শিরোনাম
শুক্রবার, ৩ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ছে বিশ্বজুড়ে

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ছে বিশ্বজুড়ে

আজ থেকে আড়াই মাস আগে (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) ইংল্যান্ডের লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’ এক গবেষণায় দেখিয়েছে যে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় আগের বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ বেড়ে ২.২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা একটি নতুন রেকর্ড। তবে এ রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে ২০২৪ সালে। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ আরও দীর্ঘ ও ভয়াবহ হওয়ার ইঙ্গিত এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে ২০২৪ সালে সামরিক ব্যয় সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে। মূলত কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, রাশিয়া ও আমেরিকা নিয়ে গঠিত আরটিক অঞ্চলে উত্তেজনা, বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের তীব্র আকাক্সক্ষা, চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং আফ্রিকার সাহিল অঞ্চলে (সেনেগাল, গাম্বিয়া, মৌরিতানিয়া, মালি, বুর্কিনা ফাসো, নাইজার ও নাইজেরিয়া) রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ ও পরোক্ষ ভূমিকার কারণে সামরিক ব্যয় উত্তরোত্তর বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে লন্ডনের এ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ বিশেষত ইয়েমেনে সরকারবিরোধীদের পেছনে ইরানের সামরিক সমর্থন প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

অন্যদিকে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বিগত প্রায় ৬০ বছর ধরে যুদ্ধ, সশস্ত্র সংগ্রাম, সামরিক ব্যয়, অস্ত্রবাণিজ্য, নিরস্ত্রীকরণ প্রভৃতি নিয়ে গবেষণা করে আসছে স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’। গত ২২ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানটি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়- বিশ্বব্যাপী ২০২৩ সালে সামরিক খাতে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৪৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালের সামরিক ব্যয়ের চেয়ে ৬.৮% বেশি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, ক্রমবর্ধমান দুশ্চিন্তা ও নিরাপত্তাহীনতার প্রেক্ষাপটে সামরিক ব্যয় বাড়ার তথ্যসংবলিত প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হলো। প্রতিবেদন মতে, ৯ বছর ধরে ক্রমাগতভাবে বেড়েই চলেছে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় এবং ভবিষ্যতে এ প্রবণতা বাড়বে বই কমবে না।

অস্ত্রবাণিজ্যের ক্ষেত্রে পৃথিবীকে পাঁচটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। এর মধ্যে ইউরোপ, এশিয়া, ওশেনিয়া (অস্ট্রেলিয়া) ও মধ্যপ্রাচ্য- এ চারটি অঞ্চলেই ২০২৩ সালে সামরিক ব্যয় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। সামরিক ব্যয় সরাসরি বিশ্ব নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। যে কোনো ব্যক্তি, সংগঠন, দেশ বা অঞ্চল যখনই নিরাপত্তার অভাব বোধ করে তখনই বাড়তি নিরাপত্তার প্রত্যাশায় সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করে। তাই বলা যায়, অশান্ত পৃথিবী ও ভবিষ্যৎ আশঙ্কার কারণেই পৃথিবীময় সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এ অশান্ত পরিবেশ বা আশঙ্কা কোনো ভিনদেশি গ্রহের জীব বা বনের পশু-পাখিদের সৃষ্ট নয়। এ পৃথিবীর কিছু যুদ্ধবাজ দেশ এবং কিছু যুদ্ধপ্রিয় ও লোভী মানুষের সৃষ্টি।

১৭৭৬ সালেই অর্থশাস্ত্রের জনকরূপে স্বীকৃত স্কটিশ অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক অ্যাডাম স্মিথ তার কালজয়ী গ্রন্থ ‘ওয়েলথ অব নেশনস’ বইয়ে জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ তথা ট্যাক্স আদায়ের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, রাষ্ট্রের পক্ষে সরকারের দায়িত্ব দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা তথা সামরিক খাতে ব্যয়ের যৌক্তিকতা ৪৫০ বছর আগেই মানুষ মেনে নিয়েছিল বলে ধরা হয়। এমনকি বর্তমানকালেও বহির্বিশ্বের শত্রু ও অভ্যন্তরীণ গোলযোগকারীদের হাত থেকে নিজ দেশ, দেশের সম্পদ ও জনগণকে রক্ষা এবং যে কোনো বিনিয়োগের সুরক্ষা প্রদানের সক্ষমতার ভিত্তিতেই বৈদেশিক বিনিয়োগ পাওয়া যায়। তাই অর্থনীতিবিদ এবং গবেষকদের একটি বড় অংশই জনগণের টাকা প্রতিরক্ষা খাতে খরচ তথা সামরিক ব্যয় অযৌক্তিক নয় বলে বিবেচনা করেন। এমন মতাবলম্বীদের যারা বিরোধিতা করেন তারা আবার মনে করেন প্রতিরক্ষা আদতে একটি অনুৎপাদনশীল খাত, যা থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ নেই। আর বিশাল পরাশক্তির পাশে বসবাস করে অথবা পারমাণবিক অস্ত্রের বলয়ের নিচে থেকে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। রাশিয়ার পাশে থেকে ইউক্রেনের সামরিক ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তোলেন।

জনগণের টাকা প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিপত্তির কেন্দ্রবিন্দু হলো সম্পদের সীমাবদ্ধতা।

অর্থনীতির সূত্র মোতাবেক জোগান সীমাবদ্ধ না হলে কোনো কিছু সম্পদ হতে পারে না। জনগণের দেওয়া ট্যাক্সের টাকা কিংবা প্রাকৃতিক সম্পদ ও খনিজ সম্পদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ; সবকিছুরই জোগান বা পরিমাণ সীমাবদ্ধ থাকে। ফলে এ সীমাবদ্ধ সম্পদ একটি খাতে বরাদ্দ বা ব্যয় হলে তার প্রভাব পড়ে অন্য খাতে। এক্ষেত্রে যথাযথ সমন্বয় ও বিচক্ষণতার ওপরই নির্ভর করে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ।

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বার্কব্যাক কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সাদেত ডেজার ও রন স্মিথ ১৯৮৩ সালেই ‘মিলিটারি এক্সপেন্ডেচার অ্যান্ড গ্রোথ ইন লেস ডেভেলপড কান্ট্রিস’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে দাবি করেন, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ (ওইসিডি) এর সদস্য ৩৮টি উন্নত রাষ্ট্র সামরিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে পুঁজি সরবরাহ ও উৎপাদন হারের মতো স্পর্শকাতর অর্থনৈতিক সূচকে ১৯৭৭, ১৯৭৮ ও ১৯৮০ সালে পিছিয়ে পড়েছিল। তবে এর বিপরীত চিত্র দেখা যায় স্বল্প উন্নত দেশে, যেখানে সামরিক ব্যয়ের ওপর নির্ভর করে উৎপাদনের হার বৃদ্ধির প্রবণতা। অর্থাৎ স্বল্পোন্নত দেশে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়লে উৎপাদনের হারও বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছিল। অন্যদিকে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং ৭০ দশকের অভিজ্ঞতার আলোকে মন্তব্য করেছিল যে, বৈশ্বিক উন্নয়নের পক্ষে একটি বড় অন্তরায় হলো প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়। জাতিসংঘের এ বক্তব্যের সঙ্গে আজও একমত পোষণ করেন বিশ্ববরেণ্য বহু পণ্ডিত, বুদ্ধিজীবী, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতি বিশ্লেষক ও গবেষক।

ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূরাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ওপর নজর বাড়ছে বিশ্বের বহু দেশ এবং সংগঠনের। বাংলাদেশের স্থলসীমার তিনদিকে মূলত ভারত আর একদিকে বঙ্গোপসাগর। এ ছাড়াও মিয়ানমারের সঙ্গে স্থলভাগে ২০৭ কিলোমিটার, নাফ নদ বরাবর ৬৮ কিলোমিটার এবং সাগরের বুকে ২০০ নটিক্যাল মাইল সীমান্ত বা সমুদ্রসীমা রয়েছে বাংলাদেশের। ভারত ২০২৩ সালে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ের দিক থেকে বিশ্বের বুকে চতুর্থ অবস্থানে ছিল। চীন, পাকিস্তান ও মিয়ানমারের সঙ্গে বিশাল সীমান্ত থাকায় প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের ব্যয় বেড়েই চলেছে। ২০২৩ সালে এ ব্যয় ছিল ৮৩.৬ বিলিয়ন ডলার। পক্ষান্তরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট বাজেট ছিল ৭১ বিলিয়ন ডলারের সমান। তাই বাংলাদেশকে সামরিক সক্ষমতায় প্রতিযোগিতার বদলে কৌশলী হতে হবে অন্য সব দিক থেকে।

মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিশেষত বাংলাদেশের পাশে থাকা এ দেশটির রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ হ্রাস এবং বিদ্রোহী আরাকান আর্মির আধিপত্য প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এক্ষেত্রেও সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করে মিয়ানমারের ওপর কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি করা সহজ হবে না, বরং কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই মিয়ানমারের সঙ্গে উদ্ভূত সামরিক ও রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

