শুক্রবার, ২৪ মে, ২০২৪ ০০:০০ টা

পর্যটন বিড়ম্বনা

মূল সমস্যায় হাত দিতে হবে

পৃথিবীর অনেক দেশের রাজস্ব আয়ের প্রধান খাত পর্যটন। অথচ অন্তহীন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং দর্শনীয় স্থানের দেশ হওয়া সত্ত্বেও পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের জায়গা হয়েছে তালিকার তলানিতে। বিশ্বের এক প্রাকৃতিক বিস্ময় ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন, দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, অসংখ্য নদী, হাওর-বাঁওড়, মনোরম পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও বাংলাদেশে রয়েছে অনেক প্রাচীন স্থাপনা। যেমন লালবাগ কেল্লা, ষাটগম্বুজ মসজিদ। রয়েছে পাহাড়পুর ও ময়নামতীর বৌদ্ধবিহার ইত্যাদি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। সম্ভাবনা অসীম, কিন্তু পরিকল্পিত পদক্ষেপের অভাব ও অব্যবস্থাপনার কারণে আশাব্যঞ্জক পর্যটক আকর্ষণ সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভাবনার সুফল ঘরে তোলা যাচ্ছে না। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক জরিপে দেখা গেছে, পর্যটন সূচকে বিশ্বের ১১৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার শেষে। এর জন্য দায়ী হিসেবে যে বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করা যায়, তার মধ্যে রয়েছে- অবকাঠামোগত দুর্বলতা, পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত মানসম্মত আবাসন না থাকা, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিজনিত বাধা এবং নিরাপত্তাহীনতা। বলা যায়, প্রয়োজনীয় প্রচারণার অভাবও এক্ষেত্রে আমাদের পিছিয়ে রেখেছে। সুপরিকল্পিত উদ্যোগ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন অসম্ভব বা খুব সময়সাপেক্ষ নয়। দেশ ইতোমধ্যে এক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়েছেও। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলো বিশ্ববাসীর সামনে দেশের পর্যটন আকর্ষণগুলোকে উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরতে পারে, যেন বিদেশিরা এ দেশ ভ্রমণ-পর্যটনে আকৃষ্ট হন। দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বিদেশিদের জন্য সংরক্ষিত পৃথক ‘পর্যটন এলাকা’ তৈরি করা যেতে পারে- যেখানে তারা নিরাপদে, নিঃসংকোচে বিচরণ এবং পছন্দের খাদ্যপানীয় গ্রহণ করতে পারবেন। সরকার এসব পদক্ষেপ নিয়ে যথাযথ নীতি প্রণয়ন করলে দেশে পর্যটন খাতের উন্নয়ন সম্ভব হবে। পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নেও এ খাত ভূমিকা রাখতে পারে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর