সোমবার, ১৩ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা রয়েছে

শোবিজ প্রতিবেদক

ভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা রয়েছে
মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ। বৈচিত্র্যপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের শক্ত অবস্থান গড়েছেন। ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর পর ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘সাপলুডু’, ‘বিউটি সার্কাস’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে নতুন চমক নিয়ে হাজির হচ্ছেন। সমসাময়িক বিভিন্ন ব্যস্ততা নিয়ে তার সঙ্গে আলাপন-

 

কেমন আছেন? সম্প্রতি প্রাচ্যনাটের ‘সার্কাস সার্কাস’-এর ১০০তম মঞ্চায়ন হয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে মঞ্চে ছিলেন। অনুভূতি কেমন?

ভালো আছি। আর যতই কাজ থাকুক, যতই ব্যস্ততা-প্রসেনিয়ামে এ কাজে উঠতে একবারও ঘাটতি হয়নি। ১৯৯৮ সালের ২৭ এপ্রিলে প্রথম মহিলা সমিতির মঞ্চে এসেছিল আজাদ আবুল কালামের রচনা ও নির্দেশনায় প্রাচ্যনাটের এ নাটকটি। শততম প্রদর্শনীতে যে সঙ্গে থাকতে পেরেছি সেটি আমার জন্য একটি বিশাল পাওয়া।

 

একজন দক্ষ অভিনেতা হতে মঞ্চ কতটা প্রয়োজনীয়?

দক্ষ অভিনেতা হতে প্রয়োজন নিয়মিত চর্চা। আর সেই চর্চা করতে হবে মঞ্চে। মঞ্চই একজন পেশাদার অভিনেতার আসল ক্ষেত্র। আমি মঞ্চের মানুষ, আমি বলব কেউ মঞ্চে সঠিক দিক-নির্দেশনায় অভিনয় করলে শতকরা ৮০ শতাংশ অভিনেতা তাকে মঞ্চই বানিয়ে দেয়।

 

মিশন এক্সট্রিম’ চলচ্চিত্রে তো পুলিশ অফিসার হয়ে হাজির হচ্ছেন...

সাসপেন্ডেড পুলিশ অফিসার হয়ে... হা হা হা। ফয়সাল আহমেদ ও সানী সানোয়ারের যৌথ পরিচালনায় নির্মিত এ ছবিতে আমি একজন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা। এর আগে ঢাকা অ্যাটাক ছবিতে এ ধরনের চরিত্র করেছি। তবে এবারের চরিত্রটি আগের থেকে আলাদা।

 

ছাড়াও আর কী কী ছবি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়?

গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘সাপলুডু’, মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’, রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের ‘নোনাজলের কাব্য’ ও রুবাইয়াত হোসেনের ‘মেড ইন বাংলাদেশ’।

 

 

স্বল্পদৈর্ঘ্য, ওয়েব সিরিজ, নাটক ধারাবাহিক নিয়ে ব্যস্ততা কেমন?

সব মাধ্যমেই নিয়মিতই অভিনয় করছি। এখন কিছু ঈদের নাটকের কাজ করছি।

 

গেরিলা, জীবন ঢুলী, বাপজানের বায়স্কোপ কিংবা ঢাকা অ্যাটাক চলচ্চিত্রে পেয়েছেন সাফল্য। এসব ছবিতে সাফল্যের রহস্য কী?

এটা আসলে কেউ বলে বোঝাতে পারবে না... হা হা হা। তবে বলতে পারি, প্রতিটি ছবির সফলতার পেছনে রহস্য হচ্ছে ছবির গল্প ও উপযুক্ত চরিত্রচিত্রণ ও নির্মাণ।

 

কখনো মিলিটারি, কখনো ঢোল বাদক, নায়ক আবার কখনো খলনায়ক। প্রতিনিয়ত নতুন করে উপস্থাপন করার মূলমন্ত্র কী?

আরে, মূলমন্ত্র বলে তেমন কিছুই নেই! অনেক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ‘গেরিলা’ ছবিতে পাকিস্তানি মেজর, ‘মেহেরজান’ ছবিতে খলিল, ‘জীবন ঢুলি’ ছবিতে ‘ঢোল বাদক’, রুদ্র-এ গোয়েন্দা, অজ্ঞাতনামায় ওসি, ঢাকা অ্যাটাকে গোয়েন্দা অফিসার কিংবা ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’-এ বায়োস্কোপওয়ালাÑ সব চরিত্রের প্রয়োজনে। 

 

কোন চরিত্র বেশি চ্যালেঞ্জিং-  খলচরিত্র নাকি ইতিবাচক চরিত্র?

চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনয়ে বৈচিত্র্য আনতে হয়। গল্পের সঙ্গে চরিত্রটা কতটুকু একাত্মভাবে মিশে আছে, দর্শক সে বিষয়টাকে প্রাধান্য দেয়। তবে, আমার কাছে খলচরিত্র অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। এ চরিত্রে নিজেকে ভেঙে ফেলার সুযোগ বেশি থাকে।

 

অনেকেই বলে আপনি হুমায়ুন ফরীদির অভিনয় থেকে অনুপ্রাণিত...

হা... হা... হা... আমি কেন, আমরা সবাই তার অভিনয় দিয়ে অবশ্যই অনুপ্রাণিত। এ প্রজন্মের এমন কোনো অভিনয় শিল্পী পাবেন না যারা হুমায়ুন ফরীদির অভিনয় দ্বারা অনুপ্রাণিত হননি। তবে, এ গুণী অভিনেতার মূল্যায়ন করতে আমরা পারিনি।

 

স্ত্রী স্নাতা শাহরিনসহ দুই ভাইও মিডিয়ায় বেশ পরিচিত। তারা স্বভাবে কেমন?

আমার স্ত্রী মঞ্চ ও নাচের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই জড়িত। আমি আর সমাপ্তি পিঠাপিঠিই বলা চলে, বয়সের পার্থক্য চার। আমার ১১ বছরের ছোট অদিতি খুবই শান্ত স্বভাবের। আর সমাপ্তি সারা জীবন আমাকে জ্বালাতন করেছে। ছোটবেলায় আমার সব কিছুতেই ওর খুব ঈর্ষা হতো। ছোটবেলায় ও খুব রাগি ছিল। মহল্লায় ওকে সবাই বাঘা বলে ডাকত। এখন সেই ছেলে অনেক ভদ্র।

 

আপনি তো ফুটবল ক্রিকেট খেলার পাগলা ভক্ত...

সেটা বলতে পারেন! রাতজেগে প্রিমিয়ার লীগ যেমন দেখি তেমনি বাংলাদেশসহ প্রিয় দলের ক্রিকেট খেলা হলে কখনোই মিস দেই না।

সর্বশেষ খবর