বাংলা ভাষা ও লিপি
১. কোন কোন প্রাচীন গ্রন্থে বঙ্গ কথাটির উল্লেখ পাওয়া যায়?
উত্তর : ঋকবেদ, মহাভারত ও মৎস্যপুরাণে।২. সুবা-বাঙলা কথাটি কোন গ্রন্থে রয়েছে?
উত্তর : সম্রাট আকবরের আইন-ই-আকবরি গ্রন্থে।
প্রশ্ন : বাংলা লিপি কোন লিপি থেকে এসেছে?
উত্তর : ব্রাহ্মী লিপি।
প্রশ্ন : কোন সম্রাট তার অধিকাংশ কর্ম ব্রাহ্মী লিপিতে লেখান?
উত্তর : সম্রাট অশোক।
প্রশ্ন : কোন রাজাদের সময় বাংলা লিপি সুসংগঠিত হয়?
উত্তর : সেন রাজাদের সময়।
প্রশ্ন : কে বাংলা লিপিকে ছাপাখানায় মুদ্রণযোগ্য করে তৈরি করেন?
উত্তর : ইংরেজ আমলে, পঞ্চানন কর্মকার।
প্রশ্ন : বাংলা কোন ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : ইন্দো-ইউরোপীয়।
প্রশ্ন : ভাষার কোন রূপ থেকে বাংলার সৃষ্টি?
উত্তর : প্রাকৃত।
প্রশ্ন : ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষা এসেছে কোথা থেকে?
উত্তর : গৌড়ীয় প্রাকৃত থেকে।
প্রশ্ন : বাংলা ভাষার আদি উৎস কোনটি?
উত্তর : মাগধী প্রাকৃত।
প্রশ্ন : বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন কোন ভাষা?
উত্তর : বৈদিক ভাষা।
প্রশ্ন : সকল ভাষার আদিভাষা হিসেবে গণ্য করা হয় কোনটিকে?
উত্তর : ইন্দো-ইউরোপীয়।
প্রশ্ন : বাংলা গদ্য কোন যুগের ভাষার নিদর্শন?
উত্তর : আধুনিক যুগের।
প্রশ্ন : বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ গ্রন্থ কোনটি?
উত্তর : ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে হুগলি থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত নাথিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড রচিত 'এ গ্রামার অফ দি বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ'।
প্রশ্ন : বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম বাংলা ব্যাকরণ কোনটি?
উত্তর : ১৮৩৩ সালে রাজা রাম মোহন রায় রচিত 'গৌড়িয় ব্যাকরণ'।
ব্যাকরণ ও এর আলোচ্য বিষয়
প্রশ্ন : ব্যাকরণের সঠিক অর্থ কী?
উত্তর : বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
প্রশ্ন : ব্যাকরণকে ভাষার কী বলা হয়?
উত্তর : সংবিধান।
প্রশ্ন : ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় কয়টি ও কী কী?
উত্তর : ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় চরটি : ১. ধ্বনিতত্ত্ব, ২. শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব, ৩. বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম এবং ৪. অর্থতত্ত্ব।
প্রশ্ন : ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কী?
উত্তর : ধ্বনি, এর উচ্চারণ-রীতি, উচ্চারণের স্থান, ধ্বনি পরিবর্তন, সন্ধি, ণত্ব ও ষত্ব বিধান ইত্যাদি।
প্রশ্ন : রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কী?
উত্তর : শব্দ, শব্দের গঠন, বচন, লিঙ্গ, কারক, পুরুষ, উপসর্গ, প্রত্যয়, বিভক্তি, সমাস, ক্রিয়া, প্রকরণ ইত্যাদি।
প্রশ্ন : বাক্যতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কী?
উত্তর : বাক্যের সঠিক গঠন, পদক্রম, পদের স্থান, পদ পরিবর্তন, বাগধারা, বাক্য সংযোজন, বাক্য সংকোচন, প্রবাদ প্রবচন, বিরাম চিহ্ন ইত্যাদি।
প্রশ্ন : অর্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কী?
উত্তর : শব্দের অর্থ বিচার, বাক্যের অর্থ বিচার, অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ, যেমন- মুখ্যার্থ, গৌণার্থ, বিপরীতার্থ ইত্যাদি।
ভাষা
প্রশ্ন : ভাষা কাকে বলে?
উত্তর : বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত অর্থবোধক ধ্বনি সমষ্টিকে বলা হয় ভাষা।
প্রশ্ন : বর্তমানে পৃথিবীতে কতগুলো ভাষা প্রচলিত রয়েছে?
উত্তর : বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজারের ওপর ভাষা প্রচলিত আছে।
প্রশ্ন : ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলার স্থান কত?
উত্তর : ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলা পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ মাতৃভাষা।
প্রশ্ন : সাধু ও চলিত ভাষার মূল পার্থক্য কোথায়?
উত্তর : ক্রিয়া ও সর্বনাম পদের গঠন রীতিতে।
প্রশ্ন : বাংলা মৌখিক ভাষা কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : দুই প্রকার। যথা : ১. মান বাংলা, ২. আঞ্চলিক ভাষা।
প্রশ্ন : উপভাষা কী?
উত্তর : আঞ্চলিক ভাষার অপর নাম।
প্রশ্ন : লৈখিক ভাষা কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর : দুই প্রকার। যথা : ১. সাধু ভাষা ও ২. চলিত ভাষা।
প্রশ্ন : ভাষার মূল উপাদান কোনটি?
উত্তর : ধ্বনি/বর্ণ।
প্রশ্ন : ভাষার মূল উপকরণ কোনটি?
উত্তর : বাক্য।
প্রশ্ন : চলিত ভাষার প্রবর্তক কাকে বলা হয়?
উত্তর : প্রমথ চৌধুরীকে।
প্রশ্ন : সাধু এবং চলিত ভাষার মিশ্রণের ফলে কোন দোষের সৃষ্টি হয়?
উত্তর : গুরুচণ্ডালী।
ধ্বনি ও বর্ণ
প্রশ্ন : ধ্বনি কাকে বলে?
উত্তর : উচ্চারণ বা আওয়াজের ক্ষুদ্রতম অংশকে বলা হয় ধ্বনি।
প্রশ্ন : ধ্বনির সাংকেতিক রূপ বা প্রতীককে কী বলে?
উত্তর : বর্ণ।
প্রশ্ন : বাংলা ভাষার মৌলিক ধ্বনিগুলোকে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
উত্তর : দুই ভাগে- ১. স্বরধ্বনি ও ২. ব্যঞ্জন ধ্বনি।
প্রশ্ন : স্বরধ্বনি কাকে বলে?
উত্তর : ফুসফুস তাড়িত বাতাস মুখ বিবর থেকে বেরিয়ে যেতে যদি কোথা বাধাপ্রাপ্ত বা আঘাতপ্রাপ্ত না হয়ে যে সকল ধ্বনি উচ্চারিত হয়, তাকে বলা হয় স্বরধ্বনি।
প্রশ্ন : ব্যঞ্জন ধ্বনি কাকে বলে?
উত্তর : ফুসফুস তাড়িত বাতাস মুখ বিবর থেকে বেরিয়ে যেতে যদি কোথাও না কোথাও বাধাপ্রাপ্ত, আঘাতপ্রাপ্ত বা ঘর্ষণপ্রাপ্ত হয়ে যেসব ধ্বনি উচ্চ উচ্চারিত হয়, তাকে বলা হয় ব্যঞ্জন ধ্বনি।
প্রশ্ন : বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রার বর্ণ কয়টি?
উত্তর : ৩২টি।
প্রশ্ন : স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলা হয়?
উত্তর : কার।
প্রশ্ন : স্পর্শবর্ণ কোনগুলো?
উত্তর : ক থেকে ম পর্যন্ত (২৫টি বর্ণ)।
প্রশ্ন : বাংলা ভাষার মৌলিক স্বরধ্বনি কোনগুলো?
উত্তর : অ, আ, ই, উ, এ, ও , অ্যা।
প্রশ্ন : স্বরবর্ণে অর্ধমাত্রা বর্ণ কয়টি?
উত্তর : একটি।
প্রশ্ন : তাড়নজাত ধ্বনি কোনগুলো?
উত্তর : ড় ও ঢ়।
প্রশ্ন : ক, খ, গ, ঘ, ঙ কে কোন ধ্বনি বলা হয়?
উত্তর : জিহ্বামূলীয় বা কণ্ঠ ধ্বনি।
প্রশ্ন : মাত্রা কী?
উত্তর : কোন বর্ণের উপর দেওয়া কষি বা রেখা।
প্রশ্ন : খাঁটি বাংলা শব্দের 'এ' এর উচ্চরণ কেমন?
উত্তর : বিবৃত।
প্রশ্ন : ফলা কাকে বলে? ফলা কয়টি ও কী কী?
উত্তর : ব্যঞ্জন বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় ফলা। ফলা ছয়টি যথা : য, ব, ম, র, ল ও ন-ফলা।
প্রশ্ন : কার কয়টি ও কী কী?
উত্তর : ১০টি। যথা : া, ,ি ী, ু, ূ, ৃ, ,ে ,ৈ াে এবং ৗে-কার।
প্রশ্ন : যৌগিক স্বরধ্বনি কাকে বলে?
উত্তর : পাশাপাশি দুটি স্বরধ্বনি থাকলে দ্রুত উচ্চারণের সময় তা একটি সংযুক্ত স্বরধ্বনি রূপে উচ্চারিত হয়। এ রূপে একসঙ্গে উচ্চরিত দুটো মিলিত স্বরধ্বনিকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলা হয়।
প্রশ্ন : যৌগিক স্বরকে আর কী কী বলা হয়?
উত্তর : সন্ধিস্বর, সান্ধ্যস্বর বা দ্বি-স্বর।
প্রশ্ন : বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনি কতটি?
উত্তর : পঁচিশটি।
প্রশ্ন : বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ কয়টি ও কী কী?
উত্তর : দুটি- ঐ এবং ঔ।
প্রশ্ন : অঘোষ ধ্বনি কাকে বলে?
উত্তর : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাকে বলা হয় অঘোষ ধ্বনি। যেমন- ক, খ, চ, ছ ইত্যাদি।
প্রশ্ন : ঘোষ ধ্বনি কাকে বলে?
উত্তর : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় তাকে ঘোষ ধ্বনি বলে। যেমন : গ, ঘ, জ, ঝ ইত্যাদি।
প্রশ্ন : অল্পপ্রাণ ধ্বনি কাকে বলে?
উত্তর : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের স্বল্পতা থাকে, তাকে বলা হয় অল্পপ্রাণ ধ্বনি। যেমন : ক, গ, চ, জ ইত্যাদি।
প্রশ্ন : মহাপ্রাণ ধ্বনি কাকে বলে?
উত্তর : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে, তাকে বলা হয় মহাপ্রাণ ধ্বনি। যেমন- খ, ঘ, ছ, ঝ ইত্যাদি।
প্রশ্ন : অন্তঃস্থ ধ্বনি কাকে বলে?
উত্তর : স্পর্শ ধ্বনি ও উষ্ম ধ্বনির মাঝের ধ্বনিগুলোকে বলা হয় অন্তঃস্থ ধ্বনি। যেমন- য, র, ল।
ধ্বনি পরিবর্তন
প্রশ্ন : ধ্বনি পরিবর্তনের প্রধান কারণ কী?
উত্তর : উচ্চরণে সহজ প্রবণতা।
প্রশ্ন : পরের ই-কার, উ-কার, আগে উচ্চারিত হলে তাকে কী বলে?
উত্তর : অপিনিহিতি।
প্রশ্ন : দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্প বিস্তর সমতা লাভ করাকে কী বলে?
উত্তর : সমীভবন।
প্রশ্ন : সকাল > সক্কাল কিসের উদাহরণ?
উত্তর : দীর্ঘব্যঞ্জন এর।
প্রশ্ন : শব্দের মধ্যে দুটি ব্যঞ্জনের পরস্পর স্থান পরিবর্তন ঘটলে তাকে কী বলে?
উত্তর : ধ্বনি বিপর্যয়।
প্রশ্ন : টপাটপ, ধপাধপ এগুলো কিসের উদাহরণ?
উত্তর : অসমীকরণের।
প্রশ্ন : দুটি সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে কী বলে?
উত্তর : বিষমীভবন।
প্রশ্ন : সত্য > সইত্য, চারি > চাইর এগুলো কোন ধরনের ধ্বনি বিপর্যয়?
উত্তর : অপিনিহিতি।
প্রশ্ন : ধ্বনি পরিবর্তন আলোচিত হয়?
উত্তর : ধ্বনিতত্ত্বে।
প্রশ্ন : পদ্ম > পদ্দ, চক্র > চক্ক, কোন ধরনের সমীভবন?
উত্তর : প্রগত সমীভবন।
প্রশ্ন : একই স্বরের পুনরাবৃত্তি না করে মাঝখানে স্বরধ্বনি যুক্ত হয় তাকে কী বলে?
উত্তর : অসমীকরণ।
প্রশ্ন : পদের মধ্যে কোন ব্যঞ্জন ধ্বনি লোপ হলে তাকে কী বলে?
উত্তর : অন্তর্হতি।
ণত্ব ও ষত্ব বিধান
প্রশ্ন : ণত্ব বিধান কাকে বলে?
উত্তর : বাংলা ভাষায় আগত তৎসম শব্দের বানানে ণ এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণত্ব বিধান।
প্রশ্ন : ণত্ব ও ষত্ব বিধান এর প্রয়োগ হয় কোথায়?
উত্তর : তৎসম শব্দে।
প্রশ্ন : ণত্ব ও ষত্ব বিধান ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
উত্তর : ধ্বনিতত্ত্বে।
প্রশ্ন : কোন বর্গের ধ্বনির আগের 'ন' 'ণ' হয়?
উত্তর : ট বর্গের।
প্রশ্ন : ণত্ব ও ষত্ব বিধানের প্রয়োগ সঠিকভাবে না হলে কী সমস্যা হয়?
উত্তর : অর্থের পার্থক্য ঘটে।
প্রশ্ন : ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার, পরনিন্দা, অগ্রনায়ক-এই শব্দগুলোতে মূর্ধন্য-ণ হয়নি কেন?
উত্তর : সমাসবদ্ধ শব্দ বলে।
প্রশ্ন : কোন শব্দগুলোতে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়?
উত্তর : চাণক্য মাণিক্য গণ বাণিজ্য লবণ মণ
বেণু বীণা কঙ্কণ কণিকা।
কল্যাণ শোণিত মণি স্থাণু গুণ পুণ্য বেণী
ফণি অণু বিপণি গণিকা
আপণ লাবণ্য বাণী নিপুণ ভণিতা পাণি
গৌণ কোণ ভাণ পণ শাণ
চিক্কণ নিক্কণ তূণ কফোণি বণিক গুণ
গণণা পিণাক পণ্য বাণ।
প্রশ্ন : ষত্ব বিধান কাকে বলে?
উত্তর : বাংলা ভাষায় আগত তৎসম শব্দের বানানে মূর্ধণ্য 'ষ'-এর ব্যবহারের নিয়মকে ষত্ব বিধান বলে।
প্রশ্ন : সংস্কৃত কোন শব্দগুলোতে মূর্ধন্য- ষ হয় না?
উত্তর : 'সাৎ' প্রত্যয় যুক্ত পদে। যেমন- অগি্নসাৎ, ধূলিসাৎ, আত্দসাৎ ইত্যাদি।
প্রশ্ন : সংস্কৃত 'সাৎ' প্রত্যয়যুক্ত পদে কী হয়?
উত্তর : স।
প্রশ্ন : কোন জাতীয় শব্দে 'ষ'-এর ব্যবহার হয় না?
উত্তর : বিদেশি শব্দে।
প্রশ্ন : কোন দুটি উপসর্গের পর কতগুলো ধাতুতে 'ষ' হয়?
উত্তর : ই-কারান্ত, উ-কারান্ত।
প্রশ্ন : কোন শব্দগুলোতে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ষ হয়?
উত্তর : আষাঢ় ঊষা মানুষ ভাষণ দ্বেষ,
পাষাণ ষ- তোষণ কলুষ শেষ।
উষর আভাষ অভিলাষ ঈষৎ কোষ,
পোষণ ভাষা ভাষ্য মনুষ্য রোষ।
পাষ- সরিষা ঔষধ ঔষধি শোষণ,
ষড়যন্ত্র ষটচক্র ষোড়শ পৌষ ভূষণ।