বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

অষ্টম শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র

ফারুক আহম্মদ

অষ্টম শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র

শিল্পকলার নানা দিক

           —মুস্তাফা মনোয়ার

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

১। একদিন ছাত্রদের নিয়ে বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গেলাম। দেখলাম গেটের সামনে একজন লোক দাঁড়িয়ে বিভিন্ন লোকজন ও প্রকৃতির ছবি আঁকছেন। আমি কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম এত কাজ রেখে আপনি ছবি আঁকছেন কেন? তিনি বললেন, সৌন্দর্যকে প্রকাশ করার জন্যই আমি ছবি আঁকি এবং এর মধ্যেই আমার আনন্দ।

            ক. আর্কিটেক্সার অর্থ কী?

            খ. শিল্পকলা চর্চা সবার জন্য অপরিহার্য কেন?

            গ. উদ্দীপকে ‘শিল্পকলার নানা দিক’ প্রবন্ধের যে দিকটির পরিচয় পাওয়া যায় তা ব্যাখ্যা কর।

            ঘ. সৌন্দর্যকে প্রকাশ করার মধ্যেই আমি আনন্দ খুঁজে পাই উক্তিটি ‘শিল্পকলার নানা দিক’ প্রবন্ধের আলোকে যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও।

ক. উত্তর : আর্কিটেক্সার অর্থ হলো স্থাপত্য।

খ. উত্তর : মানব মনের সহজাত আনন্দধারা বিকাশের জন্য শিল্পকলা চর্চা সবার জন্য অপরিহার্য।

শিল্পকলা একজন মানুষকে পরিপূর্ণ ও সুন্দর মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। শিল্পচর্চা মানুষের মাঝে সৌন্দর্যবোধ সৃষ্টি করে, মনকে তৃপ্ত করে। ভুবনে যে আনন্দ ধারা প্রবাহিত হচ্ছে তাতে শিল্পকলার মূল সত্যটি প্রকাশিত হচ্ছে। সব মানুষই জীবনের এ আনন্দকে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল। কেননা আনন্দ প্রকাশ মানুষের জীবনীশক্তির প্রবলতারই প্রকাশ। শিল্পচর্চা তাই সবার পক্ষে অপরিহার্য।

গ. উত্তর : উদ্দীপকে ‘শিল্পকলার নানা দিক’ প্রবন্ধের ছবি আঁকার দিকটির পরিচয় মেলে।

মানুষের নিজের মনের আনন্দকে, সুন্দরকে সবার মাঝে প্রকাশ করার একটা প্রবণতা রয়েছে। এর মাধ্যমে মানুষের কল্পনা বাস্তবে রূপ পায়। যেমনটা উদ্দীপকে ছবি আঁকার মাধ্যমে লোকটা তার মনের আনন্দ ও সৌন্দর্যকে প্রকাশ করেছে।

‘শিল্পকলার নানা দিক’ প্রবন্ধে লেখক শিল্পকলার নানা আঙ্গিকের কথা বলেছেন। শিল্পকলার নানা আঙ্গিকের কথা বলতে গিয়ে ছবি আঁকার বিষয়টি এনেছেন।  বিশ্বের শিশুদের মতো আমাদের দেশের শিশুরাও ছবি আঁকে। প্রতিদিনের দেখা বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে রং তুলির সাহায্যে শিশুরা সুন্দর ছবি আঁকে। তারা ছবি আঁকে কল্পনা ও বাস্তবতা মিলিয়ে। যার মাধ্যমে তারা তাদের মনের কথা ও সৌন্দর্যকে প্রকাশ করে। অন্যদিকে উদ্দীপকেও ছবি আঁকার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকে একজন লোক বাণিজ্য মেলার গেটে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন লোকজন ও প্রকৃতির ছবি আঁকছেন। তার নিখুঁত ছবিগুলো সবাইকে মুগ্ধ করে। তাই তাকে ছবি আঁকার কথা জিজ্ঞাসা করলে বলেন, ভালো লাগে তাই ছবি আঁকি। ছবি আঁকার মাধ্যমে তিনি আনন্দ খুঁজে পান। সুতরাং আমরা এ কথাই বলতে পারি যে, উদ্দীপকে ‘শিল্পকলার নানা দিক’ প্রবন্ধের ছবি আঁকার দিকটির পরিচয় মেলে।

ঘ. উত্তর : ‘সৌন্দর্যকে প্রকাশ করতে আমি বড় ভালোবাসি এবং এর মধ্যেই আমার আনন্দ’— উক্তিটির মধ্য দিয়ে ‘শিল্পকলার নানা দিক’ প্রবন্ধের মূল সত্যটি ফুটে উঠেছে।

‘শিল্পকলার নানা দিক’ প্রবন্ধে লেখক সৌন্দর্যকে প্রকাশ করার জন্য শিল্পকলার নানা দিককে ফুটিয়ে তুলেছেন। যেমন ভাস্কর্য, স্থাপত্য, সংগীত নৃত্য, ছবি আঁকা ইত্যাদি। আর এসব কিছুর মধ্য দিয়েই মানুষ তার মনের কল্পনাকে বাস্তবে ফুটিয়ে তুলতে পারে। এতে মানুষ যেমন আনন্দ পায় অন্যদিকে তেমনি সৌন্দর্যও ফুটে ওঠে। 

 উদ্দীপকে একজন লোক মানুষ ও প্রকৃতির ছবি আঁকেন। তার আঁকা ছবি দেখে লোকজন বিমোহিত হন। তাই তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো এত কাজ রেখে আপনি ছবি আঁকেন কেন। জবাবে তিনি বললেন, সৌন্দর্যকে প্রকাশ করার জন্য এবং ভালো লাগার জন্যই আমি ছবি আঁকি। অন্যদিকে ‘শিল্পকলার নানা দিক’ প্রবন্ধে শিল্পকলার নানা দিক প্রকাশের কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে সৌন্দর্যের কথা বলেছেন। সৌন্দর্যকে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়। তার মধ্যে অন্যতম হলো ছবি আঁকা। ছবি আঁকার মাধ্যমে কল্পনা ও বাস্তবতা প্রকাশ পায়।

ভালো লাগা থেকেই শিল্পকলার সৃষ্টি হয়। উদ্দীপকে যেমনটা লোকটার ভালো লাগে বলেই ছবি আঁকেন। অন্যদিকে প্রবন্ধেও ছবি আঁকার কথা বলা হয়েছে। শিশুর মনের আনন্দ প্রকাশ পায় ছবি আঁকার মাধ্যমে। যা এই প্রবন্ধে আমরা দেখতে পাই। তাই আমরা বলতে পারি, ‘সৌন্দর্যকে প্রকাশ করতে আমি বড় ভালোবাসি এবং এর মধ্যেই আমার আনন্দ’— উক্তিটির মধ্য দিয়ে ‘শিল্পকলার নানা দিক’ প্রবন্ধের মূল তাৎপর্য বহন করে।

সর্বশেষ খবর