বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

আস্থা ও নির্ভরতা নিয়ে উৎপাদনশীলতার পথে

আস্থা ও নির্ভরতা নিয়ে উৎপাদনশীলতার পথে

জে ইকরাম হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র‌্যাংগস্ ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড

ইলেকট্রনিক্স সেক্টর বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল একটি ক্ষেত্র। পরিসংখ্যানগতভাবে, সারা দেশে ইলেকট্রনিক্স সম্পর্কিত ব্যবসায়গুলোতে নিযুক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয় করে ৩ হাজারেরও বেশি ব্যবসায় চালু রয়েছে এবং প্রতি বছর এই খাতটি ১৫% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে যা প্রায় ১ কোটিরও বেশি লোকের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স বাজারের প্রায় ৬৫% অংশীদার দেশি ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো। যেখানে টেলিভিশন শিল্প প্রায় ৪২% অংশীদার। একসময় আমদানির ওপর নির্ভরশীল হলেও বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত  হচ্ছে, এমন টেলিভিশন ব্র্যান্ডগুলো ধীরে ধীরে স্থানীয় বাজারের বড় অংশ অর্জন করছে। বর্তমানে দেশি ব্র্যান্ডের সময়োপযোগী ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে বাজারে ক্রেতার কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এলইডি টেলিভিশনের বিভিন্ন সংস্করণ যেমন ফোরকে, স্মার্ট, অ্যান্ড্রয়েড, গুগল টিভি, ভয়েস কন্ট্রোল টিভি ইত্যাদি এখন বাজারের প্রধান ব্র্যান্ডগুলোর দ্বারা উৎপাদিত এবং সংযোজিত হয়। তাই আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পাশাপাশি স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো ধীরে ধীরে বাজারের উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে নিচ্ছে।  বাজার প্রতিযোগিতামূলক থাকায়, প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতারা দেশি ব্র্যান্ডের প্রতি ঝুঁকছেন।

র‌্যাংগ্স ইলেকট্রনিকস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আওতায়, সিলেট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে ৩২ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে র‌্যাংগ্স। এ বছরেই সেখানে উৎপাদন শুরু হচ্ছে এবং ২০২৪ সাল নাগাদ পূর্ণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই পার্কে পণ্যের লাইন আপে শুরুতেই রয়েছে রেফ্রিজারেটর, এসি ও টিভি। বছরে ৫ লাখ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই প্রজেক্ট শুরু হচ্ছে। র‌্যাংগ্সের নিজস্ব প্রোডাক্ট, রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট, ট্রেনিং ও আফটার সেলস সার্ভিসের সহায়তায় যুগোপযোগী পণ্য নিয়ে আসাই কোম্পানিটির মূল লক্ষ্য। 

দেশীয় ব্র্যান্ডের মধ্যে হাতে গোনা ৭-৮টি ব্র্যান্ডই উৎপাদনকারী হিসেবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাকিরা সংযোজনকারী হিসেবে কাজ করছে। এখন বেসিক, স্মার্ট, অ্যান্ডয়েড ইত্যাদি টিভি; ফ্রস্ট-নন ফ্রস্ট ফ্রিজ; ইনভার্টার-নন ইনভার্টার এসি এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন হচ্ছে। সনি র‌্যাংগ্স নতুন প্রযুক্তিসম্পন্ন মডেলের সনি ও র‌্যাংগ্স টিভি; কেলভিনেটর ও র‌্যাংগ্স ফ্রিজ ও এসি সংযোজন-বাজারজাতকরণের কাজ করছে। দুই দশক ধরে র‌্যাংগ্স সাফল্যের সঙ্গে সিলিং ফ্যান উৎপাদন করে আসছে।

র‌্যাংগ্স ইলেকট্রনিক্স, সনি কর্পোরেশন জাপানের তত্ত্বাবধানে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশের প্রথম সনি টিভি অ্যাসেম্বল ফ্যাক্টরি স্থাপন করে। সনির ওসাকা ১২ ইঞ্চি সাদাকালো টিভির সংযোজনের মাধ্যমে ১৯৮৭ সালে সংযোজনকারী হিসেবে যাত্রা। এরপর ১৯৮৯ সালে সনি  ২১ ও ১ ইঞ্চি কালার টেলিভিশন এবং ১৯৯১ সালে ২০ ইঞ্চি র‌্যাংগ্স কালার টিভির উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে ৪০টির বেশি এলইডি টিভি মডেল আমরা উৎপাদন ও সংযোজন করছি।

গত মার্চ মাসেই র‌্যাংগ্স-এর ৩৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়েছে। র‌্যাংগ্স পরিবারের সম্মানিত অভিভাবক, র‌্যাংগ্স ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের প্রয়াত চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে প্রযুক্তিকে সাশ্রয়ীমূল্যে ও সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এই প্রতিষ্ঠানটির শুরু করেন। এই গৌরবময় যাত্রায়, র‌্যাংগ্স শুধুমাত্র নিজস্ব ব্র্যান্ড র‌্যাংগ্সই প্রতিষ্ঠা করেনি, বরং বাংলাদেশে অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে তারা বিভিন্ন বিশ্বমানের ব্র্যান্ডের বাজারও প্রতিষ্ঠা করেছে।

গত চার দশক ধরে র‌্যাংগ্স ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড  সুনাম, সাফল্য ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে বিশ্ববিখ্যাত সনি ব্র্যান্ড-এর এর ইলেকট্রনিক্স পণ্য বাংলাদেশের বাজারে বাজারজাত করে আসছে। দেশব্যাপী ৯৫টি নিজস্ব ও ৪৫০টিরও অধিক ডিলার শোরুম থেকে অফিশিয়াল পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে বাংলাদেশে অফিশিয়াল ‘সনি’ পণ্যের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী র‌্যাংগ্স। এখানেই পাওয়া যাচ্ছে সনির আধুনিক প্রযুক্তির ‘ব্রাভিয়া এক্সআর’ প্রসেসর সমৃদ্ধ ও এলইডি টিভি, ফোরকে গুগল টিভি; সনি আলফা ক্যামেরা, লেন্স ও এক্সেসরিজ; সনি হোম অডিও ও ভিডিও সিস্টেম।  এ ছাড়াও দুই বছর আগে ২০২০ সালের ২৮ মার্চ, কভিড-১৯ এর কারণে দেশব্যাপী লকডাউনের প্রাক্কালে, র‌্যাংগ্স তাদের নিজস্ব এবং প্রথম বাংলাদেশি অনলাইন  shop.rangs.com.bd  চালু করেছিল যা গ্রাহকদের জরুরি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে নিবেদিত। ক্রেতার স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা বজায় রেখে বিনামূল্যে হোম ডেলিভারি, ইনস্টলেশন এবং বিক্রয়োত্তর আফটার সেলস সার্ভিস নিশ্চিত করেছে। দুই বছরের এই যাত্রায়, ৫ লক্ষাধিক গ্রাহকের অনলাইন অর্ডার ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি, ইলেকট্রোলাক্স  হোম প্রোডাক্টস বিগত শত বছরের বেশি সময় ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের পণ্য বাজারজাত করে আসছে। ইলেকট্রোলাক্স ও র‌্যাংগ্সের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ইলেকট্রোলাক্সের ডিস্ট্রিবিউটর ও ট্রেডমার্ক লাইসেন্সি হিসেবে কাজ করছে র‌্যাংগ্স। ট্রেডমার্ক লাইসেন্সি হিসেবে ইলেকট্রোলাক্স কর্তৃক অনুমোদিত ডিজাইন ও টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনের  ‘কেলভিনেটর’ ব্র্যান্ডের এসি, রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেনের মতো পণ্য দেশের অভ্যন্তরীণ ও বিদেশের ফ্যাক্টরি থেকে উৎপাদন করে তা বাংলাদেশের বাজারে বাজারজাত করছে র‌্যাংগ্স। যা পণ্যমান ও সেবার বিচারে ক্রেতাদের কাছে সমাদৃত হয়েছে। একই সঙ্গে পোল্যান্ড ও তুর্কিতে উৎপাদিত ইলেকট্রোলাক্স ব্র্যান্ডের ইনভার্টার ওয়াশিং মেশিন বাজারে নিয়ে এসেছে। আসছে কোরবানি ঈদের মধ্যেই ইলেকট্রোলাক্স লাইন আপে ইনভার্টার ফ্রিজসহ আরও নতুন মডেলের পণ্য যোগ হবে।

দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্যের পাশাপাশি বাজারের বিরাট একটি অংশের ক্রেতার চাহিদা থাকে বিদেশি ব্র্যান্ডের পণ্যের প্রতি। র‌্যাংগ্স ক্রেতার চাহিদাকে মাথায় রেখে একাধিক বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটরশিপ নিয়ে একই ছাদের নিচে কয়েকটি অফিশিয়াল ব্র্যান্ডের পণ্য ও সেবা ক্রেতার জন্য নিশ্চিত করছে। বিগত ৪০ বছরের ব্যবসায়িক যাত্রায় র‌্যাংগ্স শুধুমাত্র অফিশিয়াল পণ্যই নিশ্চিত করেনি, দেশব্যাপী ৬০টিরও অধিক নিজস্ব সার্ভিস সেন্টার ও মোবাইল সার্ভিস ইউনিটের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে বিক্রয়োত্তর সেবা।

১১ই এপ্রিল, ২০২২ এলজি ইলেকট্রনিক্স সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে র‌্যাংগ্স ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটরশিপ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এলজি ইলেকট্রনিক্সের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মি. জেরাল্ড চুন, হোম এন্টারটেইনমেন্টের প্রোডাক্ট ডিরেক্টর, মি. লি চাংহা;  হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের প্রোডাক্ট ডিরেক্টর,  মি. ক্রিস লি, এলজি বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পিটার ইয়ংগিল কোং ও  এলজি ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ ব্রাঞ্চের টিম র‌্যাংগ্স ইলেকট্রনিক্সের বিভিন্ন শোরুম ও সেলস সেন্টার, ডিস্ট্রিবিউশন হাউস, অ্যাসেম্বল ফ্যাক্টরি ও সার্ভিস সেন্টার ঘুরে দেখেন। কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি এলজি বাংলাদেশের বাজারে র‌্যাংগ্সের ব্যবসায়িক অবস্থান, পণ্য ও সেবার নির্ভরযোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে এই ডিস্ট্রিবিউটরশিপের ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছে। বর্তমানে দেশব্যাপী র‌্যাংগ্স ইলেকট্রনিক্সের শোরুম ও অনলাইন স্টোরshop.rangs.com.bd -এ এলজি ব্র্যান্ডের ফোরকে আল্ট্রা এইচডি এলইডি টিভি, ওয়াটার পিউরিকেয়ার ও ইয়ারবাড্স পাওয়া যাচ্ছে। এলজি পণ্যের লাইন আপে শিগগিরই যুক্ত হবে ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন ও এসি। একই সঙ্গে দেশব্যাপী সব সার্ভিস সেন্টার নিশ্চিত করবে এর অফিশিয়াল সার্ভিস।

বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ দ্রুত বর্ধনশীল ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির বাজার গত এক দশকে প্রায় তিনগুণ বেড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। সুবিশাল বাজার তৈরির পাশাপাশি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বাজার গবেষকদের মতে, বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য এর সহযোগী শিল্পের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন উৎপাদন কর এবং শুল্কের সরকারি নীতি থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য দেশীয় এবং বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর দ্বারা তাদের উৎপাদনকে ধীরে ধীরে স্থানীয়করণের মাধ্যমে আরও বিনিয়োগ বাড়াবে। ফলে এই অভ্যন্তরীণ বাজার বাড়ানোর পাশাপাশি রপ্তানির উদ্দেশ্য ও উৎপাদকদের বিনিয়োগ বাড়বে। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন এবং অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্সের বাজার ২০২৫ সালের মধ্যে বার্ষিক ১০ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হবে।

স্বাধীনতার আগে দেশের ইলেকট্রনিক্স অ্যাসেম্বল শিল্প যেখানে রেডিও সেটের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। এখন উচ্চ প্রযুক্তির স্মার্টফোন, ল্যাপটপসহ স্থানীয় ক্রেতার প্রয়োজনীয় প্রায় সব রকমের ইলেকট্রনিক্স পণ্য অ্যাসেম্বল করছে। দেশব্যাপী বিদ্যুতায়ন, ক্রমবর্ধমান আয়, জনসংখ্যা এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং একযোগে সহজ ভোক্তা অর্থায়ন বাজারের বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।

চীন ও এশিয়ার বিভিন্ন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের ক্রমবর্ধমান শ্রম ব্যয়ের কারণে, বড় বড় উৎপাদকরা আরও বেশি সস্তা উৎপাদন গন্তব্যে আউটসোর্স করতে আগ্রহী হচ্ছে। বাংলাদেশ তার শ্রমিকদের সাশ্রয়ী মূল্যের মজুরি কাঠামো, আইটি সেক্টরে ক্রমবর্ধমান দক্ষতা এবং হালকা প্রকৌশল, ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের জন্য ভবিষ্যতের হটস্পট হতে পারে। বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাত কোম্পানিগুলোকে প্রয়োজনীয় দক্ষতাসম্পন্ন এবং কম খরচে শ্রম সম্পদের কারণে বিনিয়োগে প্রচুর রিটার্ন দেয়। স্থানীয় বাজারজাতকরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র উৎপাদন করতে ট্যাক্স হলিডে সহ আরও বিশাল প্রণোদনা প্যাকেজ দিচ্ছে। ফলে ইলেকট্রনিক্স শিল্প দেশে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ দেখাচ্ছে। ছোট পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে এবং অন্যান্য ম্যাক্রো এবং মাইক্রো অর্থনৈতিক কারণের পরিবর্তন এই শিল্পের প্রসারে ভূমিকা রাখছে।

স্থানীয় কোম্পানিগুলো যে আস্থা ও নির্ভরতা নিয়ে উৎপাদনশীলতার পথে আগাচ্ছে, তাতে দেশীয় চাহিদা পূরণ হবে। তবে এই প্রক্রিয়াটি এখনো আন্তর্জাতিক বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ অবস্থায় চলমান। সেই দিন দূরে নয় যখন স্থানীয় উৎপাদক কোম্পানিগুলো পণ্য ও সেবার মান নিশ্চিত করে বৈশ্বিক আস্থা অর্জন করে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের মতো একই জনসংখ্যার ভোক্তা বাজারে প্রতিযোগিতা করবে।

সর্বশেষ খবর