শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

ওপার বাংলার নায়িকা বললে অস্বস্তি লাগে

বাংলা চলচ্চিত্রকে উপযুক্ত গল্প, নির্মাণ অভিনয়ের মাধ্যমে যথার্থ চলচ্চিত্রায়ণ করে শুধু দুই বাংলায় নয়, বিশ্বব্যাপী মর্যাদার আসনে বসাতে হবে

ওপার বাংলার নায়িকা বললে অস্বস্তি লাগে

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আবার ঢাকায় এসেছেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রে ফের অভিনয় করবেন। ঢাকাই ছবিতে অভিনয়ের ব্যাপারে তার উৎসাহ সব সময়ই একটু বেশি। আর এই কারণে বার বার ছুটে আসেন বাংলাদেশে।   এ বিষয়ে ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তার ইন্টারভিউ নিয়েছেন— রাফিয়া আহমেদ

 

♦ আবার ঢাকার চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন, কেমন লাগছে?

আসলেই খুব ভালো লাগার মতো একটা ব্যাপার। বাংলাদেশকে সব সময়ই নিজের দেশ ভাবি। শেষবার আলমগীর সাহেবের ‘একটি নিলেমার গল্প’ ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। স্বল্প সময়ে আবার আসার সুযোগ করে দেওয়ায় আমার প্রিয় বন্ধু নায়ক ফেরদৌসের প্রতি কৃতজ্ঞ।

 

♦ এবার একজন মন্ত্রীর উপন্যাসের ছবিতে কাজ করবেন, অনুভূতি কেমন?

সত্যিই নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। মন্ত্রী মহোদয় ওবায়দুল কাদেরের ‘গাঙচিল’ একটি জীবনধর্মী উপন্যাস। এ ধরনের সাহিত্যনির্ভর জীবনঘনিষ্ঠ ছবিতে কাজ করতে পারলে ভালো লাগে, কারণ এমন মৌলিক গল্পের ছবিতে মানুষের জীবনের ছায়া থাকে। তাই দর্শক সহজেই এ ধরনের ছবির প্রতি আকৃষ্ট হয়। বাংলা চলচ্চিত্রের সুদিন ফেরাতে সাহিত্যনির্ভর ছবির বিকল্প নেই।

 

♦ বাংলা চলচ্চিত্রের সুদিন ফেরাতে আর কী করা যেতে পারে? 

চলচ্চিত্র মানে জীবনের আয়না। এই আয়নাতে বিশেষ করে বাঙালি দর্শকরা তাদের প্রতিচ্ছবি দেখতে চায়। তাই এপার ওপার বাংলা নয়। বাংলা চলচ্চিত্রকে উপযুক্ত গল্প, নির্মাণ অভিনয়ের মাধ্যমে যথার্থ চলচ্চিত্রায়ণ করে শুধু দুই বাংলায় নয়, বিশ্বব্যাপী মর্যাদার আসনে বসাতে হবে।

 

♦ আপনাকে দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা বলা হয়, বিষয়টি ভাবতে কেমন লাগে?

মোটেও ভালে লাগে না। আমাকে ওপার বাংলার নায়িকা বললে আমি অস্বস্তি বোধ করি। কারণ দুই বাংলার মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও আমি অনেক আগে থেকেই এদেশের চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দুই বাংলার মধ্যে সেতুবন্ধনের চেষ্টা করছি। তা ছাড়া আমিতো বাংলাদেশের মেয়ে, আমার জন্মস্থান বিক্রমপুরে, তাই এপার-ওপার বাংলা নয় আমি বাঙালি মেয়ে, এটিই আমার একমাত্র পরিচয়।

 

♦ ‘গাঙচিল’ ছবিতে আপনার চরিত্র নিয়ে কিছু বলুন?

এই ছবিতে আমার চরিত্রটি নিয়ে এখনো কিছু জানি না।

 

♦ তবে কি আপনি আপনার চরিত্র সম্পর্কে না জেনেই রাজি হয়ে গেলেন?

আসলে তা নয়। এবার আমি একটু বেশি ব্যস্ত ছিলাম। আর এই কারণে ছবির গল্পটি পুরোপুুরি পড়তে পারিনি। এখন গল্পটি নিয়ে পরিচালকের সঙ্গে বসব।

 

সালমান শাহ প্রসঙ্গে কিছু জানতে চাই?

সালমান শাহ মারা গেছেন এটা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আছেন আমাদের মাঝে এবং থাকবেন।

সালমান শাহ নামটির সঙ্গে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্প জড়িয়ে আছে। এই চলচ্চিত্রশিল্পের জগতে সালমান শাহ একটি বড় জায়গা তৈরি করে দিয়েছেন। আমি মনে করি বর্তমানে যারা কাজ করছেন এবং ভবিষ্যতে যারা কাজ করবেন তারা অবশ্যই সালমান শাহকে আইডল মনে করবেন।

 

♦ সবশেষে দর্শকদের উদ্দেশ্যে কী বলবেন?

আমার মতো একজন বাঙালি মেয়েকে বাংলার দর্শকরা মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছে, আমাকে তারা অন্তর দিয়ে ভালোবাসে, এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে।

দর্শকদের এবং সেই সঙ্গে বন্ধু ফেরদৌস ও নির্মাতা নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলকে ধন্যবাদ জানাই এখানে আমাকে আবার কাজের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

সর্বশেষ খবর