মিডিয়ায় পদার্পণ কোন ভাবনা থেকে?
মঞ্চে ১০ বছর কাজ করে তারপর আমি মিডিয়ায় কাজ করি। তখন মামুনুর রশীদের লেখা ও নির্দেশনায় ‘বিশ্বাস’ নাটকে প্রথম অভিনয় করি। বলা চলে, মিডিয়ায় কাজ করতে এসেছি শুধুই টাকার জন্য; আর কোনো কারণ নেই।
একই সঙ্গে মঞ্চ ও ভিজ্যুয়াল মিডিয়ায় অভিনয়, নির্দেশনা, লেখালেখি এবং ভয়েজ ওভার কীভাবে সমন্বয় করেন?
এগুলো আসলে একেকটা এক এক রকম; একই কাজ। সবকটিই ধরা যায় অভিনয়। ভয়েজ দেওয়া একটা টেকনিক্যাল বিষয়। মঞ্চ আর ভিজ্যুয়াল মিডিয়ায় অভিনয়, লেখালেখি বা নির্দেশনা যাই করি না কেন, সবই আমার নিকট এক। এসবই আলাদা কোনো কাজ বলে আমার মনে হয় না। সবই একই কাজ, বিভিন্নভাবে করতে হয়।
মঞ্চে নতুনদের কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
আসলে প্রত্যেক মঞ্চকর্মীকে ধরেই নিতে হবে যে, তারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে এখানে এসেছেন। তিনি এখান থেকে শুধু আনন্দটাই পাবেন। তিনি যদি শুধু আনন্দ নিয়ে সেটিসফাইড থাকেন তাহলেই তিনি থিয়েটার করতে পারবেন।
মঞ্চকর্মীদের মিডিয়ার প্রতি আকর্ষণকে কীভাবে দেখছেন?
ভালো করছে, খুবই ভালো করতেছে। কেন তোমরা গাড়িতে চড়বা-চালাবা আর সে বাসের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে ঝুলে যাবে? তাদের মিডিয়ার ভালো ভালো প্রতিটি সেক্টরে ইনভলভ হওয়া উচিত; টিভি বা সিনেমায় যাওয়া উচিত।
বাংলাদেশের মিডিয়াজগৎ নিয়ে আপনার বক্তব্য কি?
মিডিয়ার ভালো হলো কিছু লোক করে খেতে পারছে, আর খারাপ দিক হচ্ছে এটি একটি দুর্বৃত্তায়নের স্থান।
কতগুলো চালাক-চতুর-রংবাজ, ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ, রাহাজানি করা লোক, অশিক্ষিত- এদের হাতে মূলত মিডিয়া জিম্মি হয়ে পড়েছে। এর ফাঁকেই কিছু লোক করে-পরে খেতে পারছে।
এমন কোনো ইচ্ছা আছে কি যা এখনো পূরণ হয়নি?
পৃথিবীর সব মানুষেরই কতরকম ইচ্ছা থাকে, কিন্তু সবই তো পূরণ করা সম্ভব নয়।
তবে হ্যাঁ, অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল, যা পূরণ হয়নি (মুচকি হেসে)।
বর্তমানে কি কি কাজ নিয়ে ব্যস্ত?
এখন আসলে লেখালেখি নিয়েই ব্যস্ত বলা চলে। আর টুকটাক অভিনয় করি। মঞ্চে কিছুটা সময় দেই। এই তো!