সৃজনশীল প্রশ্ন
প্রথম অধ্যায়- কৃষি প্রযুক্তি
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং তত্সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
দবির মিয়ার ময়মনসিংহে নদীর পাড়ে কিছু পতিত জমি ছিল। ঐ জমিতে গত বছর গম চাষ করে সে আশানুরূপ ফলন পায়নি। তাই বিষয়টি নিয়ে সে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার শরণাপন্ন হলো। কৃষি কর্মকর্তা তাকে আধুনিক চাষাবাদ সম্পর্কে অনেকগুলো পরামর্শ দেন। তিনি আরও বলেন যে, মাটির ধরন ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ফসল নির্বাচন হয়।
ক. মাটি কাকে বলে? ১
খ. কী ধরনের মাটি ডাল চাষের জন্য উপযোগী? ২
গ. দবির মিয়া কেন তার জমি থেকে আশানুরূপ ফলন পায়নি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. দবির মিয়ার জমিতে কোন ধরনের ফসল চাষ করলে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যাবে বলে তুমি মনে কর? ৪
উত্তর :
ক. ভূ-ত্বকের নরম উপরিভাগই মাটি। তবে, যেখানে ফসল জন্মায়, বন সৃষ্টি হয় আর গবাদিপশু বিচরণ করে তাকে মাটি বলে।
খ. এঁটেল-দো আঁশ ও পলি-দো আঁশ মাটি ডাল চাষের জন্য উপযোগী। এঁটেল-দো আঁশ ও পলি-দো আঁশ মাটির পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই পানির প্রতি সংবেদনশীল ডাল জাতীয় ফসল এ মাটিতে ভালো জন্মায়।
গ. ফসল উৎপাদনের জন্য সঠিক জমি নির্বাচন না করায় উদ্দীপকের দবির মিয়া কাঙ্ক্ষিত ফলন পায়নি। সঠিক জমি নির্বাচন হলো ফসল উৎপাদনের জন্য প্রধান শর্ত। কেননা, প্রকৃতিতে নানা ধরনের মাটি বিদ্যমান। একেক মাটির বৈশিষ্ট্য একেক রকম। কিছু মাটি প্রচুর পানি ধরে রাখতে পারে। আবার কিছু মাটির মধ্য দিয়ে সহজে পানি চলাচল করতে পারে। এসব কিছুর উপর নির্ভর করে ঐ জমির মাটিতে অণুজীব ক্রিয়াশীল থাকে। মাটির বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে জমিতে ফসল আবাদ করতে হয়। কেননা, মাটির মতো সকল ফসলের জন্ম বৈশিষ্ট্য ভিন্ন ভিন্ন। অর্থাৎ কোনো ফসলকে উপযুক্ত মাটিতে আবাদ না করলে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যায় না। উদ্দীপকের দবির মিয়া ফসলের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী জমি নির্বাচন করতে পারেনি। আর এ কারণেই সে এ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের দবির মিয়ার জমিতে তরমুজ, চীনা বাদাম, বাঙ্গি ইত্যাদি ফসল চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। উদ্দীপকের দবির মিয়ার জমি নদীর তীরে অবস্থিত। আমরা জানি, নদীর তীরবর্তী জমিতে প্রচুর পরিমাণে বালি থাকে। তাই এ মাটিকে বেলে মাটি হিসেবে অভিহিত করা হয়। বেলে মাটি হলো এক বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মাটি। এ মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ খুবই কম থাকে। মাটির কণার আকার বড় হওয়ায় এ মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা খুবই কম। তাই বেলে মাটিতে কতিপয় বিশেষ প্রজাতির ফসল রোপণ না করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় না। কেননা, বেলে মাটিতে ঐ ফসলই রোপণ করতে হয়, যার পানির চাহিদা তুলনামূলক কম। তরমুজ, চীনা বাদাম, বাঙ্গি ইত্যাদি জাতীয় ফসল চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে, কারণ এসব ফসলের পানির চাহিদা কম। তাই উদ্দীপকের দবির মিয়ার জমিতে এ ধরনের ফসল চাষ করলে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যাবে।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
১. তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে কোন ফসলের রোগের আক্রমণ বেড়ে যায়?
ক.গম খ. ধান গ. ভুট্টা ঘ. পাট
২. জমি চাষের বিবেচ্য বিষয় কয়টি?
ক.২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
৩. বাংলাদেশের পাহাড়ি ও পাদভূমি অঞ্চলের উঁচু ভূমির পরিমাণ কত?
ক. ৭০% খ. ৮০% গ. ৯০% ঘ. ১০০%
৪. গম চাষের জন্য কেমন মাটি সহজে ঝুরঝুরা হয়?
ক. বেলে মাটি খ. এঁটেল মাটি
গ. দোআঁশ মাটি ঘ. পলি মাটি
৫. কোনটি রবি মৌসুমের ফসল?
ক. চিনা বাদাম খ. ভুট্টা
গ. পাট ঘ. রোপা আমন।
৬. জমি প্রস্তুতকরণের উদ্দেশ্য কয়টি?
ক. ৪ খ. ৫ গ. ৬ ঘ. ৭
৭. কৃষকের ভাষায় ভূ-পৃষ্ঠের কত সে. মি. স্তরকে মাটি বলে?
ক. ১০-১২ খ. ১৫-১৮ সে.মি.
গ. ১৯-২০ সে.মি. ঘ. ২১-২২ সে.মি.
৮. মাটির প্রকৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে কয়টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চলে ভাগ করা যায়?
ক. ১৫টি খ. ২০টি গ. ২৫টি ঘ. ৩০টি
৯. বাংলাদেশের মাটি কোন নদীর পলি দ্বারা সৃষ্টি?
ক. হোয়াংহো খ. শীতলক্ষ্যা
গ. যমুনা ঘ. ব্রহ্মপুত্র
১০. মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ কম হলে কী ব্যবহার করতে হয়?
ক.রাসায়নিক সার খ. কম্পোস্ট সার
গ. চুন ঘ. জিপসাম
১১. কয়টি পর্যায়ে রোগিং করা হয়?
ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫
১২. হিমাগারে রাখার আগে আলু কী দিয়ে শোধন করে নিতে হয়?
ক.বরিক এসিড খ. হাইড্রোক্লোরিক এসিড
গ. সালফিউরিক এসিড
ঘ. ফরমিক এসিড
১৩. খাদ্যে আর্দ্রতা বেশি হলে কী জন্মে?
ক. ভাইরাস খ. ব্যাকটেরিয়া
গ. ছত্রাক ঘ. পরজীবী
১৪. কোনটি পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি?
ক. বালাইনাশক ব্যবহার
খ. কৃত্রিম সারের ব্যবহার
গ. শস্য পর্যায় ব্যবহার
ঘ. শস্য সংরক্ষণে রাসায়নিক সারের ব্যবহার
১৫. কোনটি ছাড়া কৃষি কাজ সম্ভব নয়?
ক. সার খ. ট্রাক্টর গ. অর্থ ঘ. পানি
১৬. নিচের কোনটি ধানের মৌসুম?
ক. আউশ খ. শ্রাবিনী
গ. উফশী ঘ. নিজামী
১৭. বীজ উৎপাদনের সর্বমোট ধাপ কয়টি?
ক.৮ খ. ৯ গ. ১০ ঘ. ১১
১৮. হে তৈরির পর ঘাসে শতকরা কত ভাগ আর্দ্রতা থাকে?
ক. ২০-২৫% খ. ২৬-৩০%
গ. ৩১-৩৫% ঘ. ৩৬-৪০%
১৯. বীজতলার নালার মাপ কেমন হয়?
ক. ২৫–২৫ সে. মি.
খ. ২৫–২০ সে. মি.
গ. ২৫–৩৫ সে. মি.
ঘ. ২৫–৩০ সে. মি.
২০. মধুপুর ও বরেন্দ্র অঞ্চলের জমির ধরন কীরূপ?
ক. উঁচু ও সমতল খ. নিচু ও সমতল
গ. উঁচু ও অসমতল ঘ. নিচু ও অসমতল।
উত্তরমালা : ১.ক ২.গ ৩.গ ৪.গ ৫.ঘ ৬.ঘ ৭.ক ৮.ঘ ৯.গ ১০.খ ১১.খ ১২.ক ১৩.গ ১৪.গ ১৫.ঘ ১৬.ক ১৭.খ ১৮.ক ১৯.ক ২০.ক।