সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : ড. অরূপ রতন চৌধুরী

ছবিটি মাদকমুক্ত পরিবেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে

শোবিজ প্রতিবেদক

ছবিটি মাদকমুক্ত পরিবেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে

ড. অরূপ রতন চৌধুরী। প্রখ্যাত এ চিকিৎসক এবার নির্মাণ করলেন চলচ্চিত্র ‘স্বর্গ থেকে নরক’। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়েই তার এই নির্মাণ। ২৫ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে চলচ্চিত্রটি। এ বিয়ে আজ তার ইন্টারভিউ

আপনি পেশায় একজন চিকিৎসক। চলচ্চিত্র নির্মাণে আসা প্রসঙ্গে বলুন।

প্রথমে বলব চলচ্চিত্রের মাদকদ্রব্য সম্পর্কে সচেতনার বিয়টি হচ্ছে আমার পেশার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। মাদক হলো রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তি জীবনের সবচেয়ে বড় অবক্য়। আর অভিশপ্ত দেশকে মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে না পারলে দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যাবে না। ৩০ বছর ধরে মাদকবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত আছি। নানাভাবে এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিচ্ছি। এবার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে এ আন্দোলনকে বেগবান করতে চাই। তাই ‘স্বর্গ থেকে নরক’ নির্মাণ করলাম।

 

এই কাজে চলচ্চিত্রকে বেছে নিলেন কেন?

চলচ্চিত্র হচ্ছে একটি বৃহৎ ও প্রধান গণমাধ্যম। চলচ্চিত্রের সহায্যে যে কোনো বক্তব্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সব মানুষের দোরগোড়ায় সহজে পৌঁছে দেওয়া যায়। যেহেতু চলচ্চিত্রের প্রতি মানুষের আকর্ণ বেশি তাই আমার মতে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা হলেও ছবিটি দেখে মাদকমুক্ত পরিবেশ গড়তে ভূমিকা রাখবে। এ কারণেই এই আন্দোলনে চলচ্চিত্রকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

 

চলচ্চিত্রটি নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা কেমন পেয়েছেন?

এক কথায় অসাধারণ রাষ্ট্র থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়ের সবাই আমাকে অফুরন্ত সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চলচ্চিত্রটি নির্মাণে সিংহভাগ অনুদান দিয়েছে। সরকার ছবিটি গোয়া ফিল্ম ফ্যাস্টিভেলে পাঠাচ্ছে। এক কথায় সহযোগিতার ক্ষেত্রটি ছিল অবারিত।

 

‘স্বর্গ থেকে নরক’ নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হলেন কীভাবে?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র বিয়ক একটি অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেছেন, চলচ্চিত্রের গল্প হতে হবে সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী বিয় নিয়ে। আমি তার এ বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়েছি এবং প্রধানমন্ত্রীর কথা রাখতে ‘স্বর্গ থেকে নরক’ নির্মাণ করেছি।

 

চলচ্চিত্র নির্মাণ অব্যাহত রাখবেন?

বিয়টি নির্ভর করবে চলচ্চিত্রটির ব্যবসায়িক সফলতার ওপর। আসলে একজন চিকিৎসক হিসেবে চলচ্চিত্র পরিচালনার মতো কঠিন একটি কাজের সময় বের করা খুবই কঠিন। তারপরেও এ ধরনের কাজের মাধ্যমে যদি আমার লক্ষ্যপূরণ মানে মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সমর্থ হই তাহলে যত কষ্টই হউক, সমাজ সচেতনমূলক নানা বিয় নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে এগিয়ে যাব।

 

‘স্বর্গ থেকে নরক’ চলচ্চিত্রটি আসলে কোন ধারার?

এটি পুরোপুরি বাণিজ্যিক ধারার চলচ্চিত্র। বাণিজ্যিক ছবির সব সুস্থ উপাদানের মাধ্যমে সচেতনমূলক একটি বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ছবিটিতে তরুণ সমাজ মাদকাসক্ত কেন হয় এবং এর ভয়াবহ পরিণতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

 

লক্ষ্য পূরণে কতটা সফল হবেন বলে মনে করছেন?

দেখুন মাদকের ভয়াবহ বিস্তার পৃথিবী জুড়ে রয়েছে। এদের হয়তো পুরোপুরি বন্ধ করা যাবে না কিন্তু প্রতিরোধ করা যাবে, মানুকে সচেতন করা যাবে। এই সচেতনতা সৃষ্টিতে ‘স্বর্গ থেকে নরক’ নিঃসন্দেহে ভূমিকা রাখবে এবং এতে আমার লক্ষ্য পূরণ হবে বলে বিশ্বাস করি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর