মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ সংকট

সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ রাখুন

ভয়াবহ দাবদাহে পুড়ছে দেশ। দেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে আর কখনো এত উষ্ণতা দেখেনি মানুষ। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ সংকট। তীব্র গরমে স্বস্তি দিতে পারে বৈদ্যুতিক পাখার হাওয়া কিংবা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। খোদ রাজধানীতেই এখন বিদ্যুতের অবস্থা এই আসে এই যায়। দেশে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বৈশ্বিক মন্দার অভিশাপে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের তিন উপকরণ গ্যাস, জ্বালানি তেল ও কয়লার দাম এখন বিশ্ববাজারে আকাশচুম্বী। অধিমূল্যে জ্বালানি আমদানি করে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিল্প খাতের উৎপাদন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনীতি। উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় ডলার সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যুতের যে নিয়ন্ত্রণহীন ঘাটতি বিরাজ করছে দেশজুড়ে, তা থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো জাদুর চাবি কারও হাতে নেই। এখন দরকার বৃষ্টি। তপ্ত আবহাওয়া ঠান্ডা করার একমাত্র উপায়। বৃষ্টি হলে চলমান বিদ্যুৎ চাহিদা অন্তত ২০ শতাংশ কমে আসবে। রিমঝিম বৃষ্টির পরশে কাটবে উষ্ণতা এবং হ্রাস পাবে লোডশেডিং। ভয়াবহ দাবদাহে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এটি একটি প্রশংসিত সিদ্ধান্ত। বিদ্যুতের অপচয় রোধে সন্ধ্যার পর তরকারি, মাছ ও নিত্যপণ্য বাদে সব মার্কেট বন্ধ রাখা যেতে পারে। এর আগে রাত ৮টার পর মার্কেট বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না কেন দেখার কেউ নেই। অথচ প্রতিবেশী সব দেশে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে এ ধরনের নানা কর্মসূচি। জ্বালানি সংকট রোধে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের বিলাসিতায় বাদ সাধা যেতে পারে। বিশ্বমন্দার বিষয়ে সরকারপ্রধান দেশবাসীকে সতর্ক করেছিলেন আগেভাগে। কিন্তু জনসচেতনতার অভাবে অপচয়ের অভ্যাস বন্ধ হয়নি। বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতে অপচয় যাতে বন্ধ হয় সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর