শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

চলচ্চিত্রকে গুডবাই আনিসের...

শোবিজ প্রতিবেদক

চলচ্চিত্রকে গুডবাই আনিসের...

প্রখ্যাত কৌতুক অভিনেতা আনিস চলচ্চিত্রে আর অভিনয় করবেন না। চার বছর আগে তার প্রিয়তমা পত্নী হঠাৎ হার্টঅ্যাটাকে মারা গেলে তিনি চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরতে থাকেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘আমি আর চলচ্চিত্রে অভিনয় করব না। নামাজ-রোজা নিয়েই বাকি জীবন কাটাতে চাই।’ ১৯৬৫ সালে খালাতো বোন কুলসুম আরা বেগমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন তিনি। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে এতটুকু ছেদ পড়েনি তাদের ভালোবাসায়। দুই মেয়ে নিয়ে ছিল তাদের সুখের সংসার। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আনিস বলেন, ‘ওর অনুপ্রেরণাতেই অভিনেতা আনিস, সফল স্বামী ও বাবা হতে পেরেছি।’ যে আমাকে পথ দেখিয়ে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে সে-ই যখন রইল না, তখন আর অভিনয় করে কী হবে। টিকাটুলীর অভয় দাশ লেনের বাসায় দিন কাটাছে হাসির রাজার। বড় মেয়ে ফারহা দীবা থাকেন আমেরিকায়। ছোট মেয়ে ফাতেমা রহমান রিমি থাকেন কুমিল্লায়। আনিসের জন্ম ১৯৪২ সালে জলপাইগুড়িতে। ১৯৬০ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ ছবিতে তার প্রথম অভিনয়। ১৯৬৩ সালে প্রথম মুক্তি পায় আনিস অভিনীত জিল্লুর রহমান পরিচালিত ‘এইতো জীবন’। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ভ্রাতৃদ্বয় এহতেশাম ও মুস্তাফিজের লিও দোসানী ফিল্মসে সহকারী সম্পাদক ও পরিচালক ছিলেন তিনি। এ দুই নির্মাতার মাধ্যমেই এক সময় অভিনয়ে নিয়মিত হন আনিস। চার শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া টিভি ও মঞ্চেও কাজ করেন। আনিস জানান, তিনি এখন শুধু রেডিওতে নানা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অন্য সময় হাঁটাহাঁটি আর সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকেন। অসহায় শিল্পীদের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় ত্রাণকর্তার মতো দাঁড়ানোয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিনেতা আনিস বলেন, ‘অতীতে কোনো সরকারপ্রধান এভাবে সাধারণ শিল্পীদের পাশে এগিয়ে আসতে দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মহানুভবতার কথা শিল্পীসমাজ চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’ তিনি বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা আমাকে সব কিছু দিয়েছেন আমার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী বা অন্য কারও কাছে সহযোগিতা চাই না। শুধু চলচ্চিত্র শিল্প ও শিল্পীদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ—অভিভাবক হয়ে আপনি অনন্তকাল তাদের মাথায় ছায়া দিয়ে যাবেন।’ 

 

 

সর্বশেষ খবর