শিরোনাম
শুক্রবার, ৫ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

হুন্ডির অশুভ থাবা

ডলার সংকট জিইয়ে রাখছে

হুন্ডি ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির প্রধান শত্রু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দেশপ্রেম বর্জিত কিছু লোভী মানুষের কারণে হ্রাস পেয়েছে প্রবাসী আয়। ডলার সংকটের জন্যও দায়ী হুন্ডি ব্যবসায়ীদের অপপ্রয়াস। অভিযোগ রয়েছে, এদের মদদ জোগাচ্ছে অপরাজনীতির ঘৃণ্যজীবরা। তারা প্রবাসীদের ব্যাংকিং খাতের বদলে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে অর্থ পাঠাতে প্ররোচনা জোগাচ্ছে। উদ্দেশ্য দেশে যে ডলার সংকট বিরাজ করছে যেভাবেই হোক তা জিইয়ে রাখা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরুর দিকে প্রবাসী আয় প্রতি মাসে ২০০ কোটি ডলার অতিক্রম করলেও দুই মাস পরই তা দেড় শ কোটির ঘরে নেমে আসে। জুলাই মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২০৯ কোটি ডলার হলেও পরের মাস থেকেই কমতে থাকে। আগস্টে প্রবাসী আয় ২০৩ কোটি ডলারে নেমে আসে। সেপ্টেম্বর মাসে আসে আগের মাসের তুলনায় ৫০ কোটি ডলার কম বা ১৫৩ কোটি ডলার। অক্টোবরে আরও কমে ১৫২ কোটি ডলার হয়। তবে নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ডলার এবং ডিসেম্বরে প্রবাসীরা ১৬৯ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছে। টানা ছয় মাস পতনের পর চলতি বছরের শুরুতে আবার বাড়ে রেমিট্যান্স। এ বছরের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৫ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন। তবে ফেব্রুয়ারিতে গিয়ে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠলে ১৫৬ কোটি ডলারে নামে প্রবাসী আয়। তবে পরের মাস মার্চে প্রবাসী আয় আবার ২০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে। প্রত্যাশা ছিল ঈদুল ফিতরের কারণে এপ্রিল মাসেও চাঙা থাকবে প্রবাসী আয়। কিন্তু হুন্ডির থাবা সে প্রত্যাশাকে গিলে  খেয়েছে। সরকার ডলার সংকটে কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে আইএমএফের তেত ট্যাবলেট গলধকরণ করলেও ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। এর ফলে হুন্ডির থাবা দেশের অর্থনীতির ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। হুন্ডি বন্ধে প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোর ওপর নজরদারি শুরু হলে পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। সংশ্লিষ্টরা কোন পন্থায় টাকা পাচ্ছেন সেদিকে নজরদারি শুরু হলেই হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাঠানো প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর