বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান

মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান, প্রভাষক

রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়া : যে তাপগতীয় প্রক্রিয়ায় তাপ সিস্টেম থেকে বাইরে বা বাইরে থেকে সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে না, কিন্তু সিস্টেমের তাপমাত্রার পরিবর্তন ঘটে তাকে রুদ্ধতাপীয় প্রক্রিয়া বলে।

আধানের তলমাত্রিক ঘনত্ব : পরিবাহকের পৃষ্ঠের কোনো বিন্দুর চারদিকে প্রতি একক ক্ষেত্রফলে যে পরিমাণ আধান থাকে তাকে ওই বিন্দুর আধানের তলমাত্রিক ঘনত্ব বলে।

সমবিভব তল : যে চার্জিত তলের সব বিন্দুতে তড়িৎ বিভকের মান সমান তাকে সমবিভব তল বলে।

সংকট তাপমাত্রা : যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রার নিচে কোনো পদার্থের রোধ শূন্য হয়, সেই তাপমাত্রাকে উক্ত পদার্থের সংকট তাপমাত্রা বলে।

বিচ্যুতি : পৃথিবী পৃষ্ঠের ওপর কোনো স্থানে চৌম্বক মধ্যতল ও ভৌগোলিক মধ্যতলের অন্তর্গত কোণকে ওই স্থানের বিচ্যুতি বলে।

লরেঞ্জ বল : কোনো স্থানে একই সময়ে একটি তড়িৎ ক্ষেত্র ও একটি চৌম্বক ক্ষেত্র বিদ্যমান থাকলে সেখানে একটি গতিশীল আধান থাকে, যা লব্বি বল অনুভব করে। এ বলকে লরেঞ্জ বল বলে।

স্কেলার গুণন : দুটি ভেক্টরের যে গুণনে একটি স্কেলার রাশি পাওয়া যায় তাকে ভেক্টরদ্বয়ের স্কেলার গুণন বলে।

অবস্থান ভেক্টর : প্রসঙ্গ কাঠামোর মূল বিন্দুর সাপেক্ষে কোনো বিন্দুর অবস্থান যে ভেক্টরের সাহায্যে নির্ণয় করা হয় তাকে অবস্থান ভেক্টর বলে।

উড্ডয়ন কাল : নিক্ষিপ্ত বস্তুটি বা প্রাসটি একই আনুভূমিক বরাবর আসতে যে সময় লাগে তাকে উড্ডয়ন কাল বলে।

স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ : দুটি বস্তুর সংঘর্ষের ফলে যদি বস্তুগুলোর মধ্যে মোট গতিশক্তি সংরক্ষিত থাকে, তাহলে সেই সংঘর্ষকে স্থিতিস্থাপক সংঘর্ষ বলে।

স্প্রিং ধ্রুবক : কোনো স্প্রিংয়ের একক প্রসারণের জন্য যে বল প্রয়োগ করতে হয় তাই হলো স্প্রিং ধ্রুবক।

প্রত্যয়ী বল : যে বলের কারণে কোনো বিকৃত বস্তু পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে বা আসতে চেষ্টা করে তাকে প্রত্যয়ী বল বলে।

মহাকর্ষীয় বিভব : কোনো মহাকর্ষ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে অসীম দূরত্ব থেকে একটি একক ভরের বস্তুকে আনতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয় তাকে ওই বিন্দুর মহাকর্ষীয় বিভব বলে।

সংনম্যতা : কোনো বস্তুর ওপর চারদিক থেকে সমান চাপ প্রয়োগ করলে বস্তুটির আয়তন কমে যায়। বস্তুর এ ধর্মকে সংনম্যতা বলে।

স্থিতিস্থাপক সীমা : প্রযুক্ত বাহ্যিক বলের যে সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত কোনো বস্তু পূর্ণ স্থিতিস্থাপক থাকে তাকে ওই বস্তুর স্থিতিস্থাপক সীমা বলে।

পর্যাবৃত্ত গতি : কোনো গতিশীল বস্তু কণার গতি যদি এমন হয় যে, এটি তার গতিপথের কোনো একটি নির্দিষ্ট বিন্দুকে নির্দিষ্ট সময় পর পর একই দিক থেকে অতিক্রম করে, তাহলে সেই গতিকে পর্যাবৃত্ত গতি বলে।

ফার্মাটের নীতি : এক বিন্দু থেকে অপর বিন্দুতে যাওয়ার সময় আলোকরশ্মির যতবার প্রতিফলন বা প্রতিসরণ হোক না কেন অনুসৃত পথ সর্বদাই স্থির থাকবে।

আলোর সমবর্তন : যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন তলে কম্পমান আলোক তরঙ্গকে একটি নির্দিষ্ট তল বরাবর কম্পনক্ষম করা যায় তাকে আলোর সমবর্তন বলে।

কার্যাপেক্ষক : কোনো ধাতব পৃষ্ঠ থেকে শূন্য বেগসম্পন্ন ইলেকট্রন নির্গত করতে যতটুকু শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে ওই ধাতুর কার্যাপেক্ষক বলে।

নিউক্লিয়ার ফিশন : যে প্রক্রিয়ায় একটি ভারী নিউক্লিয়াস বিশ্লিষ্ট হয়ে প্রায় সমান ভরের দুটি নিউক্লিয়ার তৈরি হয় এবং শক্তি নির্গত হয় তাকে নিউক্লিয়ার ফিশন বলে।

সর্বশেষ খবর