সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

গৃহহীনদের জন্য গৃহ

মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার পূরণের কর্মসূচি

স্বাধীনতার মাস মার্চে আরও ৪০ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে নিজেদের ঘর। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় ২ লাখেরও বেশি অসহায় মানুষ তাদের ঠিকানা ফিরে পাবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি ছিল মুজিববর্ষে দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, তা বাস্তবায়নকেও প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেন। এ পর্যন্ত তিন দফায় ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের জুন থেকে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে দেশের সব ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করা হয়। ইতোমধ্যে তিন ধাপে প্রত্যেকটি উপকারভোগী পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে দুই শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা ঘর দেওয়া হয়েছে। ‘আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত চতুর্থ ধাপের ঘরগুলো মার্চের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তান্তর করবেন এমন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর পোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রমের যাত্রা শুরু করেন। তাঁর দেখানো পথেই বঙ্গবন্ধুকন্যা ১৯৯৭ সালের ১৯ মে কক্সবাজারের গৃহহীনদের গৃহায়নে একটি প্রকল্প শুরু করেন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিশ্রুতি ছিল দেশবাসীর অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা ইত্যাদি মৌলিক অধিকারগুলো পূরণ করা। দুনিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ বাংলাদেশে পাঁচ দশকে চাষযোগ্য জমি অর্ধেকে নেমে এলেও এবং জনসংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বাড়লেও খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে তিন গুণ।  যে দেশের বেশির ভাগ মানুষ স্বাধীনতার আগে বিদেশে পুরনো পোশাকের ওপর নির্ভরশীল ছিল সে দেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় পোশাক রপ্তানিকারক। চিকিৎসা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশে। গৃহহীনদের গৃহদান মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার পূরণে দেশ আরও একধাপ এগিয়ে যাবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর