বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ : জ্যোতিকা জ্যোতি

চিত্রনাট্য সমৃদ্ধ হলে ছবি ভালো হয়

চিত্রনাট্য সমৃদ্ধ হলে ছবি ভালো হয়

জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন বড় পর্দার কাজ নিয়ে। সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন সরকারি অনুদানের ছবি ‘মায়া’। এর আগে জ্যোতি কাজ শেষ করেছেন কলকাতার ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ছবির। সম্প্রতি তিনি শেষ করেছেন ‘বকুল’ শিরোনামের একটি ডকু ফিল্ম। সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন— আলী আফতাব

 

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

সম্প্রতি নতুন একটি ভিন্নধর্মী কাজ শেষ করলাম। এটি একটি ‘ডকু ফিল্ম’। নাম ‘বকুল’। পরিচালনা করছেন আরিফুর রহমান। এটি একটি সচেতনাতামূলক ডকু ফিকশন। এখানে স্বাস্থ্যকর্মীর ভূমিকায় অভিনয় করছি আমি। গোপি ভাগা গায়েন প্রোডাকশনের এ নাটকটি পরিচালনা করছেন আরিফুর রহমান। সত্যি বলতে এরকম চরিত্রে আগে কাজ করিনি। তাই দারুণ অভিজ্ঞতা হলো। কারণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্বাস্থ্যকর্মীর অনেক দায়িত্ব। সেগুলো বুঝতে হয়েছে। পর্দায় উঠিয়ে আনতে হয়েছে। সব মিলিয়ে কাজটি করতে ভালো লেগেছে। আশা করছি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।

 

‘মায়া-দ্য লস্ট মাদার’ ছবিটি নিয়ে জানতে চাই

এই ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা দারুণ। একজন শিল্পী হিসেবে সব সময় অভিনয়ে শতভাগ দিতে চাই। কিন্তু চাইলেও অনেক ছবিতে সে ধরনের কাজের সুযোগ থাকে না। ‘মায়া-দ্য লস্ট মাদার’ ছবির পরিচালক মাসুদ পথিক সেই সুযোগ দিয়েছিলেন। ছবির দৃশ্যধারণ শুরু হওয়ার দুই দিন আগেই নরসিংদীর রায়পুরায় গিয়েছি। যে বাড়িতে শুটিং হয়েছে সেখানে ছিলাম। ওখানকার নারীদের কাছ থেকে পুরনো শাড়ি সংগ্রহ করেছি। পুরো ছবিতে মেকআপ ছাড়াই কাজ করেছি।

 

জ্যোতি থেকে ‘মায়া’ হয়ে ওঠার প্রস্তুতি কেমন ছিল?

নাটক কিংবা চলচ্চিত্র যা-ই হোক না কেন সব সময় চরিত্রের গভীরে গিয়ে অভিনয়ের চেষ্টা করি। মায়া যেহেতু গ্রামের মেয়ে। আর সে কারণে নিজের চেহারার মধ্যে গ্রামের মেয়ের লুকটা আনার জন্য পনেরো-বিশ দিন চুলের যত্ন করিনি। গল্পের মায়া ঘরের কাজ থেকে শুরু করে কৃষিকাজও করে। আমি গ্রামে বড় হয়েছি। ফলে গ্রামের মেয়েদের কথা বলার ধরন থেকে শুরু করে তাদের আচার-আচরণ সবই জানি। সে কারণে চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি।

 

‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ছবিটির কি অবস্থা?

শুটিং শেষ হয়েছে এখন ডাবিং বাকি। আগামী মাসে ডাবিংয়ের জন্য কলকাতা যাব। এ বছরের পূজার আগে মুক্তি পাবে ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’। আমি আশা করছি এই ছবির মধ্য দিয়ে দর্শক আমাকে নতুন রূপে দেখবে।

 

কাজের ক্ষেত্রে গল্প, চরিত্র, চিত্রনাট্য ও নির্মাতা কোনটিকে প্রাধান্য দেন?

সব সময়ই চিত্রনাট্যের ওপরেই বেশি জোর দিই। চিত্রনাট্য সবল হলে ছবি ভালো হবে। আর দুর্বল হলে ছবি ঝুলে যায়। তখনই দর্শক ছবিটি প্রত্যাখ্যান করে। এ কারণেই প্রথমেই চিত্রনাট্য নিয়ে মাথা ঘামাই। এরপর নির্মাতাও অনেক বড় ফ্যাক্টর। তারপরও ভালো কাজ দিয়ে দর্শকের ভালোবাসা কুড়াতে চাই।

 

ছোট পর্দায় ব্যস্ততা কেমন?

এখন আমার সব চিন্তাভাবনা চলচ্চিত্র ঘিরেই। ছোট পর্দায় কাজের জন্য মরিয়া হতে চাই না। বিশেষ দিবস কিংবা কোনো উৎসব আয়োজনেই আমাকে দেখা যাবে।

 

এই সময় বেশ কিছু নতুন পরিচালক ও অভিনেতা-অভিনেত্রী মিডিয়াতে কাজ করছে। তারা কেমন করছে?

নতুনদের সঙ্গে আমি কাজ করেছি। তারা বেশ ভালো কাজ করছে। তারা পুরনোকে ভেঙে নতুন করে সৃষ্টি করতে জানে। তাদের সঙ্গে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। আর যদি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথা বলা হয়, তারাও অনেক ভালো অভিনয় করছে।

সর্বশেষ খবর