লেখযোগ্য সম্পৃক্ততা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহু কনফারেন্স, সেমিনারে করেছেন অংশগ্রহণ, ভ্রমণ করেছেন বহু দেশ। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধকতা তাঁর সামাজিক সচেতনতা ও সাংস্কৃতিক উপলব্ধির বিকাশ কোনোক্রমেই অবদমিত করতে পারেনি। পেয়েছেন তিনি বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সম্মান। এসব উদাহরণ বাস্তবিকই শুধু প্রতিবন্ধী নয়, সব মানুষকেই উদ্বুদ্ধ করে, প্রাণিত করে, বাধাবিপত্তি ডিঙিয়ে এগিয়ে যেতে তাড়িত করে। আমার মনে হয়, উচ্চতর জাতীয় সম্মাননা যেমন একুশে পদক বা স্বাধীনতা পুরস্কার আবশ্যিকভাবেই তাঁর প্রাপ্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সুবিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানাই। এ-জাতীয় স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে অন্যদের অধিকতর উজ্জীবিত করবে। বস্তুত পক্ষে, মনসুর যথার্থই বলতে পারেন ‘আমার জীবনই আমার বাণী’। বইটিতে তাঁর সংগ্রামী কর্মমুখর জীবনকাহিনি ‘আশা-আশাভঙ্গ-আশা’র অপূর্ব সংমিশ্রণে নিপুণ মুনশিয়ানায় বিবর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমে বিবৃত হয়েছে। ঘটনাপ্রবাহের সুশৃঙ্খল বিন্যাসে, সাবলীল কথনের প্রাঞ্জল সরলতায় হয়েছে জীবন-অভিজ্ঞতার অপূর্ব রূপায়ণ।

জান্নাতবাসী মা-বাবা সমীপে উৎসর্গীকৃত বইটিতে লেখকের উক্তি তাঁরা ‘বজ্রকঠিন মনোভাব ও পৃথিবীকে উপলব্ধি করার সমুদ্রসম বিশালতা দিয়ে’ তাঁকে প্রতি পদে অনুভব করিয়েছেন হেরে যাওয়ার জন্য জন্ম হয়নি, বরং নিজেকে প্রমাণ করার মধ্যেই রয়েছে বেঁচে থাকার সার্থকতা।

অভাবিত একটি সামান্য দুর্ঘটনায় এক বিশ্বখ্যাত চক্ষু চিকিৎসকের সম্ভাব্য গাফিলতিতে চিরজীবনের জন্য মনসুরকে দৃষ্টি হারাতে হলো। আলো থেকে অন্ধকারে হলো তাঁর চিরনির্বাসন। কিন্তু এতে তাঁর খেদ নেই, অভিযোগ নেই, নেই কোনো ক্ষোভের প্রকাশ। বরং একটি গানকেই সারা জীবনের প্রার্থনাসংগীতের মতো তিনি গ্রহণ করলেন-

‘এই করেছ ভালো, নিঠুর হে, এই করেছ ভালো,

এমনি করে হৃদয়ে মোর তীব্র দহন জ্বালো।’

জীবন চলার পথে দৃষ্টিহীনতা বহু অন্তরায়ের সৃষ্টি করেছে। ঢাকা কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় তদানীন্তন প্রিন্সিপাল প্রয়াত জালালউদ্দিন সাহেব প্রথমে দৃষ্টিহীনতাজনিত অসুবিধার জন্য ভর্তি করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরিশেষে মনসুরের বাবার বিশেষ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে রাজি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিতে একজন বন্ধু মনসুরকে বই থেকে প্রয়োজনীয় শব্দ করে পড়ে সহায়তা করেছিল বলে লাইব্রেরিয়ান তাঁকে নিষিদ্ধ করে দেন। আবার স্কলারশিপের টাকা ওঠাতে দু-তিন জায়গায় স্বাক্ষরের বাহ্যত গরমিল মনে হলে অ্যাকাউন্টস অফিস বৃত্তি প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে। উভয় ক্ষেত্রেই ভাইস চ্যান্সেলরের কাছে সরাসরি অভিযোগ করলে ছাত্রবান্ধব ব্যক্তিত্বসম্পন্ন স্থিতধী ভিসি ড. ওসমান গনি নিজেই তাৎক্ষণিক ফোন করে সমস্যার অবিলম্ব সমাধান করে দেন। পত্রপত্রিকায় মনসুরের শিক্ষাগত সাফল্যের কথা দেখে পাকিস্তানের শক্তিমান প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ৯ আগস্ট, ১৯৬৬ সালে তাঁর অফিসের যোগাযোগ মারফত মনসুরকে ডেকে এনে সাক্ষাৎ করে প্রভূত উৎসাহ ও সহায়তার আশ্বাস দেন। পত্রিকাদিতে প্রকাশিত এই সংবাদ সমাজে মনসুরের জন্য আনুকূল্যের সৃষ্টি করে। ইমিগ্রেশন, ভিসা প্রাপ্তি এবং অন্য বহুবিধ স্থানে হয়েছে মনসুরের বাধা ও বিপত্তি। কিন্তু তা সব মোকাবিলা করে মনসুর এগিয়ে গেছেন।

