সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নায়িকা ও ডিসট্রেসড চিলড্রেন অ্যান্ড ইনফ্যান্টস ইন্টারন্যাশনালের (ডিসিআইআই) শুভেচ্ছাদূত ববিতা। গতকাল ১০ জুন দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ববিতার বাসভবনে ববিতা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান। এ সময় ববিতার সঙ্গে ছিলেন তার বড় বোন সুচন্দা ও ছোট বোন চম্পা। চল্লিশেরও বেশি শিশু ববিতা, সুচন্দা ও চম্পার সঙ্গে এক অন্যরকম সময় কাটায়। শিশুরা ববিতাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তার সঙ্গে ঈদ আড্ডায় মেতে ওঠে। তিন বোনকে শিশুরা গানও শোনায়। শিশুরা ববিতাকে ‘শ্রাবণের মেঘগুলো জড়ো হলো আকাশে’ ও ‘রেল লাইনের ঐ বস্তিতে জন্মেছিল একটি ছেলে’ গান দুটি গেয়ে শোনায়। গানের পাশাপাশি শিশুরা ‘রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’, ‘সোহাগ চাঁদ বদনি নাচ তো দেখি গানের সঙ্গে নাচ’ পরিবেশন করে। শিশুদের নাচে-গানে মুগ্ধ হন সুচন্দা, ববিতা ও চম্পা। ডিসিআইআইর শুভেচ্ছাদূত হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করে যাচ্ছেন ববিতা। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও তিনি ডিসিআইআইর হয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। একজন আন্তর্জাতিক শিল্পী হিসেবে ববিতা দেশের জন্য এর আগে সিনেমায় অভিনয় করে যেমন সুনাম কুড়িছেন ঠিক তেমনি দেশের হয়েই তিনি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে দেশের সুনাম বয়ে আনছেন। ববিতা বলেন, ‘আমি এর আগেও ঈদে, আমার জন্মদিনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সঙ্গে বিশেষভাবে সময় কাটিয়েছি। সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুরা প্রতিভাবান এবং মেধাবীও বটে। শিশুরা আমাদের গান গেয়ে শুনিয়েছে, নৃত্য পরিবেশন করেছে। সত্যিই তাদের এই পরিবেশনায় আমরা আবেগাপ্লুত। তাদের ভালোবাসায় মুগ্ধ আমি।’ সুচন্দা বলেন, ‘ববিতার এই আয়োজনে ফুলের মতো শিশুদের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটাতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত। আমার বাবা প্রায়ই বলতেন একই বৃন্তে তিনটি ফুল। আমরা তিন বোন সেই তিনটি ফুল হয়ে সারা জীবন একসঙ্গেই থাকতে চাই, শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। নিঃসন্দেহে ববিতার এই আয়োজন তার প্রতি আমার ভালোবাসা আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে।’ চম্পা বলেন, ‘ববিতা আপার এটা এক অন্যরূপ দেখা আমার।

তার মধ্যে যে মাতৃত্ববোধ আছে তা বার বার আপা তার কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন। ছোট ছোট শিশুদের মায়ের ভালোবাসা দিয়ে, মমতা দিয়ে যেভাবে আগলে রেখেছেন তা পরিবারের সদস্য হিসেবে আমাকে অনেক অনেক গর্বিত করে। শিশুদের সঙ্গে আপার এই আয়োজন আমাকে অনেক আনন্দিত করেছে।’