অভিনেতা মীর সাব্বির। টিভি নাটকে স্ব-অভিনয় প্রতিভা দিয়ে দর্শক মন জয় করেছেন। নির্মাণেও রয়েছে অসামান্য দক্ষতা। তার সঙ্গে বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল
সাম্প্রতিক ব্যস্ততা...
ধারাবাহিক নাটক নিয়েই বেশি ব্যস্ত। অনেক সিরিয়ালে কাজ করছি।
সামনে তো অভিনয়শিল্পী সংঘের নির্বাচন। এটি নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
মার্চে নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে থাকার ইচ্ছা রয়েছে। দেখা যাক কি হয়! জানতে পারবেন সব।
পূর্বেও তো আপনি নির্বাচন করেছিলেন...
হুমম... ইচ্ছা ছিল কিছু করে দেখানোর।
ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ব্যাপারে মতামত কি?
এই চুক্তির দরকার ছিল। তবে বাস্তবায়নটা খুবই জরুরি। সেটি নিয়ে একটু গড়িমসি হচ্ছে। সর্বক্ষেত্রেই তো ডুয়েল-প্লের মানুষ থাকে। মুখে বলে এক আর করে অন্য কাজ। এদের চিহ্নিত করতে পারলেই অনেকটা বাস্তবায়ন সম্ভব।
ইদানীং নাটকের গল্পে ভাঁড়ামো থাকে...
দেখেন এদেশের নাটকে কিন্তু বেশি কমেডি চলে। চ্যানেলে ডিমান্ড, পরিচালক ডিমান্ড, দর্শক ডিমান্ডও বলতে পারেন। কমেডি কঠিন একটা কাজ। সবাই কমেডি চরিত্রে অভিনয় করতে পারে না। আমি কেন করছি? তার থেকে বেশি দরকার কেন বানাচ্ছে? কারা বানাচ্ছে? এটাই মূল বিষয়। আমরা তো এসবের উপকরণ মাত্র!
নাটক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনি কতটা সচেতন?
আমি হুট করেই কিছু করি না। আসলে পরিকল্পনা ছাড়া কোনো কিছু করাই ঠিক নয়।
নাটকে এই যে ঘুরেফিরে সেই একই মুখ...
মানুষ মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরীকে দেখতে চায়। অন্যদিকে নতুনরা কিন্তু তৈরি হচ্ছে খুবই কম। ইদানীং হয় ইম্প্রভাইজিং নাটক। এক্ষেত্রে অভিনয়ে এগিয়ে থাকে পরিচিত মুখেরা; কিন্তু নতুনরা এটা এত সহজেই করতে পারবে না। হুট করে অভিনয়-এটা খুবই কঠিন। পরিচালক, প্রোডিউসার, চ্যানেল চায় বাজেট আর চেনা মুখ নিয়ে নাটক বানাতে। এজেন্সির দায়বদ্ধতা আছে। নাটক তো সবাই খায়, দেখে না!
উত্তরণের উপায় কি?
আসলে লগ্নিকারকদের ডিসাইড করতে হবে তারা কি করবে, কি বানাবে। দর্শকদের জন্য না নিজেদের জন্য। অনেক কিছুর নিয়ম আছে। আমরা নিয়মের বাইরে গিয়ে সবকিছু করতে চাই। নাটকের গল্প ভালো হয় না, চরিত্র ঠিক নেই, সিডিউল ঠিক নেই। এসব ঠিক করতে হবে। এখন তো নাটকের বাজেট বেশি। এটা ভালো দিক। ভালো নাটকের জন্য সময় আর টাকা দিতে হয়।
শিল্পী সম্মানী নিয়ে সমস্যা আছে...
ভারসাম্যহীনতা তো আছেই। পারিশ্রমিক ঠিক করা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। যে যেভাবে পারছে নিচ্ছে।