বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

মা ডাক শুনতে ভীষণ ভালো লাগে

মা ডাক শুনতে ভীষণ ভালো লাগে

গুণী অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ। মঞ্চ, টিভি ও চলচ্চিত্রে তার দুর্দান্ত অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করে। বর্তমানে ধারাবাহিক এবং এক ঘণ্টার নাটকেই তার ব্যস্ততা বেশি। এই গুণী অভিনেত্রীর জীবনের জানা-অজানা বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

 

কেমন আছেন? 

জি... ভালো আছি।

 

বাংলা নাটক ও চলচ্চিত্রে সার্থক মায়ের চরিত্রে যে কয়জনকে আমরা দেখতে পাই তাদের একজন আপনি। মা ডাক শুনতে কেমন লাগে?

অভিনয়শিল্পীদের মুখ থেকে মা ডাক শুনতে ভীষণ ভালো লাগে। মা না হলে এ অনুভূতি উপলব্ধি করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০টির বেশি নাটকে মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। বাংলা চলচ্চিত্রের সংখ্যাও প্রায় ১৪৫টি। এভাবে সবার মা হয়ে আজীবন বেঁচে থাকতে চাই।

 

‘উজালা’ চলচ্চিত্র দিয়েই কী অভিনয়ে আবির্ভাব?

তা নয়; ১৯৬২ সালে রাজশাহী বেতারে অডিশন দিয়ে প্রথম অভিনয় করি ‘তৈমুর লং’ নাটকের নায়িকা চরিত্রে। আমার বাবা এই নাটকটি প্রযোজনা করেন। আর ১৯৬৬ সালে পরিচালক কামাল আহমেদের নির্মাণে ‘উজালা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করি। ঠিক একই সময়ে আমার বাবার ব্যবসায়ী বন্ধু বজলুর রহমান ‘ঠিকানা’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে নেন। এভাবেই শুরু হয়েছিল।

 

অভিনয়শিল্পীদের শৃঙ্খলাবোধ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?

অবশ্যই অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা উচিত। আমরা অভিনয়শিল্পীরা কিন্তু এক দিনের জন্য কাজ করি না। খারাপ কিছু করলে সে ব্যাপারে আমি কিন্তু প্রতিবাদ করি। আমাদের বলা ঠিক নয়, তবুও মাঝে মাঝে বুঝিয়ে বলি। এই বয়সেও আমরা ঠিক সময়ে শুটিং ইউনিটে এখনো আসি, যেটা সব অভিনয়শিল্পীর মধ্যে থাকা উচিত।

 

সম্মানী দেওয়া নিয়ে কি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়?

মাঝে মাঝে মাস চলে যায় তবুও সম্মানী দেওয়ার বেলায় খবর থাকে না। আবার যদিও পেমেন্ট দেয়, ডেট নেওয়ার জন্য। কিছু কিছু সম্মানী ঠিকমতো পাই। আমাদের যদি এমন সমস্যায় পড়তে হয় তবে নতুনদের কি অবস্থা একটু ভেবে দেখেন!

 

শিল্পী সম্মানীও একেকজনের জন্য একেক রকম...

এসব বিষয় নিয়ে কেউ চিন্তা করে না। শিল্পী সম্মানী একেকজন একেক রকম পায়। কোনো কোনো শিল্পী তার সম্মানী অর্ধলাখ থেকে প্রায় এক লাখ দাবি করেন। চ্যানেল যাদের বেশি চায়, তাদের সেভাবে দেয়।

 

নাট্য সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?

বেশি চাপ দেওয়া উচিত হবে না। প্রথমে তো কিছুই হতো না, এখন তো কিছু হচ্ছে।

 

চলচ্চিত্রের অবস্থা...

মাঝে তো জঘন্য অবস্থা ছিল, এখন একটু ভালো হয়েছে। তরুণরা ভালো কিছু চলচ্চিত্র বানানোর চেষ্টা করছে।

সর্বশেষ খবর