সোমবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

সুকুমার মন্ডল - সিনিয়র সহকারী শিক্ষক

পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

১. অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের দেশের জনগণ কীভাবে উপকৃত হতে পারে?

উত্তর : খাদ্য আমাদের মৌলিক চাহিদা। আগে প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ টন খাদ্য আমদানি করতে হতো। বর্তমানে আমরা সবার জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম। অধিক খাদ্য উৎপাদন করলে দেশের চাহিদা মেটাতে খাদ্য আমদানি করতে হবে না। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে ও দেশের উন্নয়ন হবে। এ ছাড়াও অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের চাহিদার অতিরিক্ত অংশ বিদেশে রপ্তানি করতে পারব। এতে করে আমাদের দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে। যা দেশের জনগণের কল্যাণে ব্যয় হবে।

২. শ্রমশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি?

উত্তর : একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হলো দক্ষ জনশক্তি। দক্ষ জনশক্তি যে কোন দেশের জন্য জনসম্পদ। দেশের প্রয়োজন মেটানোর পর দক্ষ জনশক্তি যদি বিদেশে রপ্তানি করা হয়, তবে দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।

আমাদের দেশের জনসংখ্যাকে যদি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা যায়, তবে তারা হবে আমাদের দেশের মূল্যবান শ্রমশক্তি। এ শ্রমশক্তি বিদেশে রপ্তানি করলে দেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবে। শ্রমিকদের উপার্জিত অর্থ তাদের পরিবারের আর্থিক চাহিদা পূরণ করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে। তাই বিদেশে শ্রমশক্তি রপ্তানি করলে দেশের অর্থনীতি মজবুত হবে। এতে দেশ ও দেশের জনগণও উপকৃত হবে।

৩. কারিগরি প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি?

উত্তর : দক্ষ জনশক্তি তৈরির অন্যতম কৌশল হলো শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ভূমিকা অপরিসীম। কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তিকে দক্ষ করে তোলা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য নতুন নতুন শিল্পের বিকাশ প্রয়োজন। আর নতুন শিল্পের জন্য কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকের প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়ে প্রায় সব উৎপাদনই যন্ত্রনির্ভর। তাই কারিগরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকদের গুরুত্ব অপরিহার্য। দেশের শিল্প বিকাশের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি করে অর্থনীতির উন্নয়ন করা সম্ভব।

৪. শিক্ষা কোন ধরনের অধিকার? শিক্ষার ওপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব ৪টি বাক্যে লেখ।

উত্তর : শিক্ষা একটি অন্যতম প্রধান মৌলিক অধিকার। শিক্ষার ওপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব ৪টি বাক্যে লেখা হলো :

১. সমাজের অগ্রগতিতে শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও অধিক জনসংখ্যার প্রভাবে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

২. আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ এখনো অক্ষরজ্ঞানহীন।

৩. দারিদ্র্যের কারণে অনেক মা-বাবা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারেন না।

৪. বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও অনেক শিশু পরিবারের কাজে সাহায্য করার জন্য লেখাপড়া শেষ না করে ঝরে পড়ে।

৫. অতিরিক্ত জনসংখ্যা পরিবেশের ওপর কিরূপ প্রভাব ফেলে? পরিবেশের ওপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব সম্পর্কে ৪টি বাক্য লেখ।

উত্তর : অতিরিক্ত জনসংখ্যা পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। পরিবেশের ওপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার প্রভাব সম্পর্কে ৪টি বাক্য-

১. মানুষ গাছপালা কেটে বাড়িঘর তৈরি করায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

২. অধিক ফসল ফলাতে গিয়ে জমিতে প্রচুর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে।

৩. প্রচুর রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে নদী ও পুকুরের পানি দূষিত হচ্ছে।

৪. খাবার ও ফসল ফলাতে ভূগর্ভের পানি উত্তোলনের কারণে সামগ্রিকভাবে আমাদের পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

৬. একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত কী? জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের ৪টি উপায় লেখ।

উত্তর : একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হলো দক্ষ জনশক্তি জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের ৪টি উপায় হলো-

১. মৌলিক শিক্ষার উন্নয়ন ঘটিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করা।

২. বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা।

৩. উপযুক্ত খাদ্য ও পুষ্টি, পরিবেশসম্মত আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

৪. সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।

সর্বশেষ খবর