রবিবার, ৫ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট

‘পিঁপড়াবিদ্যা থেকে ভয়ংকর বিদ্যায় নামলাম’

নূর ইমরান মিঠু

পান্থ আফজাল

‘পিঁপড়াবিদ্যা থেকে ভয়ংকর বিদ্যায় নামলাম’

অভিনেতা নূর ইমরান মিঠু। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘পিঁপড়াবিদ্যা’র মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক তার। সম্প্রতি ‘কমলা রকেট’ নামে চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন। নতুন এই নির্মাতার সমসাময়িক কাজ এবং ব্যস্ততা নিয়ে আজকের আয়োজন—

 

পিঁপড়াবিদ্যার পর অভিনয়ে দেখা যাচ্ছে না...

হুমম... সেটা বলতে পারেন। ফারুকী ভাইয়ের পিঁপড়াবিদ্যা করার পর ৩-৪টি নাটক করেছিলাম। এরপর ‘টেলিভিশন’ ছবিতে আমি অ্যাসিস্ট করি। প্রায় দেড় বছর কাজ করি। তবে আমার প্যাশন ছিল পরিচালনার। তাই ট্র্যাক পাল্টানোর চেষ্টা করছিলাম। এরপর তো চলচ্চিত্রের পেছনের মানুষ হয়ে গেলাম।

 

ছবি নির্মাণের অভিজ্ঞতার কথা বলুন।

মনে হচ্ছে পিঁপড়াবিদ্যা থেকে এবার ভয়ংকর বিদ্যায় নামলাম। ইমপ্রেস টেলিফিল্ম আমাকে চলচ্চিত্র পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক শাহাদুজ্জামান স্যার গল্পটি লিখেছেন। আমি প্রায় দুই বছর ধরে স্যারের সঙ্গে সমন্বয় করে তার মৌলিক এবং সাইপ্রাস নামক দুটি গল্প একত্রিত করে পাণ্ডুলিপি করি। চলচ্চিত্রের নাম ‘কমলা রকেট’। শুটিং চলছে। প্রথম লটের কাজ শেষ। দ্বিতীয় লটের কাজ শুরু করেছি। ছবিতে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, তৌকীর আহমেদ, জয়রাজ, সামিয়া সাঈদ, সেওতি, ডমিনিখ, সুজাত শিমুল ছাড়াও আরও অনেকে।

 

পরিচালনার প্রস্তুতি কেমন ছিল?

বললে বিশ্বাস করবেন না, আমি যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়তাম তখন থেকেই চলচ্চিত্র বানানোর স্বপ্ন দেখতাম। আমি প্রচুর বই পড়ি, নিয়মিত ফিল্ম দেখি, বাংলাদেশের প্রায় ৫০০ থানা ঘুরেছি। মানুষের জীবন-সংস্কৃতি-পরিবেশ জানতে চেয়েছি। কারণ, একটি ছবি বানাতে হলে যেমন নোংরামি দেখা দরকার, ভালো কিছু দেখা দরকার, প্রকৃতি, জীবনের গভীরে দেখা দরকার, দেখা-অদেখা জীবনকে দেখা দরকার। আমি সব মিলিয়ে আস্তে আস্তে নিজেকে প্রস্তুত করেছি।

 

আপনার চলচ্চিত্রটির বিশেষত্ব কি...

এটি চিত্রায়ণ হয়েছে ১০০ বছরের পুরনো জাহাজের মধ্যে। জাহাজটি একটি সমগ্র বাংলাদেশ। প্রায় ৭০-৮০ জন বিভিন্ন বয়সী অভিনেতা-অভিনেত্রী কাজ করেছেন। এ জাহাজটি সদরঘাটের ঐতিহ্যবাহী তিনটি প্যাডেলচালিত জাহাজের মধ্যে একটি। আমি এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে জীবনকে ধরাতে চেয়েছি। আমাদের মধ্যে শ্রেণিবিন্যাস, কাম, ক্ষুধা, বিলাসিতার রকম আলাদা আলাদা থাকলেও মৌলিক চাহিদার প্রশ্নে সবাই এক। সবাই মুখোশের আড়ালে থাকে। দিনশেষে সবাইকে একই  কাতারে আসতে হয়।  এই ছবির মাধ্যমে সেগুলোই তুলে ধরা হয়েছে।

 

কমলা রকেটের সংগীত...

এই চলচ্চিত্রের সংগীত ভারত থেকে করাতে চাই। গান করাতে চাই অর্ণব, অনুপম রায়কে দিয়ে।

 

নিজেকে কতদূর নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে...

ইচ্ছে আছে ১০০ গল্পের ছবি বানাব। একেক গল্প একেক রকম হবে।

সর্বশেষ খবর