সোমবার, ২০ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঈদে যেমন অনুষ্ঠান চাই

বছর ঘুরে আবার আসছে ঈদুল ফিতর। আর ঈদ মানেই টিভি চ্যানেলগুলোর রকমারি আয়োজন। বিভিন্ন স্বাদের অনুষ্ঠানের পসরা সাজানোর শেষ মুহূর্তের পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত এখন প্রতিটি চ্যানেলের অনুষ্ঠান বিভাগ। এ বিষয়ে কথা হয় এনটিভি, এটিএন বাংলা, চ্যানেল আই এবং বাংলাভিশনের অনুষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে। তাদের ভাবনা তুলে ধরেছেন— আলাউদ্দীন মাজিদ এবং আলী আফতাব

 

মোস্তফা কামাল সৈয়দ

এনটিভির বিশেষ আয়োজন মানেই বৈচিত্র্যের সমাহার। এবারও ঈদে সাত দিনের আয়োজন থাকছে। অনুষ্ঠানের মূল ফোকাস হচ্ছে সুস্থ বিনোদন। আয়োজনের মধ্যে যথারীতি নাটক, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠান, বাংলা ছবিসহ আনন্দঘন সবকিছুই থাকছে। অনুষ্ঠানগুলোর প্রেজেন্টেশনে অবশ্যই ভিন্নতা থাকবে। এবার ৪টি ধারাবাহিক নাটক, ১৪টি এক ঘণ্টার নাটক, ৭টি টেলিফিল্ম, ৭টি বাংলা ছবি, ১৪টি নিজস্ব অনুষ্ঠানসহ আরও অনেক কিছু থাকছে। বলতে পারি ট্রিটমেন্ট ও প্রেজেন্টেশনে উন্নত নানা স্বাদের সব অনুষ্ঠান নিয়ে দর্শকদের আনন্দ দিতে সমৃদ্ধ হয়ে ঈদে হাজির হচ্ছে এনটিভি। আমাদের ইনহাউস অনুষ্ঠানেও বৈচিত্র্য থাকছে। বরাবরের মতো এবারের ঈদেও রুচিশীল ও মূল ফোকাসের বিনোদন দিয়ে দর্শক মন জয়ের চেষ্টা চলছে।

এনটিভির নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত ডিরেক্টর, সংগীত ও অভিনয়শিল্পীর সমন্বয়ে তাদের অংশগ্রহণে থাকছে বৈচিত্রপূর্ণ অনুষ্ঠানের সমাহার।

 

নওয়াজিশ আলী খান

ঈদের অনুষ্ঠান মানেই নতুন আয়োজন। তবে বৈচিত্র্যের কথা যদি বলতে হয় তাহলে বলব, না, তেমন কিছু নেই। কারণ পৃথিবীজুড়ে একেবারেই নতুন কিছু আছে বলে মনে হয় না। আমাদের বাজারে যা পাওয়া যায় তা দিয়েই তো অনুষ্ঠান করতে হয়। তবে প্রফেশনালি চেষ্টা থাকে ভালো কিছু করার। এবারও সেটা থাকবে। বিস্তারিত পরিকল্পনাও হয়েছে। সবাই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি দর্শকের ঈদের আনন্দে ভিন্নমাত্রা যোগ করার। বেশ কিছু নাটক, সিনেমা, সংগীতানুষ্ঠান, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য আয়োজন তো থাকছেই। ভিন্নতার কথা যদি বলি তাহলে বলব আগে একটি সিনেমা দেখাতাম, এবার দুটি দেখানো হবে। আর ৬ পর্বের দুটি ধারাবাহিক নাটক থাকছে। আরও আছে হানিফ সংকেতের নাটক। এই তো। আসলে বাজারে যা পাওয়া যায় তাই দিয়েই তো অনুষ্ঠান চালাতে হয়। এগুলোর মধ্য দিয়েই বৈচিত্র্য আর ভিন্নতা খোঁজার চেষ্টা করছি আমরা।

 

ইবনে হাসান খান

আমি যদি এই বিষয়টিকে একটু অন্যভাবে বলার চেষ্টা করি তবে বলতে হবে— আমরা সব সময় বাসায় কী কী রান্না করি? মাছ, ডাল, মাংস, সবজি। যা খেয়ে আমাদের দিন পার হয়। কিন্তু ঈদে আমাদের ঘরে মা-খালারা কী করে? নানা প্রকারের মাংস, মাছ, মিষ্টি ইত্যাদি দিয়ে টেবিল সাজানোর চেষ্টা করে। মানে উৎসব উপলক্ষে বাড়তি আয়োজন থাকে। অনেকটা এভাবে আমরাও চেষ্টা করছি নানা ধরনের অনুষ্ঠান দিয়ে চ্যানেল আইয়ের ঈদ অনুষ্ঠানমালা সাজাতে। আমরা চেষ্টা করছি দর্শকদের ভালো লাগাটাকে মূল্যায়ন করতে। আমাদের নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা ওই সব অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের দেখানোর চেষ্টা করছি, যাদের দর্শক পছন্দ করে। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভালো অনুষ্ঠান নির্মাণের চেষ্টা করে যাচ্ছি এখনো। যেভাবে পরিকল্পনা করেছি সবকিছু ঠিকঠাক মতো হলে দর্শক নিরাশ হবে না বলেই আমার বিশ্বাস।

 

শামীম শাহেদ

খুব একটা বেশি বৈচিত্র্য যে থাকে আমাদের ঈদ অনুষ্ঠানে তা কিন্তু নয়। আমরা প্রায় প্রতিটি টিভি চ্যানেল একই ধরনের অনুষ্ঠান দিয়ে আমাদের অনুষ্ঠানমালা সাজিয়ে থাকি। আসলে প্র্যাকটিসটাই এমন হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবারই ভিন্ন কিছু দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের এখানে তারুণ্যোদ্দীপ্ত সৃষ্টিশীল অনেকে কাজ করে। তাদের দিয়ে ভালো কিছু অনুষ্ঠান করেছি। আর বাইরের নির্মাতাদের থেকেও ভালো নাটক-টেলিফিল্ম নিচ্ছি আমরা। এবার ঈদের সাত দিনে ১২টি নাটক, ছয়টি টেলিফিল্ম, ছয়টি ফিল্ম ও নানা প্রকার বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান রাখা হয়েছে। ধারাবাহিকও আছে। আমরা আমাদের অনুষ্ঠানগুলোতে সেসব মানুষকে রাখার চেষ্টা করেছি, যাদের দর্শক পছন্দ করে। আর আমাকে যদি বলা হয়, আমি ঈদে কেমন অনুষ্ঠান দেখতে চাই— তবে আমি বলব, আমি সব সময় একটু রম্য, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান পছন্দ করি। দর্শকও তাই চায়। আমরাও সেভাবে অনুষ্ঠান করছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর