শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা

পার্কের বেঞ্চ থেকে বলিউড বাদশাহ

পার্কের বেঞ্চ থেকে বলিউড বাদশাহ

শাহরুখ খান

আজ এমন এক প্রেমিকের গল্প শোনাব যার প্রেম ‘স্বদেশ’-এর গ-ি ছাড়িয়ে ‘পারদেশ’-

এর মানুষকেও শিখিয়েছে কীভাবে ‘মোহাব্বাতে’ হয়, কীভাবে ‘ডর’কে জয় করে জীবনের পথে ‘চলতে চলতে’ নিজের ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া’কে জয় করতে হয়। যার প্রেম দেখে মনে ‘কুচকুচ হোতা হ্যায়’, যার প্রেম দেখে ভালোবাসার জন্য ‘দেবদাস’ হতে ইচ্ছা করে, প্রিয় মানুষটিকে বলতে ইচ্ছা করে ‘ম্যায় হু না’! বলছিলাম বলিউডের মহানায়ক শাহরুখ খানের কথা। পকেটে টাকা নেই, মাথার ওপরে ছাদ নেই। অভিনেতা হওয়ার আশায় দিল্লি থেকে কয়েকশ মাইল পেরিয়ে স্বপ্ননগরী মুম্বাইয়ে এসেছিল ছেলেটা, কিন্তু চলার মতো কোনো কাজও নেই হাতে। বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা যা নিয়ে এসেছিল, সব তখন শেষ। হতাশ সেই ছেলেটা একদিন মুম্বাইয়ের রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলেছিল, ‘এই শহরটা আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে, আমাকে শেষ করে দিয়েছে একদম! একদিন আমি এই শহরটাকে দেখে নেব, এই শহরের রাজা হব আমি!’ অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি আজকের মজবুত অবস্থানে এসে পৌঁছেছেন। হয়েছেন কিং খান। বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানকে নিয়ে আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন- পান্থ আফজাল

 

রাজমুখ শাহরুখ

দিল্লির তালভার নার্সিং হোমে জন্মের পর কোনো এক নার্স নাকি বলেছিল ‘শিশুটি বড় হয়ে অনেক বিখ্যাত হবে’। আর সেই শিশুটিই আজকের শাহরুখ খান। ১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন আজকের কিং খান।

 

বাড়ির নম্বর এফ-৪৪২

খানের শৈশব কেটেছে দিল্লির রাজিন্দরনগরে। নিজের জীবনীতে সেই বাড়ির নম্বরটিও লিখেছেন তিনি, এফ-৪৪২। শাহরুখ খানের বাবা ভারত ভাগের আগে বর্তমান পাকিস্তানের পেশোয়ারের কিসসা-কাহানি বাজার থেকে দিল্লিতে চলে আসেন। বাবা ছিলেন পাঠান মুসলিম পরিবার বংশোদ্ভূত ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী তাজ মোহাম্মদ খান। মা লতিফ ফাতিমা ছিলেন একজন সরকারি প্রকৌশলী ইফতেখার আহমেদের মেয়ে। খানের মতে, তার দাদা ছিলেন প্রকৃতভাবে একজন আফগানিস্তান নাগরিক। তার মায়ের বাড়ি ছিল পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। শাহরুখের বাবা একসময় পরিবহন ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। আর মা ছিলেন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। শাহরুখ খানের শেহনাজ লালারুখ নামে এক বড় বোন রয়েছেন।

 

মায়ের অনুপ্রেরণাই সঙ্গী শাহরুখের

বলিউড বাদশাহ ভীষণ মা ভক্ত। বাবার মৃত্যুর পর তার মা ব্যবসাকে আবার নতুন করে গড়ে তোলেন। শাহরুখ বলেন, আজকের এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে তার মায়ের অনুপ্রেরণা। মায়ের কাছ থেকেই তিনি শিখেছেন কীভাবে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়। কিং খান বিশ্বাস করেন যে, তার মা তাকে সারাক্ষণ দেখে রাখছেন।

 

ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে শাহরুখ খান

অ্যাসেম্বলি থেকে নাপিতের দোকান

ছোটবেলা থেকেই শাহরুখ ছিলেন খুবই ফ্যাশন সচেতন। বিশেষ করে চুলের যত্ন করার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সাবধান। কিন্তু কলাম্বিয়া স্কুলে গিয়েই যেন সব অন্যরকম হয়ে গেল। সেই স্কুলের ছাত্রদের মেনে চলতে হতো কঠোর নিয়মকানুন। ইউনিফর্মের সঙ্গে চুলের প্রতিও বিশেষ নজর দিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। শাহরুখ তাই বিপদে পড়লেন। বড় চুল রাখার কারণে প্রায়ই তাকে অ্যাসেম্বলি থেকে সোজা নাপিতের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হতো।

 

হিন্দিতে ফেল করতেন শাহরুখ

শাহরুখ বেশ মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তবে পড়ালেখায় তার মন একদমই বসত না। সবসময় হিন্দিতে ফেল করতেন। একবার পরীক্ষার আগে তার মা তাকে বললেন হিন্দিতে ভালো মার্ক পেতে পারলে তাকে সিনেমা দেখতে নিয়ে যাবেন। তখনো পর্যন্ত সিনেমা হলে যাননি শাহরুখ। তাই পরীক্ষার আগে হিন্দি পড়ায় আদা-জল খেয়ে লেগে গেলেন এবং হিন্দিতে খুবই ভালো ফলাফল করলেন। কথামতো তার মা ফাতিমা তাকে নিয়ে গেলেন একটি থিয়েটারে। আর প্রথমবারের মতো হিন্দি চলচ্চিত্র দেখেই প্রেমে পড়ে গেলেন তিনি।

 

হিন্দু রীতিতে গৌরীর সঙ্গে বিয়ে

বলিউডের সফল দম্পতি শাহরুখ-গৌরী। খান চলচ্চিত্র জীবন শুরু করার আগেই বিয়ে করেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর লুকিয়ে প্রেম করে দিল্লির সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে গৌরী শিবারকে ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহরুখ খান। হিন্দু রীতিতেই গৌরীর গলায় মালা পরিয়েছিলেন ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর। তাদের দুই ছেলে আরিয়ান, আবরাম ও মেয়ে সুহানাকে নিয়ে শাহরুখ- গৌরী খানের সুখের সংসার। মজার বিষয় হলো, গৌরীর পায়ের সৌন্দর্য দেখে প্রথম প্রেমে পড়েছিলেন শাহরুখ খান। সে ঘোর এখনো নাকি কাটাতে পারেননি তিনি।

 

রাস্তার বেঞ্চে ঘুমানো সেই শাহরুখ খান

মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেও যে পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে সফলতা অর্জন করা যায়- তা কিং খান দেখিয়েছেন। একটা সময় তার কাছে না ছিল টাকা না ছিল থাকার জায়গা। সেই জেদ নিয়েই তিনি বলেছিলেন, এই মুম্বাই শহরকে তিনি জয় করে নেবেন। তিনি সত্যিই জয় করতে পেরেছেন শুধু মুম্বাই শহরটিকে নয়, দেশ-বিদেশের কোটি মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। তার বিপদে যিনি সত্যিকারের পাশে ছিলেন তিনি হলেন আজিজ মির্জা। তিনিই শাহরুখকে অনেক সিরিয়ালে অভিনয় করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।

 

অভিনয় জীবনে পদার্পণ

১৯৮৮ সালে ‘দিল দরিয়া’ নামক সিরিয়ালে চুক্তিবদ্ধ হলেও  পরবর্তী বছর ‘ফৌজি’ নামক টিভি সিরিয়ালে অভিনয় শুরু করেন। এই নাটকে তিনি ‘অভিমন্যু রায়’ নামের এক আর্মি ক্যাডেট চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেন। পরে তিনি কাজ করেন ‘সার্কাস’ নামের আরেকটি ধারাবাহিকে। সার্কাসের পরই তিনি ‘উমিদ’ নামে আরেকটি ধারাবাহিকে পার্শ্বচরিত্রে কাজ করেন। তিনি দিল্লিতে ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকেও প্রশিক্ষণ নেন।

 

হেমা মালিনীর হাত ধরে বড় পর্দায় অভিষেক

টিভি সিরিয়াল ফৌজিতে অভিনয়ের সময় হেমা মালিনীর চোখে পড়েন শাহরুখ খান। হেমা মালিনী তার ছবি ‘দিল আশনা হ্যায়’তে অভিনয়ের সুযোগ দেন শাহরুখকে। আর এই ছবির মাধ্যমেই বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে কিং খানের। যদিও শাহরুখ অভিনীত ‘দিওয়ানা’ (১৯৯২) ছবিটি আগে মুক্তি পায়। এ ছবিটি ব্যবসাসফল হয় এবং তিনি বলিউডে আসন গাড়তে সক্ষম হন।

 

খলচরিত্রেও সফল শাহরুখ

১৯৯৩ সালে বাজিগর ও ডর ছবিতে খলচরিত্রে অভিনয় করে তারকাখ্যাতি পেয়ে যান শাহরুখ খান। বাজিগর ছবির জন্য তিনি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন। এরপর ১৯৯৪ সালে আবার খলনায়ক হিসেবে বড় পর্দায় অভিষেক এই অভিনেতার। তিনি আনজাম শিরোনামের ছবিতে খলচরিত্রে অভিনয় করেন বলিউডের ধাক ধাক গার্ল খ্যাত অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে। এই ছবিতে অভিনয় করে শাহরুখ ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান।

 

যেভাবে ইতিহাস গড়লেন শাহরুখ খান

১৯৯৫ সাল ছিল শাহরুখ খানের জন্য তো বটেই, পাশাপাশি বলিউডের নতুন ইতিহাস গড়ার একটি বছর। মুক্তি পায় শাহরুখ-কাজল জুটির ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’। এটি বক্স অফিসের আগের সব রেকর্ড ভাঙে, যার সব কৃতিত্ব পান শাহরুখ খান। বিশ্বজুড়ে ১৯ মিলিয়ন ডলার তথা ১২২ কোটি ভারতীয় রুপি আয় করে ছবিটি তখন পর্যন্ত ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি হওয়ার গৌরব লাভ করে। ‘মারাঠা মন্দির’ নামক সিনেমা হলে ছবিটি চলেছিল টানা ১০০০ সপ্তাহ। বলা হয়ে থাকে আদিত্য চোপড়া পরিচালিত এই ছবিটিই আসলে শাহরুখ খানকে ‘রোমান্টিক হিরো’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। ছবিটি মোট দশটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিল, ২০১৫ সালে চলচ্চিত্রটির ২০ বছর পূর্তি পালিত হয়েছে। এই চলচ্চিত্রটিই শাহরুখ খানকে ‘কিং অব রোমান্স’ উপাধিতে পরিচিত করে তোলে।

 

‘বলিউড কিং’ উপাধি

‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’- এর ব্যাপক সাফল্যের পর এই ‘কিং অব রোমান্স’ একে একে উপহার দিতে থাকেন বক্স অফিস কাঁপানো রোমান্টিক ঘরানার সব চলচ্চিত্র। এরপর ‘ডন’ সিরিজের প্রথম মুভি পাওয়ার পর শাহরুখ খান ‘বলিউড কিং’ উপাধি পান। লন্ডনের বিখ্যাত মাদাম তুসোর জাদুঘরে শাহরুখ খানের মূর্তি রয়েছে।

 

বলিউড বাদশাহর দুই বাদশাহী প্রাসাদ

মুম্বাইয়ের বান্দ্রার ব্যান্ডস্ট্যান্ডের প্রায় শেষ প্রান্তে বলিউডের কিং খানের ঠিকানা। বাড়ির নাম মান্নাত। প্রায় দুইশ কোটি রুপির প্রাসাদ মান্নাত। শাহরুখের দ্বিতীয় বাড়ির নাম ভলভো-বি৯ আর ভ্যান। বাড়ির আদলে এটি হলো গাড়ি। চলমান বলেই হয়তো তার কোনো ঠিকানা নেই। ফিল্মি দুনিয়ায় একে বলা হয় ভ্যানিটি ভ্যান। গাড়ি কাম বাড়ির চেহারাটাই একেবারে আলাদা। শাহরুখের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে চলমান বাড়িটিতে। এর মধ্যে রয়েছে চারটি ঘর। একটি বেডরুম। একটি মিটিং রুম। একটি মেকআপ কাম চেঞ্জিং রুম। রয়েছে একটি টয়লেটও। চলমান এই বাড়ি লম্বায় প্রায় ১৪ মিটার। শাহরুখের জন্য বিশেষ এই গাড়ি কাম বাড়ির ডিজাইন করছে বিখ্যাত ডিজাইনার কোম্পানি ডিসি ডিজাইন স্টুডিও।

 

অনন্য এস আর কে

কিং খান একাধারে একজন বিখ্যাত ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং মানবপ্রেমিক। অনানুষ্ঠানিকভাবে শাহরুখকে এস আর কে হিসেবে ডাকা হয়। তিনি বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। সারা বিশ্বে বলিউডের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে শাহরুখ খান অন্যতম। ২০০৮ সালে নিউজউইক তাকে বিশ্বের ৫০ ক্ষমতাশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান দেয়। এছাড়াও ওয়েলথ-এক্স সংস্থার বিচারে বিশ্বের সব থেকে ধনী হলিউড, বলিউড তারকার তালিকায় শাহরুখ খান একসময় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি হলিউড তারকা ব্রাড পিট, টম ক্রুজ, জনি ডেপ-দের পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন। তার অভিনীত হে রাম, দেবদাস এবং পহেলি ভারত থেকে অস্কার এ পাঠানো  হয়েছিল। তিনি ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয়দের কাতারে অমিতাভ বচ্চনের পরবর্তী স্থানের শক্ত দাবিদার।

