শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪

সবার আগে দরকার দেশে শান্তি

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
সবার আগে দরকার দেশে শান্তি

শেষ পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের লোহার গারদ অপসারণ করা হলো। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এ এক ঐতিহাসিক সাফল্য। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে গারদের ব্যবস্থা, পরাধীন দেশের মানুষের পশুর মর্যাদাও ছিল না। চিড়িয়াখানায় লোহার গারদে হিংস্র পশুদের রাখা হয়। সভ্যসমাজে কীভাবে বিচারালয়ে এমন ব্যবস্থা এতকাল চলে এসেছে বুঝে উঠতে পারিনি। যাদের কোর্ট-কাচারিতে যাতায়াত নেই তাদের বুঝতে অসুবিধা হবে। যাদের যাতায়াত আছে তাদেরও সমস্যা হতে পারে। কোর্ট এলাকায় অভিযুক্তদের রাখার ঘর আছে। সেটাকেও গারদ বলা হয়। সেটা আরও সুন্দর আরও ভালো হওয়া উচিত। কিন্তু আরেকটা গারদ বিচারকরা যেখানে বসে বিচার করেন সেই কোর্টের মধ্যেও লোহার শিক দিয়ে ঘেরা। আমি মূলত সেটার কথা বলছি। একেবারে বিচারকের সামনে বাঁ-দিকে ১০-১৫ জনের দাঁড়িয়ে থাকার মতো একটা খোঁপ থাকে। পাশেই আইনজীবীরা বসেন, অন্য লোকজন বসেন। জিনিসটা দেখতে যেমন বিসাদৃশ্য, তেমনি একেবারেই অমানবিক।

শাহবাগে যখন গণজাগরণ শুরু হয় তখন ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে রাজাকার বলে তার বিচার দাবি করেছিলাম। রংপুরের আশিকুর রহমান, ফরিদপুরের তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিয়াই মোশাররফ হোসেনকে রাজাকার বলে বিচার চেয়েছিলাম। তার জন্য মানহানি মামলা করেছিলেন ভদ্রলোকেরা। রাজাকারকে রাজাকার বললে রাজাকারের মানহানি হয়। কিন্তু স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা যোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার কোনো মানহানি হয় না। মহীউদ্দীন খান আলমগীর তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যার জেলে যাওয়ার কথা, জেলে থাকার কথা তিনি হলেন মন্ত্রী। নেত্রী শেখ হাসিনার আমলে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা তুলনাহীন। পৃথিবীর আর কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনি। কত শতবার বলেছি, দেশ কারও বাপ-দাদার সম্পত্তি না, দেশ সাধারণ জনগণের সম্পদ। জনগণকে সম্মান করা, গুরুত্ব দেওয়া সেবকের কাজ। জনগণকে তাচ্ছিল্য করা নয়, কিন্তু তাই করা হয়েছে এবং সব সময় সেজন্য আমাদের বিরোধীদের কাছ থেকে শেখ হাসিনা অনেক অনেক বাহবা পেয়েছেন। সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পক্ষে একজন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে আমার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছিল। খুব সম্ভবত ৫০১ ধারায়, যা জামিনযোগ্য অভিযোগ। আমি গিয়েছিলাম কোর্টে। কোর্ট আমাকে লোহার গারদে ভরেছিল। গারদে দাঁড়িয়েছিলাম বেশ কিছুক্ষণ। আইনজীবীরা আপত্তি করেছিলেন, শোরগোল করেছিলেন। একজন প্রবীণ আইনজীবী বারবার বলেছিলেন, আমি হিমালয় দেখিনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাদের সিদ্দিকীকে দেখেছি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কাদের সিদ্দিকীর মাথা হিমালয় পর্বতের চেয়ে অনেক উঁচু। একপর্যায়ে বিচারক আমাকে বাইরে আইনজীবীদের পাশে বসতে দিয়েছিলেন। মহীউদ্দীন খান আলমগীর শেষ দিন পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর হিসেবে যে কাজ করেছেন তার জন্য গেজেট নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভারপ্রাপ্ত ডিসি ছিলেন। রাজাকার, আল-বদর, শান্তি কমিটি পরিচালনা করে পাকিস্তান সরকারের প্রশংসা পেয়েছেন। সেই একই রকম টাঙ্গাইলের ডিসি রংপুরের আশিকুর রহমান। তিনিও একসময় শেখ হাসিনার মন্ত্রী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইলের সব টাকা লুট করে আনা আশিকুর রহমান আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। সবই হাসিনার কেরামতি। শত-সহস্রবার বলার চেষ্টা করেছি, অধ্যাপক ইউনূস একজন বিদগ্ধ ব্যক্তি। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তাকে বুকে জড়িয়ে বলতেন, আমার ইউনূস দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাকে মাথায় তুলে রাখতেন। তাকে সম্মানের সঙ্গে সারা পৃথিবীতে ছুটে বেড়াতে সাহায্য করতেন। আমার ধারণা, ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পাওয়ার পর স্বস্তিতে এক মুহূর্তও থাকতে পারেননি। যে কারণে তার সমাজকে দেওয়ার, দেশকে দেওয়ার, সারা বিশ্ব মানবতাকে দেওয়ার সুযোগ হয়নি। অশান্তিতেই কেটেছে সময়। শেষের দিকে সকাল-বিকাল কোর্টের বারান্দায় ছোটাছুটিতে তার সমস্ত মেধা-মনন ধ্বংস হয়েছে, যা মানব কল্যাণে কাজে লাগাতে পারতেন। এর জবাব কে দেবে? যাকে দুই-চার দিন আগেও ৬৬৬ কোটি টাকা জরিমানা করা হলো, কর্মচারীদের ঠকিয়েছেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন কত-শত অভিযোগ। এক বা দুই দিন পর তা সব হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। অতিরিক্ত কিছুই ভালো না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চললে কারও এমন ভয়াবহ পতন হয় না। অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না, বেশি কিছু করলে আল্লাহ পছন্দ করেন না। সেটাই হয়েছে অতিসম্প্রতি। ভাবতে কেমন লাগে আমাদের প্রধান বিচারপতি আন্দোলনের মুখে বিদেশি দূতাবাসে আশ্রয় নেন। আরেকজন প্রধান বিচারপতি দুর্নীতির দায়ে দেশ ছাড়েন। আমরা কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেব? আমাদের সব আশ্রয় কীভাবে যেন ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে চলেছে। পাকিস্তান আমলে বিচার বিভাগ এত কলুষিত ছিল না। যেমনটা এখন হয়েছে।

১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২-এ শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বাদ-আসর পবিত্র মিলাদ শরিফ আদায় করতে চেয়েছিলাম। ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পুড়ে ছারখার করে ফেললে দেখতে গিয়েছিলাম। জীবনে অত বেদনাহত হয়েছি কি না বলতে পারব না। ধ্বংসযজ্ঞ দেখে বলেছিলাম, এর আগে আমার মৃত্যু হলেও ভালো হতো। সঙ্গে এও বলেছিলাম, বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনা এক নয়। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা জড়িত, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জড়িত। তাই বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনাকে এক নিত্তিতে মাপতে গেলে ভুল হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ভুল করেছে, অন্যায় করেছে, আওয়ামী লীগ করেনি। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত এলে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করলে, অন্যায় করা হবে এবং বাংলার মানুষ সে অন্যায় কখনো মেনে নেবে না। এরপর প্রত্যেক দিন ৩২-এর বাড়িতে গেছি। ছাত্রছাত্রীরা বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করেছে, নিজেও করেছি, বাচ্চাদের পরিষ্কার করতে দেখেছি, তাদের খাবার দিয়েছি। সে এক অসাধারণ বাতাবরণ। হঠাৎই কে বা কারা ১৫ আগস্ট পালন এবং ৩২-এর বাড়ি দখলের ঘোষণা দেয়। বিষয়টা একেবারে অবান্তর। অন্যদিকে আমাদের ভাগিনা সকালে এক কথা বিকালে আরেক কথা বলে প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের আরও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ৩২-এর বাড়ি দখলের ঘোষণা শুনে সারা দেশে এক সাজ সাজ রব পড়ে যায়। আন্দোলনকারীরা শঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং তারা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মাঝখান থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি করে নিরীহ বঙ্গবন্ধুপ্রেমীদের ক্ষতিগ্রস্ত ও অপমান অপদস্ত করা হয়েছে। আমি গিয়েছিলাম সকাল ৭টায়। ৩২-এর একেবারে দুই বাড়ি আগে থাকতে কাঁটাতার দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছিল। কয়েকজন সালাম দিয়ে বলেছিল, আপনি চলে যান, রাস্তা বন্ধ। যারা চলে যান বলেছিল তাদের খুবই সংযত, অমায়িক মনে হয়েছে। ৩০ সেকেন্ডও হবে না, কেউ ঢিল ছুড়ে, কেউ লাঠি দিয়ে গাড়িতে আঘাত হেনে ভেঙে ফেলে। আমার হাতে কাচের গুঁড়া লেগে বেশ কিছু জায়গায় কেটে যায়। বিস্ময়ের ব্যাপার, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ১৬ আগস্ট মাকড়াইয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের গুলি আমার ডান হাতের যে জায়গায় লেগেছিল ঠিক সেখান থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। এত বছর পর আল্লাহ ঠিক ওই জায়গা থেকেই কেন রক্ত ঝরতে দিলেন সে পরম সৃষ্টিকর্তাই জানেন। আমি এসবই আল্লাহর ইচ্ছে হিসেবে মেনে নিয়েছি। মুহূর্তে খবরটা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক মানুষ যোগাযোগ করে। আমি তাদের শান্ত থাকতে অনুরোধ করি। কেউ কেউ বলে এটা জামায়াতে ইসলামীর কাজ। তারাই আপনার গাড়ি ভেঙেছে, আক্রমণ করেছে। বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে নিহত হলে তার প্রতিবাদে অনেক বছর নির্বাসনে কাটিয়েছি। তারপরও দেশে ফিরেছি আজ ৩৪ বছর। ৩৪ বছর জামায়াতের অনেকের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। অনেক সামাজিক অনুষ্ঠানে তারা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। শিবিরের কত নেতা-কর্মীকে দেখেছি, আত্মীয়-স্বজনের পরিচয়ে দুই-চারজন যে বাড়িতে আসে নাই, কথা হয় নাই, তাও নয়। রাস্তাঘাটে অনেক সময় দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে। চরমোনাইর ইসলামী আন্দোলনের অনেক সভা-সমাবেশে গেছি। ইসলামী আন্দোলনের এক নেতা ঢাকা সিটির সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন ’৬৯-এ আমাদের সঙ্গে ছাত্ররাজনীতি করতেন। বড় ভালো মানুষ ছিলেন। তার কারণে ইসলাম পছন্দ অনেকের সঙ্গেই আমার মেলামেশা ওঠাবসা। ইসলাম পছন্দ কেউ আমার গাড়িতে আঘাত করতে পারে এটা বিশ্বাস করি না, আঘাত করলেও বিশ্বাস করব না। অনেকে আবার বলছিলেন, আপনি যেহেতু তারেক রহমানের সমালোচনা করেন এটা অবশ্যই বিএনপির কাজ। আমার তেমনটা মনে হয় না। বিএনপির শত শত হাজার হাজার নেতা-কর্মী আমাকে তাদের গুরুজন হিসেবে ভাবে এবং সম্মান করে। তাহলে কে করেছে? গাড়িটা যখন ভেঙেছে ঘটনা যখন ঘটেছে কেউ না কেউ অবশ্যই করেছে। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেউ না। যে কোনো কল্যাণকর আন্দোলনকে যারা বিপথে নিয়ে যেতে চায় সেরকম গুন্ডা-বদমাইশের অভাব কখনো হয় না, তেমনই কেউ করেছে। আর আমাদের দেশে শত বছর আগের চীনের নেশাখোরদের চাইতেও অনেক বেশি নেশায় বুঁদ যুবসমাজ পাওয়া যায়। তাই এটা কারও ওপর অযথাই দোষ চাপানো কোনো কাজের কথা নয়। একটা কেন, আরও একটা গাড়ি ভাঙলে যদি দেশের কল্যাণ হয় আন্দোলন সফলকাম হয়, তাহলে সানন্দে আমি রাজি হব। আমি বলেছি, কোনো জায়গায় কেউ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া মানবিক নয়, কাউকে বেঁধে রাখা সেটা মস্তবড় অপরাধ। বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে বা বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া যাদের অপমান অপদস্ত করা হয়েছে, বেঁধে রাখা হয়েছে এর অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার হতে হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা যা বলেছে আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। এরকম ব্যাপক আন্দোলনে ছোটখাটো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতেই পারে। এতে আমার মতো একজন বয়সি মানুষ যদি মরেও যাই, তাতেও যদি দেশের কল্যাণ হয়, মানুষের কল্যাণ হয়, সেখানে আমার কোনো আপত্তি থাকার কথা নয়। এ কদিনের কর্মকান্ডে কেন যেন মাঝে মাঝে মনে হয় গত ২৫ বছর আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমার গাড়ি ভাঙল, সভা-সমাবেশ নষ্ট করল, জেলে পুরল। তারপরও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিজয়ী ছাত্র-যুবক-জনতার কাছে অনেক ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগই থেকে গেলাম। বোঝাতে ব্যর্থ হলাম, শেখ হাসিনা আর বঙ্গবন্ধু এক না, হাসিনার সরকার আর আওয়ামী লীগ এক না। আমি বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করেছি। জীবনে কোনো দিন হাসিনা লীগ করি নাই। খুব তাড়াতাড়ি দেশের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে না পারলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব খর্ব হবে। সময় থাকতে সবাইকে সতর্ক হতে অনুরোধ জানাচ্ছি। তবে এটা বলব, আওয়ামী লীগের কারও ৩২-এর বাড়ি দখলের মতো বীরগিরি দেখানো উচিত না, তেমনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনেরও লাগাম টেনে ধরা উচিত।

‘অধ্যাপক ইউনূস কত দেশে যান; কিন্তু তার কোট-প্যান্ট-টাই দরকার হয় না। তার পোশাক একটা নতুন ব্র্যান্ড হয়ে গেছে। এ জন্য তাকে সম্মানের চোখে দেখি। ছেলেবেলা থেকে মওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে দেখে দেখে বড় হয়েছি। হুজুর মওলানা ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধুকে দেখতাম, যে কোনো কর্মীর প্রশংসা করতে পারলে খুশি হতেন। কাউকে পেলে তার চৌদ্দগুষ্টি পেছন থেকে প্রশংসা করতে শুরু করতেন। মুক্তিযুদ্ধের আগে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিতেন, লতিফের ভাই, দারুণ সংগ্রামী। ওর বাবা কত জেল-জুলুম সহ্য করেছে, ওর দাদা কংগ্রেসের রাজনীতি করতেন। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সঙ্গে মুসলিম লিগ করে পাকিস্তান এনেছেন আরও কত কী। হুজুর মওলানা ভাসানী তো আমাকে কাদরী বলেই খালাস। বাবার নাম জানতেন কি না জানি না। তাঁর কাছে আমি ছিলাম আলাউদ্দিন সিদ্দিকীর নাতি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন সুগন্ধ্যায় বসতেন একদিন পি এন হাক্সারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন। হাক্সার বলেছিলেন, টাইগারকে আমি চিনি। ওর সঙ্গে আগেও কয়েকবার দেখা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আমাকে হু আর বুমেদিন, আনোয়ার সাদ’ত, ইদি আমিন, ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। সেসব কথা মনে হলে এখনো শিহরণ জাগে। এক দিন অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে গিয়ে দেখলাম। দেখলাম তিনিও অকৃপণভাবে অন্যকে তুলে ধরতে, কৃতজ্ঞতা জানাতে পারেন। আমরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী গ্রামীণ ব্যাংকের ওপর আঘাত আসার পর থেকেই আমাদের সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন। তার কথাবার্তা তার লেখনী বিপদের মুহূর্তে আমাদের সাহস জুগিয়েছে। আজ তার দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতৃবৃন্দদের এই সাক্ষাতে আমরা অনেক সাহস পেয়েছি এবং অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও সবাইকে এই সুযোগে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এই প্রথম তিনি অকপটে উচ্চারণ করেন, নিরপেক্ষ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনোমতেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সময় দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতির আকাক্সক্ষা। কারও খামখেয়ালির দায়ভার সমগ্র জাতি বইতে পারে না। কেউ দেশটাকে ধ্বংস করলে আমরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করব না। আমাদের অর্জন অনেক। সে অর্জন কোনোমতেই নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। তিনি রাজনৈতিক দল গঠন করবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, না, তিনি কোনো রাজনৈতিক দল করবেন না। জাতীয় সমঝোতার প্রশ্নে তিনি কোনো ভূমিকা রাখবেন কি না এমন প্রশ্নে খেদ ব্যক্ত করে বলেন, আমার সেই সুযোগ কোথায়? কতজনই তো কত চেষ্টা করছে কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছে কই?

সাংবাদিকদের আমি আমাদের কথা বলতে গিয়ে বলেছি, আমরা এবং দেশবাসী যেমন গ্রামীণ ব্যাংককে খন্ড খন্ড করার সরকারি ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করব না, ঠিক তেমনি তিনি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ওপর যে কোনো নির্যাতন-নিপীড়ন এবং জুলুমের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার থাকবেন, অভিভাবকের ভূমিকা পালন করবেন। আমরা অধ্যাপক ইউনূসকে দেশ ও জাতির পাহারাদার হিসেবে হিমাদ্রির মতো অটল-অবিচল দেখতে চাই। তিনি তা না করলে দেশবাসী তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। নিশ্চয়ই অধ্যাপক ইউনূস রাজনৈতিক দল না করতে পারেন। এত দল থাকতে দেশবাসী তার কাছে আরেকটি দল খুব একটা প্রত্যাশাও করে না। কিন্তু তিনি দিবসে নিশিথে প্রতি মুহূর্তে দেশের কল্যাণে বিশুদ্ধ রাজনীতি করবেন এবং যা ইতোমধ্যে করে চলেছেন। আগামীতেও তার দেশের জন্য যা করা প্রয়োজন তা তিনি করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। দেখাই যাক আগামী দিন কেমন হয়।’ লেখাটা ছিল সেই ২০১৩ সালের ২৫ আগস্টের।