মনসুরের সাবলীল ও চমকপ্রদ বর্ণনায় তাঁর যাপিত জীবৎকালীন ছাত্র, সমাজ ও রাজনীতির চিত্র সুন্দর স্বভাবিকতায় ফুটে উঠেছে। তাঁর ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোর চিত্রগ্রাহী বর্ণনা ওই দুই বিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব ছাত্র হিসেবে আমার মনেও নস্টালজিয়ার সৃষ্টি করে। বিবরণী পড়ে মনে হয় আমাদের পঞ্চাশ দশকের মতো অন্তত মধ্যষাট দশকেও ঢাকার ছাত্রসমাজে একটি পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহনশীলতার পরিবেশ বজায় ছিল। বর্তমানের হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছৃখলতা, লেজুড়বৃত্তি ও পেশিশক্তিতে প্রভাবান্বিত পরিবেশের সৃষ্টি তখনো হয়নি। ১৯৬৬ সালের ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা মনসুর বিবৃত করেছেন। মনে পড়ে, ১৯৫২-৫৩ সালের ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদে আমি জেনারেল সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিলাম। কী সুন্দর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তখন ছিল। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও কলেজ প্রাঙ্গণে অননুমোদিত শহীদ মিনার নির্মাণের অভিযোগে আমাকে কলেজ থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তাতে যোগদান করেছিল দলমতনির্বিশেষে সব ছাত্রই। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এস এম হলে একাধিক নির্বাচন করে জয়ী হয়েছি, কিন্তু কখনো কোনো হানাহানি, বলপ্রয়োগের প্রশ্ন হয়নি। পড়ে মনে হলো সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের অনুষ্ঠান মনসুরের অধ্যয়নকালে আমাদের কালের মতোই ছিল নিরুপদ্রব, নির্ঝঞ্ঝাট, আনন্দদায়ক। পেশিশক্তিনির্ভর দলীয় রাজনীতিকেন্দ্রিক, বিদ্বেষপূর্ণ ছাত্র রাজনীতি সম্ভবত তৎপরবর্তীকালে শুরু।

মনসুর তাঁর জীবনের ঘটনাবলির সঙ্গে স্মৃতিতে স্বজন, বন্ধু ও সহকর্মীদের কথা উল্লেখ করেছেন। লিখেছেন বর্তমান সময় আর তাঁর ‘চোখে দেখা’ করোনাকালীন পৃথিবীর বিবরণ। বলেছেন তাঁর বিভিন্ন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আর দিয়েছেন বহু বিচিত্র জনের মধুর সমমর্মিতর আর প্রীতি-স্নিগ্ধ আচরণের উদাহরণ। ভালো দিন, মন্দ দিনের কথা। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই রয়েছে জীবনের প্রতি তাঁর গভীর ভালোবাসার, অশেষ জীবনতৃষ্ণার স্বাক্ষর। Joie de vivre তাঁর জীবনের মন্ত্র। জীবনে মনসুর স্বাভাবিকাধিক ট্র্যাজেডির ভুক্তভোগী হয়েছেন। পোহাতে হয়েছে অভাবনীয় বহু দুর্ভোগ। ১৯৮৫ সালে একজন অতীব চমৎকার মেয়ে জেসমিনের সঙ্গে বিয়ে তাঁর জন্য এক শান্তিময় আনন্দের যুগ সূচনা করলেও পরের বছরই ওকে পিতৃহারা হতে হলো। দাম্পত্য সুখও তাঁর বেশি দিন টেকেনি। ১০ বছরের মধ্যেই দুরারোগ্য ক্যান্সার অকালে পরম দুঃখজনকভাবেই জেসমিনকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল। জীবিত একমাত্র (বড়) ভাই সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবান কর্মপটু সফল বিজনেস এক্সিকিউটিভ অভিভাবকতুল্য নিয়াজ চৌধুরী গ্লুকোমায় হয়ে গেলেন প্রায় সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন। মনসুর বিষাদাক্রান্ত, তবে হতোদ্যম নন।

বর্তমানে মনসুর তাঁর যোগ্য কৃতী পুত্র বিপুল (জাহিদ আহমেদ চৌধুরী) ও নববিবাহিত পুত্রবধূ সামরিনকে নিয়ে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যহানি সত্ত্বেও পারিবারিক প্রশান্তিতে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সম্পৃক্ত হয়ে কর্মরত রয়েছেন। এখনো দেখছেন শান্তি, প্রীতি, প্রগতি, সমৃদ্ধি ও সহযোগিতার দুনিয়ার স্বপ্ন। আশা করছেন কালক্রমে গড়ে উঠবে সুন্দর পৃথিবীতে আমাদের অভীষ্ট সোনার বাংলাদেশ। পরিশেষে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের লিখিত ভূমিকার শেষতম বাক্যের অতুলনীয় ও যথোপযুক্ত শব্দগুলোরই পুনরুক্তি করতে চাই- ‘আপন আলোয় দেখা ভুবন’ যত বেশি পাঠক পড়বেন, তত একটা অভয় বাণী ছড়িয়ে পড়বে ‘অসম্ভবকে সম্ভব করার শক্তি আমাদের মধ্যেই আছে, তাকে খুঁজে নিতে হয়।’

 

 

লেখক : উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর