প্রতিটা মানুষের জন্যই মৃত্যু সুনিশ্চিত বিষয়। যার ধারাবাহিকতায় প্রতিনিয়ত আমাদের মধ্য থেকে কেউ না কেউ মৃত্যুর সম্মুখীন হচ্ছে। বাসিন্দা হচ্ছে কবর জগতের। মানুষ পৃথিবী থেকে চলে যায় কিন্তু রেখে যায় তার কর্ম। যেগুলো স্মরণ করে মানুষ তাদের জন্য দোয়া এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করে। যার মাধ্যমে তারা কবরে শান্তিতে থাকবে। মৃত্যু সম্পর্কে কোরআনে এসেছে, আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেককে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। আমি তোমাদের মন্দ ও ভালো দ্বারা পরীক্ষা করে থাকি এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।’ সুরা আম্বিয়া, আয়াত নম্বর ৩৫। নিহত ব্যক্তিদের কথা মনে পড়লে তাদের ভালো কাজের আলোচনা করা। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃতদের ভালো কাজগুলোর আলোচনা করো এবং মন্দ কাজের আলোচনা থেকে বিরত থাকো।’ আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ৪৯০০। নিহত ব্যক্তিদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা। এ প্রসঙ্গে কোরআনে নবী ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া বর্ণিত হয়েছে, ‘হে আমার প্রতিপালক! যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সব ইমানদারকে ক্ষমা করুন।’ সুরা ইবরাহিম, আয়াত ৪১। মৃত্যুর পর মানুষের সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু কিছু আমল ছাড়া। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যখন মানুষ মারা যায় তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু তিনটি আমলের ফায়দা ভোগ করে -সদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান; যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং ওই সুসন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’ মুসলিম, হাদিস নম্বর ১৬৩১। সব সময় নিহত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষমা ও শান্তি প্রার্থনা করা। ইমানদার মানুষের মৃত্যুর সংবাদ পেলে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করা জীবিতদের পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির জন্য উত্তম উপহার। এ প্রসঙ্গে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মৃত ব্যক্তি তার পিতা-মাতা, ভাই ও বন্ধুর দিকে দোয়ার আশায় তাকিয়ে থাকে। আল্লাহ কবরবাসীর কাছে পৃথিবীবাসীর ছোট্ট দোয়াকেও অনেক বড় করে উপস্থাপন করেন।’ শোয়াবুল ইমান, হাদিস নম্বর ৯২৯৫।
লেখক : ভাইস প্রিন্সিপাল, খাদিমুল ইসলাম মাদরাসা, কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা