বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

সম্মিলিতভাবে সমস্যার সমাধান করতে হবে

শোবিজ প্রতিবেদক

সম্মিলিতভাবে সমস্যার সমাধান করতে হবে
ড্যাশিং হিরো ও চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। নিজের ব্যস্ততা আর চলচ্চিত্র জগতের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তার বলা কথা এখানে তুলে ধরা হয়েছে-

 

প্রথমেই ব্যস্ততার কথা জানতে চাই।

৫ এপ্রিল আমার অভিনীত ‘প্রতিশোধের আগুন’ ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। বাহাদুরীসহ আরও অনেক ছবির কাজ চলছে। তাছাড়া শিল্পী সমিতির দায়িত্ব নিয়ে ব্যস্ত আছি।

 

চলচ্চিত্র শিল্পের অবস্থা এখন কেমন মনে হয়?

এক কথায় নানা সমস্যায় জর্জরিত। সিনেমা হলে পরিবেশের অভাব। এজন্য দর্শক সিনেমা হলবিমুখ। আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন। ইউটিউব, হাতের মুঠায় থাকা মোবাইলে সহজে বিশ্বের ছবি দেখতে পাচ্ছে দর্শক। এরপর কষ্ট করে জরাজীর্ণ সিনেমা হলের ভাঙা চেয়ারে গরমে বসে ছবি দেখতে যাবে কেন তারা? এখন যখন সিনেপ্লেক্সের কালচার চলছে, তখন সিনেমা হল ভেঙে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ জরুরি।

 

প্রদর্শকরা সিনেমা হল বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছিলেন, কিছু বলবেন?

এভাবে আলটিমেটাম দিয়ে লাভ নেই। চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত সবাই একটি পরিবার। তাই সম্মিলিতভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে কোনো সমস্যার সমাধান করা দরকার।

 

প্রযোজকরা তো এখন নির্মাণবিমুখ হয়ে পড়েছেন

প্রযোজকরা এর জন্য দায়ী করছেন প্রদর্শকদের। সিনেমা হল মালিকরা নাকি নানাভাবে অর্থ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেন। শেয়ার মানি দেন না। সিনেমা হলে প্রযোজকদের পাঠানো প্রতিনিধিদের প্রভাবিত করে টিকিট বিক্রির প্রকৃত হিসাব গোপন করেন। সিনেমা হলের প্রজেক্টর ভাড়াও প্রযোজকদের দিতে হয়। অন্যদিকে প্রদর্শকদের অভিযোগ হলো প্রযোজকরা মানসম্মত ছবি দিতে পারেন না বলে তাদের লোকসান গুনতে হয়। আমি মনে করি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ না করে উভয়পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।

 

শিল্পী সমিতির কর্মকর্তা হিসেবে আপনি কতটা সফল।

শতভাগ সফল। সমিতির একটি উপদেষ্টা কমিটি রয়েছে। তারাই ভালো বলতে পারবে বর্তমান সমিতি শিল্পীদের সুখ -দুঃখে কতটা ভূমিকা রেখেছে। এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আরেকবার সুযোগ চাই।

 

কলকাতা বা যৌথ আয়োজনের ছবিতে অভিনয় করবেন?

সরকারি নীতিমালা মেনে কাজ করতে পারলেই করব। তবে নিজের দেশের ছবি আমার কাছে অগ্রাধিকার পাবে।

 

কলকাতার ছবি এখানে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়ার দাবি প্রদর্শকদের, কিছু বলবেন?

এটি কখনোই হতে দেব না। তাদের শত কোটি টাকা বাজেটের ছবির সঙ্গে আমাদের সীমিত বাজেটের ছবির তুলনা বা প্রতিযোগিতা চলে না। এতে আমাদের নির্মাতা, শিল্পী, কলা-কুশলীরা বেকার হয়ে পড়বেন। তারপরও বলব আগে দুই দেশের টিভি চ্যানেল একসঙ্গে প্রচার করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হোক। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই শিল্পকে কারও ষড়যন্ত্রে নিঃশেষ হয়ে যেতে দিতে পারি না।

সর্বশেষ খবর