শুক্রবার, ২৪ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

আমার যাওয়ার সময় হলো দাও বিদায়...

শোবিজ প্রতিবেদক

আমার যাওয়ার সময় হলো দাও বিদায়...

নজরুলগীতির বরেণ্য শিল্পী, গবেষক, স্বরলিপিকার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতগুরু খালিদ হোসেন আর আমাদের মাঝে নেই। খালিদ হোসেন শুধু নজরুলগীতির শিল্পী ছিলেন না। বিগত ৫ দশক ধরে বাংলাদেশে নজরুলগীতির শিক্ষক, গবেষক ও শুদ্ধ স্বরলিপি প্রণয়নে কাজ করেছেন তিনি। এ পর্যন্ত তার ছয়টি নজরুলগীতির অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে। এ ছাড়া আধুনিক ও ইসলামী গানের অ্যালবাম রয়েছে তার। তিনি একুশে পদক ছাড়াও নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক ও চুরুলিয়া পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা পান। খালিদ হোসেন বাংলা সংগীত অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। তিনি একাধারে যেমন ছিলেন নজরুলগীতি শিল্পী, তেমনি ছিলেন নজরুল গবেষক। চম্পা নদীর তীরে হয়তো প্রখ্যাত এ সংগীতশিল্পীর সঙ্গে আর কোনো দিন দেখা হবে না। তবে বাঙালির মনে রয়ে যাবে তার গানের সব মায়াবী সুর। খালিদ হোসেনের গাওয়া নজরুলগীতির ৬টি অ্যালবাম রয়েছে। এ ছাড়া আছে ১২টি ইসলামী গান এবং একটি আধুনিক গানের অ্যালবাম। ১৯৪০ সালের ৪ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন দেশবরেণ্য এ সংগীতশিল্পী। ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়ায় চলে আসেন খালিদ হোসেন। এরপর ১৯৬৪ সালে থেকে তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। খালিদ হোসেন বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি একুশে পদক পেয়েছেন ২০০০ সালে। এ ছাড়া পেয়েছেন নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা।

খালিদ হোসেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডে সংগীত নিয়ে প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুলগীতির আদি সুরভিত্তিক নজরুল স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদের সদস্য তিনি। গতকাল মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের এক মসজিদে প্রথম জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর সকাল ১০টায় তার মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটে। এরপর কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়ায় মায়ের কবরের পাশে খালিদ হোসেনকে সমাহিত করা হয়।

সর্বশেষ খবর