১৫ দিনও হয়নি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ব্রি. (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। একজন যথার্থ সৎ সাহসী-যোগ্য মানুষ। তিনি যে কথাগুলো বলেছেন একটা কথাও অসত্য নয়। তবে সময়োপযোগী নয়। অন্তর্বর্তী সরকার তাকে হজম করতে পারলে আইনশৃঙ্খলার আরও দ্রুত উন্নতি হতো। এখন যাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তাকে ব্যক্তিগতভাবে জানি না, চিনি না। তিনি হয়তো আরও ভালো হতে পারেন। কিন্তু সবার আগে দরকার দেশে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা। এর আগে কখনো দেশে আইনশৃঙ্খলা এতটা ভেঙে পড়েনি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের বাইরে কখনো এতটা বেপরোয়া ছিল না। তাই ভাঙা নাজুক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুপ্রাণিত করতে উৎসাহিত করতে সাহসী শক্তিশালী মানুষের প্রয়োজন। সরকার যত তাড়াতাড়ি দেশে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটাতে পারবে ততই দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল। তবে একটা জিনিস মনে হয় প্রতিবেশী দেশের থেকে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর, তাদের উপাসনালয়ের ওপর এই বিশৃঙ্খল অবস্থাতেও তেমন কোনো গুরুতর আঘাত আসেনি। এটা খুবই সত্য যে, তারা এই গুমোট হাওয়ায় অবশ্যই অস্বস্তিতে মারাত্মক দুশ্চিন্তা এবং শঙ্কায় আছে।

তবে এটাও অভাবনীয় সত্য যে, এই প্রথম আমাদের মাদরাসার ছেলেরা হিন্দুদের উপাসনালয়, মন্দির, বাড়ি, দোকানপাট দলবেঁধে পাহারা দিয়েছে। তাই এটা বলাই যায়, আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো জায়গা নেই। আমাদের দেশে একজন মসজিদের ইমামও অসাম্প্রদায়িক। ধর্ম পালন আর সাম্প্রদায়িক হওয়া এক কথা নয়। আমরা যে কেউ নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্ম পালন করি। কিন্তু সাম্প্রদায়িক নই। আমরা সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক, যার যার ধর্ম তার তার। আমার ধর্ম সব সময় বলে অন্যের ধর্মে বাধা সৃষ্টি না করতে। আমরা সদা সর্বদা তাই করার চেষ্টা করি। তার মাঝে কিছু দুষ্ট লোক কখনো সখনো অঘটন ঘটায়। তবে সেটাই সত্য নয়।

লেখক : রাজনীতিক

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
খাদ্যসূচক
খাদ্যসূচক
বৈদেশিক ঋণের বোঝা
বৈদেশিক ঋণের বোঝা
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও মর্যাদা
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও মর্যাদা
দরকার নাগরিক উদ্যোগ
দরকার নাগরিক উদ্যোগ
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে...
যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে...
২০২৪ : ভোটার কর্তৃক শাস্তির বছর
২০২৪ : ভোটার কর্তৃক শাস্তির বছর
ব্যবসাবাণিজ্য-শিল্প
ব্যবসাবাণিজ্য-শিল্প
এখনো অপেক্ষা
এখনো অপেক্ষা
প্রেম দরিয়ায় সাঁতার শেখার পাঠশালা
প্রেম দরিয়ায় সাঁতার শেখার পাঠশালা
সেই ভিয়েতনাম এখন
সেই ভিয়েতনাম এখন
সংবিধান সংশোধন না প্রণয়ন?
সংবিধান সংশোধন না প্রণয়ন?
তারেক রহমান : যেতে হবে বহুদূর
তারেক রহমান : যেতে হবে বহুদূর
সর্বশেষ খবর
মেলেনি জামিন, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে আল্লু অর্জুন
মেলেনি জামিন, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে আল্লু অর্জুন

এই মাত্র | শোবিজ

দেশের হলে নতুন তিন সিনেমা
দেশের হলে নতুন তিন সিনেমা

৩ মিনিট আগে | শোবিজ

শুটিংয়ে দুর্ঘটনায় আহত অপূর্ব, পাভেল ও ফারিণ
শুটিংয়ে দুর্ঘটনায় আহত অপূর্ব, পাভেল ও ফারিণ

৩ মিনিট আগে | শোবিজ

ফ্রি ফায়ার খেলতে গিয়ে প্রেম, অতঃপর...
ফ্রি ফায়ার খেলতে গিয়ে প্রেম, অতঃপর...

৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘৮৪০’ সিনেমা দেখে যা বললেন শামা ওবায়েদ
‘৮৪০’ সিনেমা দেখে যা বললেন শামা ওবায়েদ

১৩ মিনিট আগে | রাজনীতি

রাজবাড়ীতে কৃষকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
রাজবাড়ীতে কৃষকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিরিয়ায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বের প্রতি ইরানের আহ্বান
সিরিয়ায় ইসরায়েলি ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বিশ্বের প্রতি ইরানের আহ্বান

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সড়ক দুর্ঘটনা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি
সড়ক দুর্ঘটনা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দুর্বল হওয়া কি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়?
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দুর্বল হওয়া কি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়?

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া

৩৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

গোপালগঞ্জে আলাদা ঘটনায় এক শিশুসহ নিহত ৩
গোপালগঞ্জে আলাদা ঘটনায় এক শিশুসহ নিহত ৩

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বোমা মেরে ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক উড়িয়ে দেয়ার হুমকি
বোমা মেরে ভারতীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক উড়িয়ে দেয়ার হুমকি

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তরুণীর টাকা-স্বর্ণ হাতিয়ে নিলো দুই প্রতারক, দুইজন গ্রেফতার
প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তরুণীর টাকা-স্বর্ণ হাতিয়ে নিলো দুই প্রতারক, দুইজন গ্রেফতার

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

গাঁজা বৈধ করাকে ইতিহাসের বড় ভুল বললেন এলটন জন
গাঁজা বৈধ করাকে ইতিহাসের বড় ভুল বললেন এলটন জন

১ ঘন্টা আগে | পাঁচফোড়ন

বিদেশি কূটনীতিকদের ২০ টিম নিয়ে অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্ট
বিদেশি কূটনীতিকদের ২০ টিম নিয়ে অ্যাম্বাসি ফুটবল ফেস্ট

১ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তুরস্কের প্রতিনিধিদলের বৈঠক

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

চলেই গেলেন ‘জলে আগুন জ্বালানো কবি’ হেলাল হাফিজ
চলেই গেলেন ‘জলে আগুন জ্বালানো কবি’ হেলাল হাফিজ

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

করিমগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
করিমগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

নারী-পুরুষের সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবে : জামায়াত আমির
নারী-পুরুষের সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবে : জামায়াত আমির

১ ঘন্টা আগে | চায়ের দেশ

রং তুলিতে বিজয়ের প্রতিচ্ছবি
রং তুলিতে বিজয়ের প্রতিচ্ছবি

১ ঘন্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

তিন জেলায় বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
তিন জেলায় বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

আল্লু অর্জুন কেন গ্রেফতার হলেন, কী বলছে এফআইআর?
আল্লু অর্জুন কেন গ্রেফতার হলেন, কী বলছে এফআইআর?

১ ঘন্টা আগে | শোবিজ

সিরিয়া পুনর্গঠনে তুরস্ক-মার্কিন বৈঠক, জর্ডানে বড় সম্মেলনের প্রস্তুতি
সিরিয়া পুনর্গঠনে তুরস্ক-মার্কিন বৈঠক, জর্ডানে বড় সম্মেলনের প্রস্তুতি

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার নতুন কমিটির সদস্যদের মতবিনিময় সভা
শুভসংঘ ঢাকা কলেজ শাখার নতুন কমিটির সদস্যদের মতবিনিময় সভা

১ ঘন্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

১৭ বছর পর গোপালগঞ্জে বিএনপি কার্যালয়
১৭ বছর পর গোপালগঞ্জে বিএনপি কার্যালয়

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান
হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

শাবিপ্রবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা
শাবিপ্রবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা

১ ঘন্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিচারকদের ফেসবুক ব্যবহার করাই উচিত নয়: ভারতের শীর্ষ আদালত
বিচারকদের ফেসবুক ব্যবহার করাই উচিত নয়: ভারতের শীর্ষ আদালত

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সুনামগঞ্জে কৃষকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
সুনামগঞ্জে কৃষকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

গুলি না চালিয়ে বিজয় উদযাপনের আহ্বান সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা জোলানির
গুলি না চালিয়ে বিজয় উদযাপনের আহ্বান সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা জোলানির

২ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
মহার্ঘ ভাতা প্রণয়নে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন
মহার্ঘ ভাতা প্রণয়নে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন

১ দিন আগে | জাতীয়

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

২২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

পৌষের আগেই জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রিতে নামার আভাস
পৌষের আগেই জেঁকে বসেছে শীত, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রিতে নামার আভাস

১৯ ঘন্টা আগে | জাতীয়

অসুস্থতার সময় সালমান আমার যত্ন নিয়েছেন : রাশমিকা
অসুস্থতার সময় সালমান আমার যত্ন নিয়েছেন : রাশমিকা

২০ ঘন্টা আগে | শোবিজ

সিরিয়ার নৌঘাঁটি থেকে সরে যাচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ
সিরিয়ার নৌঘাঁটি থেকে সরে যাচ্ছে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

২০ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ার অস্থায়ী সরকারের জন্য সুখবর
সিরিয়ার অস্থায়ী সরকারের জন্য সুখবর

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফ্রান্সে স্বামীর সহায়তায় ১০ বছর ধরে স্ত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৫০ জন
ফ্রান্সে স্বামীর সহায়তায় ১০ বছর ধরে স্ত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ৫০ জন

২১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে এবার শীতের অনুভূতি বেশি হবে
যে কারণে এবার শীতের অনুভূতি বেশি হবে

২২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

রক্তক্ষয়ী অবরোধ, মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে
রক্তক্ষয়ী অবরোধ, মিয়ানমারের ২৭০ কিমি এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন থেকে সাড়ে ৫২ হাজার টন গম নিয়ে জাহাজ এল চট্টগ্রাম বন্দরে
ইউক্রেন থেকে সাড়ে ৫২ হাজার টন গম নিয়ে জাহাজ এল চট্টগ্রাম বন্দরে

১৮ ঘন্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি কষ্ট দেয়, দায় আমাদেরই : অনির্বাণ
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি কষ্ট দেয়, দায় আমাদেরই : অনির্বাণ

২১ ঘন্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েল কেন সিরিয়ায় বেপরোয়া হামলা চালাচ্ছে
ইসরায়েল কেন সিরিয়ায় বেপরোয়া হামলা চালাচ্ছে

৪ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ বছরের প্রেম, বয়ফ্রেন্ডকেই বিয়ে করলেন অভিনেত্রী কীর্তি
১৫ বছরের প্রেম, বয়ফ্রেন্ডকেই বিয়ে করলেন অভিনেত্রী কীর্তি

২০ ঘন্টা আগে | শোবিজ

‘পুষ্পা’খ্যাত অভিনেতা আল্লু অর্জুন গ্রেফতার
‘পুষ্পা’খ্যাত অভিনেতা আল্লু অর্জুন গ্রেফতার

৩ ঘন্টা আগে | শোবিজ

ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে পলককে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি
ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে পলককে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

২১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেই ছাড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

১৩ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৫০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া আরিয়ানকে বাঁচানো গেল না
১৫০ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া আরিয়ানকে বাঁচানো গেল না

১৯ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: গোলান মালভূমিতে কী করছে ইসরায়েল?
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা: গোলান মালভূমিতে কী করছে ইসরায়েল?

৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গণহত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে কোন নির্বাচন হতে পারে না: মামুনুল হক
গণহত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশে কোন নির্বাচন হতে পারে না: মামুনুল হক

২১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা, এক মঞ্চে শিবির-বৈষম্যবিরোধী-ছাত্র ইউনিয়ন
ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা, এক মঞ্চে শিবির-বৈষম্যবিরোধী-ছাত্র ইউনিয়ন

২০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

এক মাস পর রিজার্ভ বেড়ে ১৯ বিলিয়নের ঘরে
এক মাস পর রিজার্ভ বেড়ে ১৯ বিলিয়নের ঘরে

২০ ঘন্টা আগে | বাণিজ্য

প্রশাসন ছাড়া অন্য ক্যাডারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরামর্শ
প্রশাসন ছাড়া অন্য ক্যাডারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরামর্শ

১৭ ঘন্টা আগে | জাতীয়

অর্জুনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই মালাইকার জীবনে রহস্যময় ‘প্রেমিক’!
অর্জুনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই মালাইকার জীবনে রহস্যময় ‘প্রেমিক’!

