শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০০ টা
ঘড়ি ধরে ৫ মিনিট

ভাবছি গান করব না ছেড়ে দেব...

হায়দার হোসেন

আলী আফতাব

ভাবছি গান করব না ছেড়ে দেব...

দেশ ও মানুষের গান যারা গায় তাদের মধ্যে হায়দার হোসেন অন্যতম। অনেক দিন ধরেই নতুন কিছু গান করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এই গুণী শিল্পী। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে আজ তার সাক্ষাৎকার—

 

উৎসবের দুটি গান করার কথা ছিল। গান দুটির কী খবর?

আমি তো সব সময় গান করি না। আমার যদি মনে হয়, এখন দেশকে নিয়ে একটি গান করা দরকার, তখন আমি গান করি। আমি দেশের জন্য গান করি, দেশের মানুষের জন্য গান করি। সম্প্রতি আমাদের দেশের বিয়ে নিয়ে দুটি গান লিখেছি। কিন্তু সময়ের কারণে তা করা হয়ে উঠছে না।

 

তাহলে বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

মাঝে মাঝে ভাবি গানটা করব না ছেড়ে দেব। আমাদের মতো মানুষ তো আর গান গেয়ে সংসার চালায় না। সংসার চালানোর জন্য আমাদের অন্য কিছু করতে হয়। সব কাজ শেষ করে গান নিয়ে আর বসতে ইচ্ছে হয় না। এই যে বিয়ে নিয়ে দুটি গান করার কথা ভাবছি। এখন তো শুধু গান করে রেখে দিলে হবে না। তার পাশাপাশি মিউজিক ভিডিও করতে হবে। কিন্তু এই গানের জন্য এত টাকা আমি কোথায় পাব। এ সময়ে এসে, গান নিয়ে তো আর ফেরি করতে পারব না।   

 

অনলাইনে গান প্রকাশের বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

অনলাইনে গান প্রকাশের ভালো দিক হচ্ছে, মানুষ অন্তত গানগুলো শুনতে পায়। আর অন্যদিকে আমি মনে করি, প্রতিটি শিল্পীর নিজের জন্য হলেও একটি সিডি থাকা দরকার। তা না হলে নিজের গান হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

 

কাওয়ালি গানের কী খবর?

কাওয়ালি গানের সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সাধনা। আমার পাকিস্তানে কাওয়ালি গান পরিবেশন করতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি যাইনি। আমি কাদের নিয়ে গান করব। আমার সহশিল্পীদের আমি অনেক বার বলেছি গান চর্চা করতে। কিন্তু কেউ শুনেনি। তাই আর নতুন কোনো কাওয়ালি গান করছি না। এ ছাড়া কাওয়ালি গানের জন্য যে ধরনের স্টুডিও দরকার এখন আর তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। যেমন আমি ছোটবেলা থেকেই কাওয়ালি গানের সঙ্গে পরিচিত। পুরান ঢাকার সন্তান, তাই এ সংস্কৃতিতে আমার বেড়ে ওঠা। নিয়মিত কাওয়ালি গানের আসর বসত আমাদের বাসায়। এখন ঢাকায়ও তেমন কাওয়ালি গান হয় না।

 

বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে অনেক নতুন শিল্পী আমাদের গানের ভুবনে আসছে কিন্তু তারা টিকে থাকতে পারছে না কেন?

আমার কাছে মনে হয়, যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে এই গানের ভুবনে আসছে তাদের মধ্যে অনেকেরই রাতারাতি স্টার হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কাজ করে। ফলে তাদের মধ্যে গানের চর্চার পরিমাণ কমে যায় এবং কিছু দিনের মধ্যে তারা হারিয়ে যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর