সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র

মেহেরুন্নেসা খাতুন, প্রভাষক

একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রথমপত্র

[পূর্বে প্রকাশের পর]

 

(সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতা)

(ক) ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

(খ) ‘সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

(গ) ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় তারুণ্যের ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো উদ্দীপকের আলোকে আলোচনা কর।   

(ঘ) জড় নিশ্চল প্রথাবদ্ধ জীবনকে পেছনে ফেলে নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন, কল্যাণ ও সেবাব্রত উদ্দীপক এবং ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

 

গ-বিভাগ (উপন্যাস)

 

৮। স্বধর্মত্যাগী স্বার্থান্বেষী ভণ্ড নবীদের আবির্ভাবের ফলে নব-প্রতিষ্ঠিত ইসলাম ধর্ম এবং রাষ্ট্র একটি যুগসন্ধিক্ষণের সম্মুখীন হয় এবং এর ভিতও প্রকল্পিত হয়ে উঠে। যারা নিজেদের নবী বলে দাবি করে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল মুসায়লামা। স্বলিখিত বাণীকে ঐশীবাণী বলে প্রচার করে সে নবুয়ত দাবি করে এবং নবী করিম (সা.) কে একটি লিখিত পত্রে জানায় যে, ধর্মপ্রচার এবং আরব-ভূমিতে শাসনকার্য নির্বাহের জন্য সে রসুলের সমতুল। কোরআনের ভাষা নকল করে জনসাধারণকে সে বিভ্রান্ত করত। ভণ্ড নবীদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ও ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল মুসায়লামা।

(ক) সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

(খ) ‘সজ্ঞানে না জানলেও তারা একাট্টা, পথ তাদের এক’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।   

(গ) স্বলিখিত বাণীকে ঐশীবাণী হিসেবে প্রচার করার সঙ্গে লালসালু উপন্যাসের কোন ঘটনার মিল আছে? আলোচনা কর।    

(ঘ) ‘উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করার যে প্রচেষ্টা তাতে মজিদ ও মুসায়লামা এক ও অভিন্ন’ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৯. দুখিরাম ও ছিদাম দুই ভাই। সকালে দা হাতে নিয়ে যখন জন খাটতে বের হয়, তখন তাদের দুই স্ত্রীর নিত্য কলহ দেখে পাড়া-প্রতিবেশীদের মতো তারা দুই ভাইও অভ্যস্ত হয়ে গেছে। বড় জা রাধা, ছোট জা চন্দরা। বড় বউ ছিল অত্যন্ত এলোমেলো, অগোছালো। মাথার কাপড়, কোলের শিশু, ঘরকন্নার কাজ কিছুই সে সামলাতে পারত না। হাতে বিশেষ একটা কিছু কাজও নেই, অথচ কোনো কালে সে অবসর করে উঠতে পারে না। আর ছোট জা চন্দরার বয়স সতেরো কি আঠারো। মুখখানি হৃষ্টপুষ্ট, গোলগাল শরীরটি অনতিদীর্ঘ, আঁটসাঁট। পৃথিবীর সব বিষয়েই তার একটা কৌতুক ও কৌতূহল আছে; পাড়ায় গল্প করতে যেতে ভালোবাসে এবং ঘাটে যেতে-আসতে দুই আঙুল দিয়ে ঘোমটা ঈষৎ ফাঁক করে উজ্জ্বল চঞ্চল ঘনকৃষ্ণ চোখ দুটি দিয়ে পথের মধ্যে যা কিছু দেখার আছে সব এক নজর দেখে নেয়।     

 

(রবীন্দ্রনাথের ‘শাস্তি’ গল্প অবলম্বনে)

(ক) ‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদের নাম কী?

(খ) ‘বিশ্বাসের পাথরে যেন খোদাই সে চোখ।’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

(গ) উদ্দীপকের দুই নারী চরিত্র দুই জার সম্পর্কের সঙ্গে রহিমা ও জমিলা দুই সতিনের বৈসাদৃশ্য কোথায়? আলোচনা কর।    

(ঘ) ‘উদ্দীপকের রহিমা বড় জা রাধার বিপরীত চরিত্র হলেও জমিলা চরিত্রটি ছোট জা চন্দরার অনুরূপ’ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

 

ঘ-বিভাগ (নাটক)

 

১০. প্রায় দুই শত বছরের ব্রিটিশ শাসনামলের ইতিহাসের খল নায়ক লর্ড ক্লাইভ।

নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে পরাজিত করে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন লর্ড ক্লাইভ। পলাশীর যুদ্ধে এবং যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তার নিষ্ঠুরতা বর্ণনারও অযোগ্য।

যুদ্ধ-পরবর্তীকালে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয় ইংরেজরা। লর্ড ক্লাইভের নিষ্ঠুর বর্ণনা দিতে গিয়ে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বাঙালির খুনে লাল হল হেথা ক্লাইভের খঞ্জর, ওই গঙ্গায় ডুবিয়াছে তাই ভারতের দিবাকর।’

(ক) নবাব সিরাজউদ্দৌলার পূর্ণ নাম কী?   

(খ) ‘আমি বরং নবাবকে বিশ্বাস করতে পারি’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।

(গ) লর্ড ক্লাইভের বিবিধ অপকর্ম ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় উদ্দীপক ও ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটক অবলম্বনে আলোচনা কর।  

(ঘ) ‘ইতিহাসের খলনায়ক লর্ড ক্লাইভ, ভারতের দিবাকর ডুবে যাবার কারণ লর্ড ক্লাইভ।’ সিরাজউদ্দৌলা নাটক অবলম্বনে মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।    

১১. ‘আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না। আমি এ দেশের মানুষের অধিকার চাই। আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোকদের হত্যা করা হয়, তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ রইল প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শক্রুর মোকাবেলা করতে হবে এবং জীবনের তরে রাস্তাঘাট যা যা কিছু আছে, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি তোমরা বন্ধ করে দিবে...৭ কোটি মানুষকে দাবায়া রাখতে পারবা না। ...তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইন্শাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।’     

 

(ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ)

(ক) সিরাজউদ্দৌলা কাকে কলকাতার দেওয়ান নিযুক্ত করেন? 

(খ) ‘স্বার্থান্ধ প্রতারকের কাপুরুষতা বীরের সংকল্প টলাতে পারেনি’ উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।  

(গ) যুদ্ধের শেষদিকে নবাব সিরাজউদ্দৌলার মুর্শিদাবাদে ফিরে এসে জনগণকে সংগঠিত করার যে প্রয়াস উদ্দীপকটি কি তাকে প্রতিনিধিত্ব করে? আলোচনা কর।        

(ঘ) বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালিদের যে দৃঢ় মনোবল তৈরি করেছিল পলাশীর যুদ্ধের শেষে সিরাজউদ্দৌলার আকুতি ও আহ্বান সৈনিক ও সাধারণ জনগণকে সংঘবদ্ধ করতে পেরেছে কী? তোমার মতের সপক্ষে যুক্তি দাও।

সর্বশেষ খবর