শাকিব খান কি রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন? এমন প্রশ্ন এখন তার দর্শক ভক্তদের। সম্প্রতি শাকিবের কিছু নির্বাচনী প্রচারণামূলক বাইট বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। আর তা দেখেই শীর্ষ নায়কের অনুরাগীরা ধারণা করছেন তিনি হয়তো রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে যাচ্ছেন। দর্শক ভক্তদের এমন ধারণা সম্পর্কে এই শীর্ষ নায়কের কাছে জানতে চাইলে, তিনি হেসে উঠে বলেন, দেখুন আমি চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত। চলচ্চিত্রের উন্নয়নই আমার একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। রাজনীতির সঙ্গে কখনো যুক্ত ছিলাম না, আগামীতেই জড়িত হওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। শাকিবের কাছে পাল্টা প্রশ্ন রেখে জানতে চাইলাম, তাহলে একটি দলের পক্ষে বাইট দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন কেন? এমন প্রশ্নে শাকিবের সোজাসাপ্টা জবাব হলো -একটি দেশের নাগরিক হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে। দলীয় বা সরকারপ্রধান নয়, ব্যক্তি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ও মানুষের প্রতি যে মমত্ববোধ তা সত্যিই অতুলনীয়। অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ সর্বস্তরের মানুষের পাশে নিঃস্বার্থভাবে দাঁড়ানোর যে নজির তিনি স্থাপন করেছেন তা দেখে আমি মুগ্ধ। সম্প্রতি চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসা সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। একটিবারও তিনি ভাবেননি আমজাদ হোসেন বিএনপির রাজনীতি করেন। দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি আমজাদ হোসেন মারা যাওয়ার পরেও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই মহানুভবতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। তার এই মমত্ববোধে অনুপ্রাণিত হয়ে তার সফলতার কামনা করছি। এজন্যই মূলত আমার বাইট দেওয়া। তাছাড়া দেশ ও জাতির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে স্বল্প সময়ে একটি স্বল্পোন্নত দেশকে যেভাবে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছেন তা বিশ্ব দরবারে মডেল হয়ে আছে। মানুষের প্রতি তার মাতৃত্বসুলভ যে আচরণ তা নিঃসন্দেহে ভালো লাগার মতো। শাকিবের কথায়, চলচ্চিত্রের অসহায় শিল্পী, নির্মাতা, কলাকুশলীর দুরবস্থা দূরীকরণে যে ভূমিকা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাখছেন তা মানবতার কল্যাণে অনন্য দৃষ্টান্ত স্বরূপ। এসব কারণে ব্যক্তি শেখ হাসিনার কাজকে সমর্থন করি। শাকিব খান বলেন, কোনো মানুষ ভালো কাজ করলে তার প্রশংসা করা অবশ্যই কর্তব্য। শীর্ষ নায়ক বলেন, ভোট হচ্ছে নাগরিক অধিকার। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব,’ এই নীতিতে আমিও বিশ্বাসী। তাই কোনো দল বা প্রার্থীকে ভোট দিতে কাউকে জোর বা প্রভাবিত করছি না। শুধু বলতে চাই, দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। শাকিব খান বলেন, আমার সঙ্গে দেশবাসীও একমত হবেন যে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের উন্নয়নে শেখ হাসিনাই একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি। আমি শুধু একজন যোগ্য মানুষের পক্ষে কথা বলছি, কোনো দল বা ব্যক্তির পক্ষে নয়। আগামীতে কোনো রাজনৈতিক দল বা এর কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছেও আমার নেই, আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কাছে আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। একজন শিল্পী হিসেবে যে প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি তাতেই আমি সন্তুষ্ট। আর কিছু চাই না। একজন শিল্পী হয়েই থাকতে চাই এবং শিল্পী হিসেবে দেশ-বিদেশে দেশীয় চলচ্চিত্রকে মর্যাদার আসনে উপবিষ্ট করতে চাই।