বুধবার, ৮ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা
ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট

আমি অন্য ১০টা সাদামাটা মানুষের মতো

মিশা সওদাগর

পান্থ আফজাল

আমি অন্য ১০টা সাদামাটা মানুষের মতো

ঢাকাই চলচ্চিত্রে খলচরিত্রে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সিংহভাগ ছবিতেই থাকে তার সপ্রতিভ উপস্থিতি। মিশা সওদাগরের ব্যস্ততা ও কাজ নিয়ে আজকের  সাক্ষাৎকার—

 

সাম্প্রতিক ব্যস্ততা কেমন?

ব্যস্ততা এখন দুটি বিষয়ে। একটা হলো নির্বাচন অন্যটা অভিনয়। নির্বাচনের প্রস্তুতির কারণে অল্প অল্প কাজ করছি। তবে, চলতি মাস থেকে টানা কাজ করব।

 

খলচরিত্রে অপ্রতিদ্ব্বন্দ্বী, আবার ইতিবাচক চরিত্রে কেন?

দেখুন আমি কিন্তু ১৯৮৬ এ নায়ক হয়ে দুটি ছবি করেছিলাম। একটি আমার ওস্তাদ ছটকু আহমেদের ‘চেতনা’ এবং অন্যটি আলমগীর কুমকুমের ‘অমর সঙ্গী’। তখন তো যুবক ছিলাম। হুমায়ুন ফরীদিকে যখন দেখলাম সব চরিত্রে নিজের নৈপুণ্য স্বাচ্ছন্দ্য রূপে তুলে ধরছেন, তখন খুবই অবাক হতাম। যেহেতু আমি অভিনেতা, তাই আমার উচিত নয় একটা চরিত্রের ব্যারোমিটারে নিজেকে আবদ্ধ রাখা।  আমি কমেডিতেও কাজ করেছি এবং জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছি। আমি কিন্তু বাংলাদেশের ৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়া একজন অভিনেতা। আমি বরাবরই একজন শিল্পী হতে চাই। শিল্পী যারা হতে চায়, তারা যেমন ডিফেন্সে খেলতে পারে আবার অফেন্সেও খেলতে পারে।

 

যৌথফিল্ম কতটুকু যৌথভাবে হচ্ছে?

যৌথ ফিল্ম প্রযোজনায় আমরা কিন্তু মূল্যায়ন পাচ্ছি কম। ইন্ডিয়ান ১০০ রুপি মানে আমাদের ৮০ টাকার সমান। সেহেতু ফিফটি ফিফটি করতে হলে আমাদের ১২০ টাকা দিতে হবে। আমি কিন্তু ৬০% এর পক্ষে, ৫০% আমি মানি না। নায়ক, নায়িকা ও মেইন ভিলেন—এই তিনটির মধ্যে ২টি আমাদের এখান থেকে নিতে হবে। আমি চাচ্ছি ৬০% আমাদের দেশের হোক। আমাদের পাল্লাটা ভারী হলেই আমি তার পক্ষে।

 

নির্বাচন নিয়ে সরব কেমন?

শিল্পী সমতির নির্বাচন হচ্ছে মালা বদলের পালা। মালার প্রত্যেকটা সদস্য হচ্ছে এক একটা ফুল। সদস্যরা যাকে নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেবেন, তাকে মালাটি পরিয়ে দেবেন। অনেকে বিষয়টা নিয়ে ইদানীং বেশি জল ঘোলা করছেন। মনে রাখতে হবে, এটা একটা সেবামূলক, অরাজনৈতিক সংস্থা।

 

আপনার বিকল্প ভিলেন কে?

আসলে সেভাবে কেউ তেমন করে চেষ্টা করেনি। যেমন অন্য কেউ শাকিবের মতো চেষ্টা করেও পারেনি। যোগ্যতা অনুযায়ী সবার অবস্থান নিশ্চিত হয়।

 

আপনি আসলে কেমন?

মানুষ যতটা ভালোভাবে আমি ততটা ভালো নয়। তবে, আমি অন্য ১০টা সাদামাটা মানুষের মতো।

 

আপনি তো আবার কবিতাও লেখেন...

না না তেমন কিছুই নয়। তবে কবিতা পছন্দ করি। গল্প পছন্দ করতাম, এখনো করি।

 

এই নিয়ে আগামী কোনো পরিকল্পনা আছে?

তেমন কোনো কিছুই নেই। তবে, মাঝে মাঝে প্লেনে বা কোথাও বেড়াতে গেলে কিছু উপলব্ধি থাকলে সেগুলো লিখি। যাকে সবাই হয়তো বলে চারণ কবি। এই আর কি।

 

পরিচালনায় আসার ইচ্ছে...

প্রত্যেক সচেতন শিল্পীর মধ্যে এক একটি পরিচালক বাস করে। সুপ্ত বাসনা থেকে জীবনে একবার হলেও পরিচালনা করার ইচ্ছে রয়েছে। সেটা ডকুমেন্টারিও হোক, কিংবা টেলিফিল্ম হোক- একটি হলেও বানাতে চাই। তবে, ফিল্ম বানানো অনেক কঠিন। 

সর্বশেষ খবর