চিত্র : পরমাণুর গঠন
অর্নুধাবন মূলক প্রশ্ন
১. অ্যানায়ন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : ঋণাত্মক আধানযুক্ত পরমাণুকে অ্যানায়ন বলে। যেমন ক্লোরিন পরমাণু ১টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আধানযুক্ত cl- অ্যানায়নে পরিণত হয়।
cl+e-→cl-
২. আয়ন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : আধানযুক্ত পরমাণুকে আয়ন বলে। যখন একটি মৌল ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্রহণ করে, তখন আয়ন সৃষ্টি হয়। ইলেকট্রন গ্রহণ করলে ঋণাত্মক আয়ন এবং ইলেকট্রন ত্যাগ করলে ধনাত্মক আয়ন উৎপন্ন হয়।
সৃজনশীল প্রশ্ন
ক. শক্তিস্তর কী? ১
খ. কার্বনের আইসোটোপ তিনটি কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ Z মৌলটির নিউট্রন সংখ্যা ২২ হলে এর ভরসংখ্যা নির্ণয় কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের কোন মৌল দুটি যৌগ গঠন করতে সক্ষম? ইলেকট্রনবিন্যাস উল্লেখপূর্বক মতামত দাও। ৪
উত্তর : ক. প্রথম কক্ষপথে সর্বোচ্চ ২টি, দ্বিতীয় কক্ষপথে সর্বোচ্চ ৮টি এবং তৃতীয় কক্ষপথে সর্বোচ্চ ১৮টি ইলেকট্রন থাকতে পারে। কক্ষপথগুলোকে শক্তিস্তর বলে।
খ. কোনো মৌলের ভিন্ন ধরনের পরমাণু যাদের প্রোটন বা পারমাণবিক সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন তাদের ওই মৌলের আইসোটোপ বলে।
কার্বনের বেশির ভাগ পরমাণুতে ৬টি প্রোটন ও ৬টি নিউট্রন রয়েছে। আবার কিছু পরমাণুতে ৭টি বা ৮টি নিউট্রন থাকে। সে ক্ষেত্রে তাদের ভরসংখ্যা ১৩ বা ১৪। পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন হওয়ায় কার্বনের এই তিন ধরনের আইসোটোপ দেখা যায়।
গ) দেওয়া আছে, Z মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ১৮ নিউট্রন সংখ্যা ২২ সুতরাং Z মৌলে পোটন ১৮টি
আমরা জানি,
কোনো মৌলের ভরসংখ্যা = ওই মৌলের প্রোটন সংখ্যা+নিউট্রন সংখ্যা ত মৌলের ভরসংখ্যা =১৮+২২= ৪০
ঘ. উদ্দীপকের X হলো সোডিয়াম (Na)
সোডিয়াম পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস হলো Na (11) = 2, 8, 1
সোডিয়াম পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ১টি ইলেকট্রন বিদ্যমান। সর্বশেষ শক্তিস্তরে ১টি ইলেকট্রন থাকায় সোডিয়াম পরমাণুটি স্থিতিশীল নয়। তাই স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য এই পরমাণুটি ১টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে ধনাত্মক আধানযুক্ত Na+ ক্যাটায়নে পরিণত হয়।
উদ্দীপকের Y হলো ক্লোরিন (cl)
ক্লোরিন পরমাণুর ইলেকট্রনবিন্যাস হলো
cl(17)=2, 8, 7
ক্লোরিন পরমাণুর সর্বশেষ শক্তিস্তরে ৭টি ইলেকট্রন থাকায় এটি স্থিতিশীল নয়। তাই স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য ক্লোরিন পরমাণু ১টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে ঋণাত্মক আধানুযুক্ত Cl- অ্যানায়নে পরিণত হয়।
Na→Na+ +e-
Cl+e-→Cl-
Na+c1→Na+cl- ev Nacl
সোডিয়াম ও ক্লোরিন পরমাণু মিলিত হয়ে Nacl নামক আয়নিক যৌগ গঠন করে।
আধানযুক্ত পরমাণুকে আয়ন বলে। যখন একটি মৌল ইলেকট্রন ত্যাগ বা গ্রহণ করে, তখন আয়ন সৃষ্টি হয়। ইলেকট্রন গ্রহণ করলে ঋণাত্মক আয়ন এবং ইলেকট্রন ত্যাগ করলে ধনাত্মক আয়ন উৎপন্ন হয়।
বহুনির্বাচনী প্রশ্ন
১. গ্রিক শব্দ অ্যাটোমোস অর্থ কী?
ক. বিভাজ্য খ. অবিভাজ্য
গ. পরমাণু ঘ. কণিকা
২. পরমাণুর ধনাত্মক কণিকার নাম কী?
ক. ইলেকট্রন খ. প্রোটন
গ. নিউট্রন ঘ. পজিট্রন
৩. অক্সিজেন পরমাণুতে কতটি প্রোটন থাকে?
ক. ৪টি খ. ৮টি গ. ১৬টি ঘ. ৩২টি
৪. সিলিকনের একটি পরমাণুতে প্রোটনসংখ্যা ১৪ হলে পারমাণবিক সংখ্যা কত হবে?
ক. ১৪ খ. ১১ গ. ৬ ঘ. ৫
৫. অক্সিহেনের পারমাণবিক সংখ্যা ৮ হলে
i. অক্সিজেনের প্রোটন সংখ্যা ৮
ii. ২য় শক্তিস্তরে ৬টি ইলেকট্রন আছে
iii. ভরসংখ্যা ৮
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৬. দুটি মৌল যাদের পারমাণবিক সংখ্যা ১১ ও ১২ -এরা
i. কঠিন পদার্থ
ii. ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট
iii. ইলেকট্রন বর্জন করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii
গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
৭. একটি পরমাণুতে প্রোটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাকে কী বলে?
ক. পারমাণবিক সংখ্যা
খ. আইসোটোপ
গ. পারমাণবিক ভর
ঘ. ভরসংখ্যা
৮. কোনো মৌলের পরমাণুতে ৩টি প্রোটন ও ৪টি নিউট্রন আছে। মৌলটির ভরসংখ্যা কত?
ক. ৬ খ. ৭ গ. ৮ ঘ. ৯
৯. মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা ও ভরসংখ্যা হতে নিচের কোনটি জানা যায়?
ক. মৌলের প্রতীক খ. অণুর গঠন
গ. মৌলের ভর ঘ. নিউট্রন সংখ্যা
১০. একটি পরমাণুতে ৮টি ইলেকট্রন আছে। যদি পরমাণুটির ভরসংখ্যা ১৭ হয়, তবে নিউট্রন সংখ্যা কত?
ক. ৭টি খ. ৮টি
গ. ৯টি ঘ. ১০টি
উত্তরমালা : ১, খ ২. খ ৩. খ ৪. ক ৫. ক ৬. ঘ ৭. ঘ ৮. খ ৯. ঘ ১০. গ