মঙ্গলবার, ১৮ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইন্টারভিউ

অভিনয়টা নিয়মিতই করতে চাই

অভিনয়টা নিয়মিতই করতে চাই

অপি করিম

অভিনেত্রী সৈয়দা তুহিন আরা অপি করিম। টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করে পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। অভিনয়ের পাশাপাশি মঞ্চে সেট ডিজাইন ও মোবাইল ফোন ফটোগ্রাফিও করেন। উপস্থাপনা, বিজ্ঞাপন, নাচ ও পড়াশোনাতেও রয়েছে তার দ্যুতি ছড়ানো প্রতিভা। তার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন- পান্থ আফজাল

কেমন আছেন? অভিনয়ে অনিয়মিত কেন?

জি ভালো আছি। আর আমি এমনই! বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলায়; তবে জীবনযাপনে তেমন করে পরিবর্তন হয়নি। যখন বুয়েটে পড়তাম, তখন ফাঁক-ফোকর খুঁজে করতাম অভিনয়। এখনো ঠিক তেমনই আছি। আগে ক্লাস করতাম, এখন ক্লাস নিচ্ছি। সুযোগ বুঝে অভিনয় করছি। অভিনয়টা কম হচ্ছে, এটা সত্যি; কিন্তু দৈনন্দিন রুটিনে কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

আসলেই কী নিয়মিত অভিনয় করতে চান? শিক্ষকতা আর আর্কিটেকচার নিয়েই বেশি ব্যস্ত মনে হয়...

এটা ভুল অভিযোগ। অভিনয় অবশ্যই করতে চাই। আর আমরা যখন নিয়মিত কাজ করেছি বা আমাদেরও আগে যে কাজ হয়েছে, সেগুলোর তুলনায় এখনকার নাটকের মানের অনেক পার্থক্য। এটা আমার প্রথম অবজারভেশন। দ্বিতীয়ত, আপনি কোথায় গিয়ে শুটিং করবেন? যেখানে আপনার জন্য একটা ভালো টয়লেটের ব্যবস্থাও থাকবে না। আপনি কার সঙ্গে শুটিং করবেন? আমি সেটে গিয়ে বসে থাকি সকাল ৮টায়, আর কো-আর্টিস্ট মহারাজ আসেন হেলেদুলে বেলা ১২টা-১টার সময়! এরপর রাত ৩টা-৪টা পর্যন্ত শুটিং চলে। এভাবে নিয়মিত কাজ করা সম্ভব বলেন? এভাবে কাজ করলে বদনাম তো আমারই হবে।

 

করছেন তো! উপস্থাপনা, নাচ, মঞ্চের সেট ডিজাইন এমনকি

 

নাটকে অভিনয়ও...

উপস্থাপনা লম্বা সময় নিয়েই করেছি। সুবিধা আছে। আমার শিক্ষকতার অফিস শেষ করে নিজের মতো করে শুটিং ডেট ফিক্সড করা যায়। নাচের অবস্থাও তাই। আর নাটকের বেলায় সাধারণত সাগর জাহান আর আশফাক নিপুণের কাজ করি। কারণ, ওরা দুজন আমার এ টু জেড বোঝে। মানে আমার গল্প ভাবনা, আমার শিডিউল-সব। তাই ওদের কাজটা করা হয় বিশেষ দিবসে। যদি দেখেন কোনো ঈদে বা একেবারেই আমার কোনো কাজ নেই, তখন ধরে নেবেন সেই সময় হাতে কোনো ভালো স্ক্রিপ্ট আসে নাই বা শিডিউল মেলাতে পারিনি।

 

আশফাক নিপুণের ‘মিস শিউলী’তে অভিনয় দর্শক পছন্দ করেছে...

তাই! একটি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প ছিল এটি। আমি এই পরিবারে আগন্তুক মিস শিউলী হয়ে আসি। যে কিনা বুদ্ধিদীপ্ত কথা বলে ও একটু রহস্যময়ী। খুব সহজে সবার সঙ্গে মিশে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করি।

কলকাতা আমাদের ঢাকার সুঅভিনেত্রীদের বেছে বেছে নিয়ে আসছে? তার মানে নিজেরাই আমাদের শিল্পীদের জায়গা দিতে পারছি না?

হতে পারে কলকাতার নির্মাতা-প্রযোজক যে ধরনের গল্প ভাবে সেখানে আমরা সামহাউ ম্যাচ করি। ঢাকায় হয়তো তারা যেভাবে যে গল্পগুলো ভাবে সেখানে হয়তো আমরা ফিটিং করি না। মানে সব মিলিয়েই তো বিষয়টা। আমি বলব না, আমাদের একদমই পাত্তা দেওয়া হয় না ঢাকায়। মানে ওনারা যা ভাবেন সেখানে হয়তো একজন অপি বা জয়াকে দরকার পড়ে না। ম্যাচ করে না। যেটা আবার এখানে করে।

 

দীর্ঘ বছর পর কলকাতার একটি ফিল্ম অভিনয়ে ফিরেছিলেন...

হ্যাঁ প্রায় পনের বছর পর। ছবির নাম ‘ডেব্রি অব ডিজায়ার’! এটি যৌথ প্রযোজনার ছবি। প্রযোজক বাংলাদেশের পরিচালক জসীম আহমেদ ও নির্মাতা ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী। আমার চরিত্রের নাম সোমা। মাঝখানে এমন না যে, সিনেমার অফার পাইনি। মাঝে এত লম্বা সময় বিরতির কারণ হলো ডিরেক্টর পছন্দ হয়নি। আর অনেস্টলি বলি এমন কোনো গল্প পাইনি যেটা করার জন্য একবাক্যে আমি রাজি হতে পারতাম।

 

বাস্তবে অপি কেমন রকমের?

ব্যক্তিজীবনে অসম্ভব আশাবাদী একজন মানুষ। মানে পাঁচ বছর আগেও একটু দ্বিধা ছিল। এখন পুরোপুরি পজিটিভ আমি।

 

শুটিংয়ের বাইরে আর কোথায় সময় দেন?

এর বাইরে ব্যক্তিজীবন। আর এখন মঞ্চে বেশ সময় দেওয়ার চেষ্টা করি। দুটো প্রযোজনার সেট ডিজাইন করেছি-‘ওপেন কাপল’ ও ‘গ্যালিলিও’। সম্প্রতি মঞ্চসারথী আতাউর রহমানের সঙ্গে নাট্যম রেপার্টরির ‘ডিয়ার লায়ার’ নামে নতুন একটি নাটকে অভিনয় করছি।

 

সর্বশেষ খবর