 

মানবতাবাদী কিং খান

বিপদে পড়ে কেউ খানের কাছে এসে খালি হাতে ফিরে যাওয়ার দৃষ্টান্ত নেই। বাবার নামে অ্যাসিড আক্রান্ত নারীদের সাহায্যের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান খুলছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটির নাম দিয়েছেন নিজের বাবা মীর তাজ মোহাম্মদ খানের নামে, ‘মীর ফাউন্ডেশন’। এর আগে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে প্রতিবন্ধীদের জন্য ৫০টি হুইলচেয়ার উপহার দেন শাহরুখ। নানা সময় এই সামাজিক কাজে পাওয়া যায় বলিউডের নাম্বার ওয়ান খানকে। চেন্নাইয়ে আক্রান্ত বন্যা প্লাবিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় ১ কোটি রুপি অর্থ দিয়ে এই সংকটময় সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শাহরুখ খান।

 

পুরস্কার ও সম্মাননা

শাহরুখ খান চৌদ্দবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। এর মধ্যে আটটিই সেরা অভিনেতার পুরস্কার। হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০২ সালে ভারত সরকার শাহরুখ খানকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে। অভিনেতা হিসেবে বৈশ্বিক অবদানের জন্য শাহরুখ খানকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত করেছে স্কটল্যান্ডের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব ল’ ও দ্য ইউনিভার্সিটি অব বেডফোর্ডশায়ার থেকেও সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন কিং খান। ক্যারিয়ারে মোট ৩৭৬ বার বিভিন্ন দিকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন শাহরুখ। যার মধ্যে ২৭৪ বারই শাহরুখ জিতেছেন কোনো না কোনো পুরস্কার। জাতীয় পর্যায়ে আইফা, রাজীব গান্ধী, বেস্ট ইন্ডিয়ান সিটিজেন ইত্যাদি সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হন। আন্তর্জাতিক পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে মরক্কোর ‘এল’ এতোইলি ডি’অর’ সম্মাননা। ফ্রান্স সরকার তাকে সর্বোচ্চ সিভিলিয়ান পুরস্কার লিজিয়ান অব হনারে ভূষিত করে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেন ফেলোশিপ। একমাত্র ভারতীয় নায়ক হিসেবে হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ‘শুভেচ্ছাদূত’।

 

সপরিবারে শাহরুখ খান

আইপিএল ক্রিকেট দলের মালিকানা

শাহরুখ খান, তার রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্টের মাধ্যমে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম মালিক। তিনি এবং তার বন্ধু ও সহ-অভিনেত্রী জুহি চাওলার স্বামী জয় মেহতা এই দলটিকে কিনে নেন।

 

ইংরেজি কম বোঝেন বলিউড কিং

বলিউড কিং শাহরুখ খান ইংরেজি কম বোঝেন! সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন তথ্য জানিয়েছেন। শাহরুখ বলেন, ‘আমাকে কখনো হলিউড থেকে ছবিতে অভিনয় করার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। হয়তো ইংরেজি কম বুঝি, তাই সেখান থেকে আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।’

 

খ্যাতির পেছনে কে?

শাহরুখ খানের যশ, খ্যাতির পেছনে কে বা কারা রয়েছেন? শাহরুখ  বলেন, তিনি হলেন সালমান খানের বাবা সেলিম খান। যখন আমি প্রথমবার মুম্বাই এসেছিলাম তখন আমি একজন সাধারণ এক অভিনেতা ছিলাম। মুম্বাইয়ে ভালো থাকা-খাওয়ারও স্থান ছিল না আমার। সে সময় সালমানের বাড়িতেই আমি খাবার খেয়েছিলাম। সেলিম খানজি আমাকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিলেন। বলতে গেলে তার সাহায্যেই আজ আমি শাহরুখ হয়েছি।

 

তামিল চলচ্চিত্রে খলনায়ক

সম্প্রতি জানা গেছে, শাহরুখ খান তামিল ভাষার একটি ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন। ছবিটির নাম ‘থালাপতি ৬৩’। এই ছবিতে তাকে হিরো নয়, একজন খলনায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে। নায়কের ভূমিকায় থাকছেন দক্ষিণী অভিনেতা বিজয়।

 

সর্বশেষ খবর