বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা
সাক্ষাৎকার

নতুন করে ভালোবাসা পেতে চাই

নতুন করে ভালোবাসা পেতে চাই

ঢালিউডের মিষ্টি মেয়ে অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের জন্মদিন আজ। সংসারে নতুন অতিথির আগমনের কারণে প্রায় ২০ মাস অভিনয় থেকে দূরে থাকার পর আবার রুপালি জগতে ফিরলেন এই মিষ্টি মেয়ে। শনিবার থেকে এফডিসিতে অংশ নিলেন ‘পাঙ্কু জামাই’ ছবির শুটিংয়ে। জন্মদিন, নতুন করে কাজ শুরু করাসহ নানা বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন— আলাউদ্দীন মাজিদ

 

আজ আপনার জন্মদিন, নতুন দিনের প্রত্যাশা কী?

আজ আমার বিশেষ এইদিনে বিধাতার কাছে প্রার্থনা তিনি যেন সবাইকে সুখে-শান্তিতে রাখেন। আর আমার দর্শক-ভক্তদের বলব, আমার জন্য প্রাণভরে দোয়া করবেন। যেন আমার সব দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়, ভালো থাকতে পারি। নতুন দিনে নবরূপে পূর্ণোদ্যমে সৃষ্টিশীল পথে হেঁটে যেতে পারি এই প্রত্যাশা নিয়ে আগামী দিনের পথে এগুতে চাই। নতুন করে সবার ভালোবাসা পেতে চাই।

 

নতুন করে কাজে ফেরার অনুভূতি কেমন?

অনেক আনন্দের, খুশি আর ভালো লাগার অনুভূতি বলতে পারেন। কারণ চলচ্চিত্রকে ঘিরেই আমার স্বপ্ন আর জীবন। একটি অপরিচিত মেয়েকে চলচ্চিত্র নাম, যশ, খ্যাতি এনে দিয়েছে।

এই জগৎ থেকে দূরে থাকা যায় না। বুকের মধ্যিখানে কেমন যেন একটা ব্যথা লতিয়ে ওঠে। তাই আবার নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা। মানে চিরন্তন ভালোবাসায় ডুব দেওয়া...হাঁ...হাঁ...হাঁ...।

 

কতদিন রুপালি পর্দায় রাজত্ব করবেন?

আসলে এই রাজ্যের অধিপতি হলেন দর্শক, তারা যতদিন অপুকে ভালোবেসে তাদের হৃদয়ের গহিনে ঠাঁই দেবেন অপু ততদিন তাদের মাঝে বেঁচে থাকবে। প্রিয় দর্শকদের নিত্যনতুন উপহার দিয়ে তাদের মন রাঙিয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকবে এই অপুর।

 

জন্মদিনটা কীভাবে কাটাবেন?

তেমন স্পেশাল কিছু নয়, জীবনটা যেদিন সত্যি স্পেশাল হবে সেদিন শুধু জন্মদিন নয়, আমার প্রতিটা দিন হবে স্পেশাল।

জন্মদিনের সকালবেলাটা অন্য দিনগুলোর মতো প্রাত্যহিক কাজ নিয়ে কাটাব, বিকালে বাবুকে নিয়ে বেরুব, ঘুরব, বেড়াব, এই আর কী...। [দীর্ঘ নিঃশ্বাস...]

 

আপনার কথায় মনে হলো কোথাও একটা দুঃখের বার্তা আহাজারি করছে, ঠিক কী তাই?

থাক, দুঃখটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত, এটি কারও সঙ্গে শেয়ার করতে চাই না। [আবারও দীর্ঘ নিঃশ্বাস...]

 

শাকিব খান আর জয়ের সান্নিধ্যে সময়গুলো নিশ্চয়ই মধুময় হয়ে উঠছে, তাই না?

ওই যে বললাম জীবনটা যখন স্পেশাল হয়ে উঠবে তখনই স্বপ্নগুলো মধুময় মনে হবে। এখন কাজের ভিড়ে মনটাকে ব্যস্ত রাখতে চাই। দুঃখবোধ যখন একটা মানুষকে কুরে কুরে খায় মানুষটি তখন কোনোভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে কোনো অবলম্বন চায়। আমি এখন কাজকে অবলম্বন করে কষ্ট থেকে বাঁচতে চাই। দুঃখকে বেশি প্রশ্রয় দিলে বেঁচে থাকাটাই দায় হয়ে পড়বে। আমি আরও কিছুুদিন অন্তত জয়ের জন্য হলেও বাঁচতে চাই... [অঝোরে কান্না]।

 

এই দুঃখবোধ কিসের?

[কাঁদতে কাঁদতে] বললামতো, আমার যত দুঃখ সবই আমার একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কেউ দায়ী নয়। ভুল যদি কিছু হয়ে থাকে সবই আমি করেছি। আবেগকে প্রশ্রয় দিলে মানুষকে ভুলের মাশুল গুনতে হয়। আমি তাই গুনছি। আমাকে অনেকেই বুঝতে পারে না। বিশেষ করে কাছের মানুষরা বড় বেশি দুঃখ দেয়। এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কোনো মানে হয় না। আমার জন্মদিনে বিধাতার কাছে একটিই শুধু প্রার্থনা, আমাকে তুলে নিন [আবারও অঝোরে কান্না]।

 

জন্মদিনে শাকিবের কাছ থেকে কেমন উপহার প্রত্যাশা করছেন?

ওর কাছে আমার একটিই চাওয়া, আমাদের সন্তান আবরাম জয়কে সে যেন ভালোভাবে দেখে রাখে, মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলে.....[কান্নার শব্দ, কিছু পরে নিজেকে সামলে নিয়ে অপু বলেন, আজ আর কিছু বলতে পারব না, দয়া করে আমাকে ক্ষমা করবেন।]

 

সর্বশেষ খবর