বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ছায়ানট পেল ‘টেগোর অ্যাওয়ার্ড ফর কালচারাল হারমনি’

নয়াদিল্লি প্রতিনিধি

ছায়ানট পেল ‘টেগোর অ্যাওয়ার্ড ফর কালচারাল হারমনি’

নয়াদিল্লিতে গত সোমবার ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছ থেকে ‘টেগোর অ্যাওয়ার্ড ফর কালচারাল হারমনি’ সম্মাননা গ্রহণ করেন সন্জীদা খাতুন। বাঁ পাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ছায়ানটের হাতে ১৮ ফেব্রুয়ারি ‘টেগোর অ্যাওয়ার্ড ফর কালচারাল হারমনি’ সম্মাননা তুলে দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। নয়াদিল্লির প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও টেগোর অ্যাওয়ার্ড জুরি বোর্ডের প্রধান নরেন্দ্র মোদি এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী ড. মহেশ শর্মা। সংস্কৃতি অঙ্গনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালের সম্মাননার জন্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। এই প্রথম ভারতের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করল ভারত সরকার। সম্মাননা গ্রহণ করে ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুন ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ভাষণ শুরু করেন রবীন্দ্রনাথের শান্তি ও মৈত্রীর আহ্বানের একটি গানের দুটি পঙ্ক্তি গেয়ে, ‘স্বর তরঙ্গিয়া গাও বিহঙ্গম, পূর্বপশ্চিম বন্ধুসঙ্গম/মৈত্রীবন্ধনপুণ্যমন্ত্র-পবিত্র বিশ্বসমাজে’। তিনি বলেন, ‘এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনদর্শন। তার মানবমৈত্রীর কথা। সংস্কৃতির মাধ্যমে সম্প্রীতি গড়ে তোলায় আমরা তারই অনুসারী। ছায়ানটের ঐকান্তিক সাধনা স্বীকৃতি লাভ করায় আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞতা বোধ করছি।’ স্মরণ করেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন পূর্ব বাংলার সার্বিক বঞ্চনার কথা তুলে ধরে দেশবাসীকে জাগালেন তখন সংস্কৃতিক্ষেত্রে স্বাধীনতা আর স্বাধিকার আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা ছিলাম তার সহযাত্রী।’ 

সন্জীদা খাতুন বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাস বাঙালির সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলনের সূচনালগ্ন। ভাষা আন্দোলনের বিজয় ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির রক্তে রাঙানো দানের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতি। শহীদ-স্মৃতি অমর হোক। জয়যুক্ত হোক আমাদের সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা।’ তিনি বলেন, ‘ভারত রাষ্ট্রীয়ভাবে সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির জন্য রবীন্দ্র-নামাঙ্কিত এই পুরস্কার ছায়ানটকে প্রদান করে আমাদের কৃতজ্ঞতাবদ্ধ করেছে। আপন সংস্কৃতির প্রসার ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে চলায় নবপ্রেরণা জুগিয়েছে। আমরা ধন্য। জয় বাংলা!’

সর্বশেষ খবর