বর্তমানে কক্সবাজারে ‘ব্ল্যাক’ চলচ্চিত্রের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছেন বিদ্যা সিনহা মিম। সেখানে সহশিল্পী হিসেবে

আছেন ওপার বাংলার নায়ক সোহম। অভিনয়ের নানা বিষয় নিয়ে আজ তার ইন্টারভিউ

কথা ছিল, কিন্তু তা পিছিয়ে এখন ২৭ নভেম্বর চূড়ান্ত করা হয়েছে। ওই দিন দুই বাংলায় এক সঙ্গে মুক্তি পাবে ‘ব্ল্যাক’। এই মুহূর্তে আমরা ‘ব্ল্যাক’র একেবারেই শেষ পর্যায়ে কাজ করছি। সোহম এবং আমার কাজই শুধু বাকি। দুই দিন কক্সবাজারে শুটিং করলেই পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে।

এরই মধ্যে ইউটিউবে গান দেখা যাচ্ছে। রেসপন্স কেমন পাচ্ছেন?

খুব ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। সত্যি বলতে কি, এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমি দারুণ আশাবাদী। কারণ এর গল্প, নির্মাণশৈলী, লোকেশন এবং গান সবই হয়েছে এক কথায় অসাধারণ। আমি কৃতজ্ঞ ‘ব্ল্যাক’র পুরো টিমের কাছে।

তাহলে ছোটপর্দাকে গুডবাই জানালেন?

গুডবাই বলব না। তবে এখন আমি বড়পর্দা ছাড়া আর কিছুই ভাবছি না। আজকের বিদ্যা সিনহা মিম কিন্তু ছোটপর্দারই সৃষ্টি। যারা আমাকে ছোটপর্দায় দেখতেন তারা এখন আমাকে বড় পর্দায় দেখতে পারবেন।

যারা ঘরে বসে আপনাকে দেখতেন তারা কি এখন হলে গিয়ে দেখবেন নিয়মিত?

আমি বিশ্বাস করি আমার কাজে। আমি যদি আমার ভক্ত দর্শকের জন্য ভালো কিছু দিতে পারি তাহলে অবশ্যই তারা হলে যাবেন। এর আগে আমার যে চলচ্চিত্রগুলো মুক্তি পেয়েছে তাতে দর্শকের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছি।

আপনার পরবর্তী চলচ্চিত্রগুলো কী?

আসছে ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত ‘সুইটহার্ট’ চলচ্চিত্রটি। এতে আমার বিপরীতে রয়েছেন রিয়াজ ও বাপ্পী সাহা রায়। এর গানগুলোও এরই মধ্যে বেশ আলোচনায় এসেছে। এই চলচ্চিত্রটি নিয়েও আমি দারুণ আশাবাদী। এরপর তানিয়া আহমেদের ‘গুড মর্নিং লন্ডন’ মুক্তি পাবে। আপাতত এই হচ্ছে আমার চলচ্চিত্রের আপডেট।

‘পদ্ম পাতার জল’ চলচ্চিত্র নিয়েও আশাবাদী ছিলেন। আশা পূরণ হয়েছে?

হ্যাঁ। পদ্ম পাতার জল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বেশ সাড়া পেয়েছি আমি। আমি বাইজির চরিত্রে অভিনয় করেছি। তম্ময় তানসেন আমাকে যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে। শেষতক দর্শকের ভালো লেগেছে এটাই আমার অনেক বড় প্রাপ্তি। তাই আমি অনেক বেশি অনুপ্রাণিত।

ছোটপর্দাকে মিস করেন?

ভীষণ মিস করি। এখনো অনেকেই কাজ করার কথা বলেন। কিন্তু যেহেতু এখন আমি চলচ্চিত্রে কাজ করছি তাই আপাতত সেখানে কাজ করার কোনো পরিকল্পনা নেই।