বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা
ই ন্টা র ভি উ

শিল্পীর জন্য বয়স কোনো বাধা নয়

আলী আফতাব

শিল্পীর জন্য বয়স কোনো বাধা নয়

বিশেষ দিবস ছাড়া আজকাল গান আর অভিনয়ে দেখা মিলছে না পার্থ বড়ুয়ার। বর্তমানে তিনি ব্যস্ত ‘সিলন সুপার সিঙ্গার’ রিয়েলিটি শো নিয়ে। পাশাপাশি ব্যস্ত আছেন নতুন গানের আয়োজন নিয়ে। গান ও সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে।

 

বর্তমানে ব্যস্ততা কি নিয়ে?

‘সিলন সুপার সিঙ্গার’ রিয়েলিটি শোটি নিয়ে ব্যস্ত আছি। আপাতত এই কাজটি নিয়েই ব্যস্ত।

 

কেমন লাগছে সারা দেশে শিল্পী খুঁজে বেড়াতে?

এটা অনেক কষ্টের কাজ। গত কয়কদিন এই রিয়েলিটি শোর তিন বিচারক তারিন, ফাহমিদা নবী আর আমি দেশের অর্ধেকটা চষে বেড়িয়েছি। আজ চট্টগ্রাম তো কাল কুমিল্লা পরশু ঢাকা- এভাবে ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর ও রাজশাহী ছুটে গেছি শুধু সম্ভাবনাময় শিল্পীদের সন্ধানে। এখানে-সেখানে ছুটে যাওয়া, হাজার হাজার শিল্পীর অডিশন নেওয়া- মোটেও সহজ কাজ নয়। সত্যি বলতে কি, এই কদিনের টানা সফরে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।

 

অন্য প্রতিযোগিতাগুলো থেকে এটি কি আলাদা?

অন্য যে কোনো রিয়েলিটি শো থেকে একেবারেই আলাদা। কারণ এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে শুধু গৃহিণীদের নিয়ে, যারা ঘরের কাজ ছাড়াও সংগীতেও সমান পারদর্শী। গৃহিণীদের মধ্যে এত প্রতিভা ছড়িয়ে আছে- রিয়েলিটি শোর বিচারক হওয়ার আগ পর্যন্ত কল্পনাও করিনি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, চট্টগ্রামের এক পঞ্চাশ বছর বয়সী শিল্পীকে ইয়েস কার্ড দিয়েছি আমরা। তার শ্রুতিমধুর কণ্ঠ আর অসাধারণ গায়কি আমাদের বাধ্য করেছে ইয়েস কার্ড দিতে। তিনি আরও একবার প্রমাণ করেছেন, শিল্পীর জন্য বয়স কোনো বাধা নয়।

 

রিয়েলিটি শোর মধ্য দিয়ে যারা গানের জগতে এসেছে, তারা কেমন করছে?

ভালো-মন্দ সব কিছুতেই আছে। যাদের ভিতর প্রতিভা আছে তারা এখনো ভালো করছে আর যাতের ভিতরে প্রতিভা নেই তারা হারিয়ে গেছে। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ‘প্রতিযোগিতা দিয়ে হয়তো শুরু করা যায় কিন্তু টিকতে থাকতে হয় নিজের যোগ্যতায়।’

 

‘সোলস গোল্ড’ ও ‘বন্ধু’ অ্যালবাম দুটির খবর কি?

ইচ্ছা ছিল এই দুই অ্যালবাম একসঙ্গে প্রকাশ করব, কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে পারব বলে মনে হয় না। যখন কাজ শুরু করেছিলাম, তখন পরিকল্পনা ছিল জনপ্রিয় গানগুলো নিয়ে ‘সোলস গোল্ড’ এবং নতুন মৌলিক গান নিয়ে ‘বন্ধু’ নামের দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করব। কিন্তু ‘সোলস গোল্ড’ অ্যালবামের যে গানগুলো নির্বাচন করা হয়েছে, সেসব গানের গীতিকার, সুরকার এবং যেসব শিল্পী এখন সোলসে নেই, তাদের অনুমতি নেওয়ার বিষয় আছে। এজন্য কাজ স্থগিত রেখেছি। শুধু ‘বন্ধু’ অ্যালবামের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন দেখছি, অ্যালবামের জায়গা দখল করে নিয়েছে একক গান। তাই বুঝতে পারছি না, অ্যালবাম নাকি প্রতিটি গান আলাদা করে প্রকাশ করব। রিয়েলিটি শোর চাপ কমে গেলে ব্যান্ডের সবাই মিলে পরিকল্পনা করব কীভাবে কী করা যায়।

 

নতুন কোনো গান করেছেন?

কিছুদিন আগে রাজীবের সুরে একটি মিশ্র অ্যালবামের জন্য গান করেছি। আরেকটি গান বাপ্পা মজুমদারের সুর-সংগীতে রেকর্ড করার কথা আছে। ‘অচিনপুরের গান’ নামের একটি অ্যালবামের জন্য গানটি রেকর্ড করা হবে।

সর্বশেষ খবর