শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নওশাবার পুতুলের গল্প

পান্থ আফজাল

নওশাবার পুতুলের গল্প

ঈদের আগে একবুক ভালোবাসা আর হরেক রকম পুতুল বানিয়ে ঢাকায় এলো পুতুল গড়ার কারিগর নওশাবার জোনাকীর দল। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ছিন্নমূল পথশিশুদের মাঝে ঈদের উপহার হিসেবে প্রথমবারের মতো তাদের নিজের হাতে গড়া কিছু পুতুল বিলি করল। তারপর অন্যান্য ত্রাণের পাশাপাশি পুতুল বিলি করা হলো গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের গৃহহীন আদিবাসী সাঁওতাল শিশু ও দিনাজপুরের বন্যায় সর্বস্ব হারানো শিশুদের মধ্যে। এভাবেই চলছে বন্ধু পুতুলদের তাদের বন্ধুদের কাছে যাওয়ার যাত্রা। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে একদিন এই বন্ধু পুতুলরা পাড়ি জমাবে তাদের ভিনদেশি বন্ধুদের খোঁজে...সেই স্বপ্নকে বুকে নিয়ে অসীম ভালোবাসা দিয়ে অভিনেত্রী নওশাবা ও তার জোনাকীর দল চালিয়ে যাচ্ছে তাদের পুতুল তৈরির স্বপ্নযাত্রা। এই মহতী উদ্যোগ নিয়ে নওশাবা বলেন, ‘একটা যুদ্ধে, একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় একটি শিশু। মায়ের কোল পিতার আশ্রয় হারিয়ে আপন ভিটা চোখের সামনে হয়ে যাওয়া রক্তাক্ত প্রান্তর তলিয়ে যায় তাদের আপন রাজ্য। আমার উপলব্ধি হয়েছিল কয়েকমাস

আগে যে, প্রাকৃতিক ও যুদ্ধে বিধ্বস্ত শিশুদের একটি বন্ধু পুতুল দিয়ে তাদের সমুদ্র পরিমাণ কষ্টের এক বিন্দু পরিমাণ লাঘব করা যায় কিনা। ঠিক করি, আমার যে পুতুলটি শিশুদের দেব তা বাজার থেকে নয়, নিজেরাই বানাব এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুতুল বানানো শেখাব। আমার জীবনে কিন্তু বন্ধু পুতুল ছিল, এখনো আছে। বয়সের ব্যবধানে ছোট হওয়ার কারণে আমার ছোটবেলার বন্ধু হিসেবে পেয়েছিলাম একটা নীল পুতুলকে; যার নাম ছিল মিমবাবা যার সঙ্গে আমি কাটিয়েছি আমার পুরোটা শৈশব। একটা বয়সের পর পুতুলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু আমি আরেকটি পুতুলকে আমার বন্ধু হিসেবে পেয়েছি আমার তারণ্যে। কাকতালীয়ভাবে এই পুতুলটিও নীল রঙের যার নাম ইকরি মিকরি। সিসিমপুরের একটি তিন বছরের বাচ্চা ভূত। সৃষ্টিকর্তা যেন নিজ হাতে আমার জন্য প্রেরণ করেছিলেন ইকরি পাপেটটি পরিচালনা করার সুযোগ। ইকরি আমার জীবনে অক্সিজেনের মতো আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিল। একটি নীল রোমশ পুতুলের উপস্থিতি আমাকে কী পরিমাণ প্রেরণা জোগাত তার ফল আমার আজকের আমি।’

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর