কেমন আছেন? ঈদ কেমন কাটালেন?
ঈদের আগের দিন পর্যন্ত বেশ কিছু নাটকের শুটিং করেছি। আর ঈদের দিন বাসায় বেবি এবং আব্বু-আম্মুর সঙ্গে কাটিয়েছি। এবার একটু ভিন্নভাবে ঈদ উদযাপন করেছি। এবার আম্মু আমাকে বাসার সব খাবার রান্না করার দায়িত্ব দিয়েছেন; এর আগে তো তেমন করে করা হয়নি। ঈদের দিন বিকালে বাচ্চাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছি। সকালে তো সবাই বাসায় এসেছিল, তাদের সময় দিয়েছি।
দীর্ঘ বিরতির পর আবারও নাটকে অভিনয় করেছেন। বিরতির কারণ কি?
তেমন স্পেসিফিক কোনো কারণ নেই। একটু বিরতি নিয়েছিলাম; এখন আবার নিয়মিত হয়েছি। আর ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগত জীবনের জায়গায় আর প্রফেশন তো প্রফেশনের স্থানে। আমি এতটুকু বলতে পারি, ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে এখনো আমার অনুভূতি একই। ভালোবাসাও আগের মতোই আছে। দর্শকের প্রতি ভালোবাসাও সেইম। তাই, আমার জায়গা থেকে কিন্তু কোনো কিছুই বদলায়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তেমন সরব নেই...
আসলে আমার ফেসবুক আইডি কিন্তু হ্যাকড। তাও হয়েছে বছরখানেক আগে। অনেক চেষ্টা করেছি, তবুও আইডি উদ্ধার করতে পারিনি। অনেকেই রিপোর্ট করেছে কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না।
কোন নাটক দিয়ে বিরতির পর ক্যামেরার সামনে এসেছেন?
তুহিন ভাইয়ের ‘চুল তার কবেকার’ দিয়ে। গল্পটা খুবই সুন্দর! নাটকটিতে আমি আর মিশু সাব্বির ছিলাম।
একই নির্মাতার নির্মাণে আরও দুটি নাটকে অভিনয় করেছেন?
হ্যাঁ। ঈদের নাটক হিসেবে করেছি সারওয়ার রেজা জিমির রচনায় ও তুহিন হোসেনের নির্মাণে ‘অন্যদিন’। সহশিল্পী জোভান, রাসেদ মামুন অপু। তুহিনের নির্মাণে কিছুদিন আগে সালাহউদ্দিন লাভলু ভাইয়ের সঙ্গে করেছি ‘প্রোর্টেট’। এর মাঝখানে ঈদের জন্য অন্য নির্মাতার আরও বেশ কয়েকটি কাজ করেছি।
ক্রিকেটকে উপজীব্য করে আরও একটি নাটকে কাজ করেছেন...
হ্যাঁ, সেটির নির্মাতা সানি। আর মনোজের সঙ্গে এবং মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে দুটি নাটকে কাজ করেছি। তবে এই ঈদে নতুন নাটকের সঙ্গে গত বছরের করা কিছু কাজ প্রচার হয়েছে।
সারিকার প্রতিদ্বন্দ্বী কে?
প্রতিদ্বন্দ্বী আসলে সেভাবে দেখি না। আমরা সবাই কো-আর্টিস্ট। আমরা সবাই পরিবারের মতো। আমি কখনোই কাউকেই প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করিনি, এখনো করি না। কারও ভালো কাজ দেখলে এপ্রিসিয়েট করি।
তাহলে আগের মতো কি অভিনয়ে আবারও নিয়মিত হচ্ছেন?
ইনশাল্লাহ। বেবির কারণে মাঝখানে একটু ব্রেক নিয়েছিলাম। এখন তো ও একটু বড় হয়েছে। তাই ব্যালেন্সড করে কাজও করব আবার বেবিকেও দেখাশোনা করব। তবে এতটুকু বলতে পারি, আগের থেকে কাজের ব্যাপারে ডেফিনেটলি রেগুলার হবো।
এখন তো ভিন্ন ভিন্ন ও ভালো ছবি নির্মিত হচ্ছে। তাই বড় পর্দায় কাজের ব্যাপারে আগ্রহী হওয়ার ইচ্ছা আছে কি?
বড় পর্দায় কাজ করার জন্য বিভিন্ন সময় প্রস্তাব এসেছে, এখনো আসে। আগের মতোই বলব, ভালো নির্মাতা, গল্প, বৈচিত্র্যময় চরিত্র আর অফার ভালো হলে অবশ্যই করব। আর হ্যাঁ, এখন অনেক নির্মাতার ভালো কিছু কাজ হয়েছে। আমি নিজেও হলে গিয়ে মুভি দেখার চেষ্টা করি। ভালো লাগে যে, সিনেমার জায়গাটা ভালো হচ্ছে। নাটক থেকে আসা নির্মাতারা ভালো কিছু ছবি নির্মাণ করছেন; সেগুলো প্রশংসিতও হচ্ছে।