দেশের তিন পার্বত্য জেলায় একসময় সেনাবাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি এবং নানামুখী কার্যক্রমের জন্য মোট জাতীয় বাজেট ও প্রতিরক্ষা বাজেটের উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যয় করতে হতো। এ ব্যয়ের বড় অংশজুড়েই থাকত সেনাসদস্যদের বেতন ও ভাতার চাপ। শান্তিচুক্তির পর সেনাবাহিনীকে আকার ও কার্যক্রমের দিক থেকে সংকুচিত করার ফলে বেতন ও ভাতা খাতে ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। এ সময় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তিন পার্বত্য জেলায় বিশেষত সীমান্তবর্তী এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছিল চোখে পড়ার মতো। অতিসম্প্রতি বান্দরবান পার্বত্য জেলায় কেএনএফ আর্মির নাশকতামূলক কার্যক্রমের কারণে সেনাবাহিনীকে আবারও মাঠে নামতে হয়েছে। ২০২৪ সালজুড়ে যদি এরকম সেনা তৎপরতা চলতে থাকে তবে এমনিতেই প্রতিরক্ষা ব্যয় ও জাতীয় বাজেটে তার প্রভাব পড়বে। তাই প্রতিকার নয়, প্রতিরোধের কৌশল নিয়েই তিন পার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনীকে এগিয়ে যেতে হবে।

আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধের অবসান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের এক ছাতায় নিচে অবস্থান, দুই জার্মানির একীভূত হওয়া- প্রভৃতির কল্যাণে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে সেই শান্তির সম্ভাবনা ক্রমেই ম্লান হতে থাকে। আর ২০২৪ সালে সেই অশান্তির পারদ আরও ওপরে উঠে যায়।

ক্রমবর্ধমান এ উত্তেজনা বৃদ্ধির পেছনে অস্ত্র ব্যবসায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশগুলোর দিকেই আঙুল তোলেন বিশ্লেষকরা। পৃথিবীর ১০০টিরও বেশি দেশে আমেরিকা অস্ত্র সরবরাহ করে বলে তথ্য দিয়েছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট। ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বের বুকে যত অস্ত্র বিক্রি বা আমদানি-রপ্তানি হয়েছে, তার ৪১.৭% হয়েছে আমেরিকার মাধ্যমে। বিশ্বের প্রথম সারির অধিকাংশ সমরাস্ত্র কারখানার ঠিকানা আমেরিকায়। আমেরিকার অর্থনীতি ও প্রশাসনিক নীতি নির্ধারণে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের বিশেষ ভূমিকা সর্বজনবিদিত। তাই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বিশ্ব উত্তেজনা তথা প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বিক্রি, চাহিদা ও অগ্রিম আদেশ বৃদ্ধি পায়। এটি কাকতালীয় না পরিকল্পিত তা নিয়ে চলে তর্ক-বিতর্ক।

শেষ করব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথা ব্লগে পাওয়া একটি প্রতিবেদনের একাংশ উল্লেখ করে। শান্তিকামী একদল ব্লগারের দাবি- মূলত চীন সামরিক বিচারে কোনোভাবেই আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আমেরিকা আসলে চীনকে ভয় পায় না, আমেরিকার মূল ভয় ‘শান্তি’ বা ‘বিশ্ব শান্তি’কে। কারণ পৃথিবীর বুকে যুদ্ধ থেমে গেলে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে আমেরিকার মোড়লগিরি আর থাকবে না। বন্ধ হয়ে যাবে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কয়েক শ ছোট, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। বেকার হয়ে যাবেন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে নিয়োজিত কয়েক হাজার গবেষক, প্রকৌশলী, শ্রমিক ও বিপণনকর্মী। সংকুচিত হবে প্রতিরক্ষা বাহিনীর আকার এবং নতুন করে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান তথা বেকারত্ব লাঘবের সুযোগ। বিশ্বের মোট সম্পদের একটা বড় অংশ প্রতিরক্ষা খাতের বদলে অবকাঠামো উন্নয়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ, পরিবেশ রক্ষা ও জনকল্যাণে ব্যয় হবে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে খোদ আমেরিকা। সুতরাং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তথা অস্ত্র উৎপাদন না কমলে পৃথিবীর সর্বত্র এমনকি আমাদের দেশেও শান্তি প্রবাহ বিঘ্নিত হবে।

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

email : [email protected]

সর্বশেষ খবর