রবিবার, ২ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

মন কেড়েছে শাকিব-বুবলীর পাগল মন

আলাউদ্দীন মাজিদ

মন কেড়েছে শাকিব-বুবলীর পাগল মন

এখন ঈদ মানেই শাকিব-বুবলী ধামাকা। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ঈদে মুক্তি পাবে তাদের ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিটি। গত বুধবার এ ছবির ‘পাগল মন’ শিরোনামের গানটি মুক্তি পায়। মুক্তির পর থেকেই ভিউ আর লাইকের ঝড় বয়ে যাচ্ছে ইউটিউবে। গতকাল দুপুর আড়াইটায়  এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এর ভিউ ২২ লাখের ঘর ছুঁয়েছে। এমন সাফল্যের নজির আগে খুব একটা দেখা যায়নি। দর্শক-শ্রোতাদের কথায় শাকিব-বুবলী জুটির রসায়নে সত্যি জাদু আছে। তারা জুটি বাধার শুরু থেকেই তাদের ছবি এবং ছবির গান দর্শকদের রীতিমতো মাতিয়ে ছাড়ছে। যেমন ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘বসগিরি’ ছবির ‘মন তোকে ছাড়া’ গানটি এ পর্যন্ত ৬২ লাখ ২০ হাজার ৭২২ বার, একই ছবির ‘দিল দিল দিল’ গানটি এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ছাড়িয়েছে এবং ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘চিটাগাংইয়া পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়া’ ছবির ‘গোলাপী গোলাপী’ গানটি এখন পর্যন্ত ৩ কোটির বেশি ভিউর ঘরে পৌঁছেছে। যা সত্যিই অনন্য রেকর্ড। এবার তাদের ‘পাসওয়ার্ড’ ছবির শুধু ‘পাগল মন’ গানটি নয়, ‘ঈদ মোবারক’ গানটিও গতকাল সকালে মুক্তি দেওয়ার ১ ঘণ্টার মধ্যে ৫ লাখ ৮ হাজার ১৩৮ ভিউর ঘরে পৌঁছে যায়। প্রিয় চট্টোপাধ্যায়ের লেখা এই গানের সুর ও সংগীতে ভারতের আকাশের গাওয়া ঈদ মোবারক গানটির কোরিওগ্রাফার হলেন বলিউডের পবন শেঠি ও বব। তুরস্কের মনোরম লোকেশনে শুট হওয়া ‘পাগল মন’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন অশোক সিং। গানটি লিখেছেন ও মিউজিক করেছেন লিংকন। ‘পাসওয়ার্ড’ ছবির ট্রেইলারটিও নজর কেড়েছে ভক্তদের। দর্শক-শ্রোতাদের অনবদ্য ভালোবাসায় সিক্ত ও মুগ্ধ শাকিব খান বলেন, ‘একটি ভালো মানের চলচ্চিত্র নির্মাণে যা প্রয়োজন, সবই করেছি। ভাবিনি এতটা সাড়া পাব। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও গানটি প্রশংসায়  ভাসছে। দর্শক হলেন আমার ভালোবাসা ও শক্তির উৎস, এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা; সেই দর্শক আমার নতুন ছবির গান ভালোবেসে গ্রহণ করেছেন। এটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি।’ বুবলী জানালেন, তুরস্কের বডরাম সিটি, কাপাডোচিয়া, আনতালিয়া আর পামুক্কালে তারা শুটিং করেছেন। বললেন, ‘তুরস্ক গিয়ে আমাদের প্রথম শুটিং করা গান ‘পাগল মন’। সত্যি বলতে প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে। ভারতের জনপ্রিয় কোরিওগ্রাফার বাবা যাদব এর নির্দেশনা দিয়েছেন। বডরাম সিটিতে এ গানের কিছু অংশ শুট করে গাড়িতে সাত ঘণ্টা ভ্রমণ করে আনতালিয়া পৌঁছি। সেখানে গানের কিছু অংশ শুট করা হয়। ওই শুট শেষ করে সেখান থেকে আট ঘণ্টা জার্নি করে কাপাডোচিয়া যাই। সেখানে গানটির আরও কিছু অংশের শুট হয়। এরপর ১৩ ঘণ্টা জার্নি করে পামুকালে যাই। যেখানে গানের শেষ শুট করা হয়।’ বুবলী বলেন, সবাই গানটি পছন্দ করেছেন, প্রশংসা করছেন এতে মনে হচ্ছে আমাদের কষ্ট সার্থক হয়েছে।

সর্বশেষ খবর