ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনামলে ১৭৬৫ সালে লর্ড ক্লাইভ বাংলার নবাবের কাছ থেকে দেওয়ানি সনদ পাওয়ায় দ্বৈতশাসনের উদ্ভব হয়। এটা ছিল একই স্থানে দুই রকম শাসন, যার একটি দায়িত্বহীন ক্ষমতা আর অন্যটি ক্ষমতাহীন দায়িত্ব। ফলশ্রুতিতে শোষণ-নির্যাতনে হতদরিদ্র হয়ে পড়ে বাংলার মানুষ। ফলে দ্বৈতশাসন ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। মাত্র সাত বছর পর ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈতশাসনের অবসান ঘটান। তার ২৫২ বছর পর, ভিন্ন প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বিষয়টি আবার আলোচনায় উঠে এলো। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ শনিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ এখতিয়ার বা দ্বৈতশাসন বিলোপ করে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়া বিচারকদের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হবে না। বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের কথাও বলেছেন তিনি। দুঃখজনক যে, গত দেড় দশকে স্বৈরসরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ঘায়েলের দুরভিসন্ধিতে গায়েবি ও ঢালাও মামলার অপচর্চা শুরু করেছিল। এ থেকে বেরিয়ে আসতে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় দ্বৈতশাসন বিলোপের বিকল্প নেই। স্বৈরশাসনামলে বিচার বিভাগের ওপর ন্যক্কারজনক হস্তক্ষেপ হয়েছে। ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ হয়েছে বিনষ্ট ও বিকৃত। শঠতা, বঞ্চনা, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাতিয়ার হিসেবে বিচার বিভাগকে ব্যবহারের চেষ্টা চলেছে নির্লজ্জভাবে। এতে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের আস্থা তলানিতে ঠেকেছে। অথচ বিচার বিভাগের শক্তিই হচ্ছে গণমানুষের আস্থা ও বিশ্বাস। বিচারালয় মানুষের ন্যায্যতা প্রাপ্তির শেষ আশ্রয়স্থল। নতুন বাংলাদেশে ন্যায়বিচার, সততা ও জনঅধিকার নিশ্চিতকরণের দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত হবে বিচার বিভাগ- এ প্রত্যাশা সচেতন শ্রেণির। সে লক্ষ্যে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ ও আইনসভা থেকে পৃথক ও স্বাধীন করা জরুরি। শাসকের আইন নয় বরং আইনের শাসন নিশ্চিত করাই বিচার বিভাগের মূল দায়িত্ব হওয়া উচিত। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত হওয়াও খুব জরুরি। চলতি সংস্কার ধারায় বিচার বিভাগেরও আগাপাশতলা সংস্কার হোক, এর প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস পুনরুদ্ধার হোক এমনটিই প্রত্যাশিত।
শিরোনাম
- ডুয়েটের ১৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
- বিএনপি নেতা ইকবালকে দল থেকে বহিষ্কার
- ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস বায়রো
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেল গঠন
- সোনারগাঁয়ে যুবককে পিটিয়ে পা ভাঙার অভিযোগে মামলা
- মার্চে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করতে চায় সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
- রাজধানীতে র্যাব পরিচয় দেওয়া ৫ ডাকাত গ্রেফতার
- মধ্যরাত থেকে পড়তে পারে ঘন কুয়াশা
- অন্তর্বর্তী সরকার একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধান উপদেষ্টা
- বেনাপোল দিয়ে এলো ৪৬৮ টন আলু
- শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের
- সকাল ৯টার মধ্যে হাজিরা না দিলে শাস্তি হবে ওয়াসায় কর্মরতদের
- ‘দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনে জামায়াতে ইসলামীর বিকল্প নেই’
- ট্রিপল মার্ডার মামলায় আওয়ামী লীগের ৪ নেতা ঢাকায় গ্রেফতার
- ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে জনগণের মৌলিক অধিকার পূরণ করা হবে’
- পাহড়ে মাশরুম চাষে সফল উদ্যোক্তা হারুন
- ‘বেশি দরদ লাগলে হাসিনাকে ভারতের কোনো প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করুন’
- বাগেরহাটে সবজি-মাছে স্বস্তি মিললেও চাল-আলুতে অসস্তি
- গত ১৫ বছর একাত্তরের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে : মির্জা ফখরুল
- টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়