২১ ঘন্টা আগে | শোবিজ

ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকির জামিন স্থগিত
ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকির জামিন স্থগিত

২৩ ঘন্টা আগে | জাতীয়

চেয়ারম্যান পদ থেকে ২ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ জন
চেয়ারম্যান পদ থেকে ২ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ জন

৪ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে চালু হচ্ছে চার জোড়া কমিউটার ট্রেন
ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে চালু হচ্ছে চার জোড়া কমিউটার ট্রেন

১৮ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না : ডিবিপ্রধান
আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হতে চাই না : ডিবিপ্রধান

১৯ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে ভারত, আশা উপদেষ্টা আসিফের
শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে ভারত, আশা উপদেষ্টা আসিফের

১৪ ঘন্টা আগে | জাতীয়

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ৩২১ রান সংগ্রহ বাংলাদেশের
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ৩২১ রান সংগ্রহ বাংলাদেশের

১৮ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির ৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
বিএনপির ৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা

২১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুলির নির্দেশ দেন ইউএনও
গুলির নির্দেশ দেন ইউএনও

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংকে সন্দেহজনক লেনদেনের ছড়াছড়ি
ব্যাংকে সন্দেহজনক লেনদেনের ছড়াছড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

সীমানা জটিলতা ৬২ আসনে
সীমানা জটিলতা ৬২ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

কোটির বেশি বেকার!
কোটির বেশি বেকার!

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রমায় তছনছ জীবন
ট্রমায় তছনছ জীবন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জরিপ আতঙ্কে চরবাসী
জরিপ আতঙ্কে চরবাসী

নগর জীবন

নির্বাচন প্রস্তুতির বার্তা
নির্বাচন প্রস্তুতির বার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতার কঠোর হুঁশিয়ারি
সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতার কঠোর হুঁশিয়ারি

প্রথম পৃষ্ঠা

মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার রোমহর্ষক  সেই অভিজ্ঞতা
মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার রোমহর্ষক সেই অভিজ্ঞতা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতকে প্রতিহত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াই যথেষ্ট
ভারতকে প্রতিহত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়াই যথেষ্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

গণহত্যার তথ্য গোপনে ইন্টারনেট বন্ধ করেন পলক
গণহত্যার তথ্য গোপনে ইন্টারনেট বন্ধ করেন পলক

প্রথম পৃষ্ঠা

সাবেক ১৩ এমপি মন্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
সাবেক ১৩ এমপি মন্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি ধরতে বিশেষ অভিযান
দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি ধরতে বিশেষ অভিযান

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাধ করেছেন হাসিনার ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা
অপরাধ করেছেন হাসিনার ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

গুম খুনের দায় শিকার করে ক্ষমা চাইলেন র‌্যাব ডিজি
গুম খুনের দায় শিকার করে ক্ষমা চাইলেন র‌্যাব ডিজি

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা সিটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘিরে উৎসব
বসুন্ধরা সিটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘিরে উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

গণহত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন না
গণহত্যাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন না

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করে না ভারত
হাসিনার বক্তব্য সমর্থন করে না ভারত

প্রথম পৃষ্ঠা

সপ্তাহজুড়ে দরপতন শেয়ারবাজারে
সপ্তাহজুড়ে দরপতন শেয়ারবাজারে

পেছনের পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ আমলে মানুষ বঞ্চিত
আওয়ামী লীগ আমলে মানুষ বঞ্চিত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুলে এক্স-রে আবিষ্কার!
ভুলে এক্স-রে আবিষ্কার!

ডাংগুলি

তিন ধারায় বিভক্ত নেতা-কর্মীরা
তিন ধারায় বিভক্ত নেতা-কর্মীরা

পেছনের পৃষ্ঠা

যে বাঁধন ছিলাম সেই বাঁধনই আছি
যে বাঁধন ছিলাম সেই বাঁধনই আছি

শোবিজ

স্বরূপে তামিম ইকবাল
স্বরূপে তামিম ইকবাল

মাঠে ময়দানে

খুনের কূলকিনারা হলো না ৯ বছরেও
খুনের কূলকিনারা হলো না ৯ বছরেও

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ ফি বাড়াল সরকার
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ ফি বাড়াল সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক দেশের তালিকায় বাংলাদেশ
সাংবাদিকদের জন্য বিপজ্জনক দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুনত্বের ছোঁয়া
নতুনত্বের ছোঁয়া

ডাংগুলি

পাপিয়া সারোয়ারের জীবনাবসান
পাপিয়া সারোয়ারের জীবনাবসান

শোবিজ